নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলন

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৯



গত ০১/০৩/০১৩ তারিখ বিকেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আর কোনো আড়াল না রেখে জামায়াত- শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পক্ষ নিলেন। যুদ্ধাপরাধী মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর জামায়াত-শিবির এক ধরনের দেশবিরোধী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রকাশ্য এবং দৃশ্যত আইন হাতে তুলে নিয়েছে। তাদের তান্ডবে দেশের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গাড়িতে আগুন দেয়া আর পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা আর গুলি ছোড়া শিবিরের সন্ত্রাসীদের কাছে একটা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁিড়য়েছে।

প্রশাসন বিকল করা এবং নির্বাচিত সরকারকে পরাস্ত করা জামায়াত-শিবিরের প্রধান টার্গেট। একটি জাতীয় দৈনিকে জনপ্রিয় কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে দেশবাসী না থাকলেও বিএনপি আছে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়া জামায়াত-কে সমর্থন দিতে আর ইঞ্চি পরিমান ফাঁক রাখেননি। জামায়াতের লাগাতার হরতালকে তার দল লাগাতার ভাবেই নৈতিক সমর্থন দিয়ে এসেছে। এখন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির এ পর্যন্ত যে রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপ করে এসেছে তারও সমর্থন দিলেন ঢালাও ভাবে, উস্কানিমূলক ভাবে সরকারকে দোষারোপ করলেন বেগম জিয়া, শাহবাগের গণ আন্দোলনকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন। এর আগে তিনি শাহবাগের তরুণদের আন্দোলনকে বলেছিলেন ‘ইতিবাচক’, ‘তরুণদের জয় হবে’, একথাও বলেছিলেন। আমরা জানতাম, তিনি আন্দোলনের ধাক্কা সামলানোর জন্য আপাতত এতটুকু বলেছেন। তিনি এই লক্ষ্য বিন্দুতে স্থির থাকবেন না, থাকার কথাও নয়। সেটাই প্রমাণিত হলো।

যুদ্ধাপরাধীদের সাফাই গাওয়া আর সরকার গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের দোষারোপ করা চরম দুর্ভাগ্যজনক। দেশবাসী বিস্মিত ও হতভম্ব হয়েছে এতে। হতাশা প্রকাশ করেছে শাহবাগের আন্দোলনকারি তরুণ প্রজন্ম। তারা বরাবরের মতই জামায়াত-শিবিরের ডাকা রোববার-সোমবার হরতাল প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছে। বিএনপিকে বলেছে রাজাকারের সঙ্গ পরিত্যাগ করতে।

বেগম জিয়া বলেছেন, সরকার নাকি ‘পৈশাচিক গণহত্যায় মেতেছে’। ১৯৭১ সালে যারা পাকহানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে গণহত্যা চালিয়েছে, তিনি তাদের আইন হাতে তুলে নিয়ে চরম নৃশংস, বর্বর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে ন্যূনতম বক্তব্য না দিয়ে সরকারকে একতরফা দায়ি করেছেন। আমরা সাদা চোখেই দেখতে পারলাম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ থেকে আপিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় আসামী পক্ষ রায় মেনে নিয়েছে। এর পরও গত শুক্রবার (২৮/০২/০১৩)। ১২টি তথাকথিত ইসলামী দল মিলে সাঈদীর ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে লোমহর্ষক তান্ডব চালিয়েছে। তাদের আরচণে ফুটে উঠেছিলো ১৯৭১ সালের নারকীয় মূর্তি। অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করেছে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গার গণজাগরণ মঞ্চ। দেশের মানুষকে স্তম্ভিত করে সন্ত্রাসীরা সিলেটে শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে, জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলেছে চাঁদপুরে। নোয়াখালিতে জামায়াত-শিবির পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া জামায়াত-শিবিরের এসব সার্বভৌমত্ব বিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে কোন কথা বলেন নি। উলটো ১৯৭১ এর এবং ২০০১ এর গণহত্যাকারিদের আড়াল করে সরকারের ওপর নির্বাচার অভিযোগ চাপিয়েছেন। গণহত্যাকারিরাই বার বার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদকে ব্যবহার করে দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে। সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করেও তারা বায়তুল মোকারম মসজিদে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে, বারান্দাচত্বরে আগুন লাগিয়েছে, মসজিদ থেকে বোমা বিস্ফোরণ করেছে। সাংবাদিকদের জখম করেছে, তাদের নাস্তিক বলে গালি দিয়েছে।

বড়ই পরিতাপের বিষয়, স্বয়ং খালেদা জিয়া মিথ্যা রটনাকারির কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে ব্লগার রাজীবের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় অভিযোগ তুলেছেন। রাজীব নাকি মহানবী (সাঃ) র বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ লেখা লিখেছেন। এর জবাব আমরা আগেও দিয়েছি। জীবিত থাকতে রাজীবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠানো হয়নি। তাকে গত ১৫ ফেব্র“য়ারি নৃশংস -বর্বোরাচিতভাবে হত্যার পর এ ধরনের উস্কানি মূলক অপ প্রচার ছড়ানো হয়েছে গণ-জাগরণের রোষ থেকে বাঁচার জন্য। বেগম জিয়া একজন নেত্রী হয়ে গণহত্যাকারিদের নির্মম অপপ্রচারের কৌশলকে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন, রাজীব হত্যার ন্যূনতম নিন্দা তিনি করেননি।

বেগম জিয়া বলেছেন, সরকার নাকি শান্তিপ্রিয় নাগরিককে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। শান্তিপ্রিয় ছিলোতো রাজীব হায়দার, তাকে কি সরকার হত্যা করেছে? কারা শান্তিপ্রিয়? বেগম জিয়ার কাছে দেশবাসীর এই প্রশ্ন। যারা এক প্রতীমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতে বোমা মারার হুমকি দিয়েছে, শত শত পুলিশ জখম করেছে, নাটোরের যুবলীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা করেছে, রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়েছে, সংখালগুদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়েছে, তাদের মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করেছে, সংখ্যালঘু নাগরিকদের হামলা করেছে, কোনো কোনো সড়ক পথ বিচ্ছিন্ন করেছে, মোবাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এরা নিরীহ? যারা বোমা, দা-কিরিচ-কুড়াল, লাঠি হাতে মিছিলে নামে এরা কেমন শান্তিপ্রিয়? তাছাড়া তথাকথিত শান্তিপ্রিয়রা গত তিনমাস ধরে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দেশকে তাস্থিতিশীল করে তুলেছে। বেগম জিয়া এদেরকে বলেছেন শান্তিপ্রিয়!

তিনি অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতা ও ইসলামকে সরকার মুখোমুখি করেছে। এ কাজটি সরকার করেনি, করলে সরকার সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ বহাল রাখতো না। সরকার ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়োজন মনে করে না। আমরা লক্ষ্য করছি, সরকার ধর্মান্ধ শক্তির উত্থানের ভয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিতে যেয়ে ১৯৭২ এর মূল সংবিধানে ফেরৎ যেতে পারছে না। ধর্মকে খাটো করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। এই বদনাম সে ঘাড়ে নিতে চায় না। ব্যক্তিগত জীবনে খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা বেশি ধর্মানুরাগী। বরং রাজনীতিতে ধর্মব্যবহারকারি জামায়াত-শিবির ধর্মান্ধতার দৃষ্টিতে এখনো মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে অপদস্থ করে যাচ্ছে। তারা শহীদ মিনার মানেনা, জাতীয় সঙ্গীত মানেনা, জাতীয় পতাকা মানেনা, বাংলাদেশের সংবিধান মানেনা। এমন কি তারা গণতন্ত্রও মানেনা, ১৯৭১র মুক্তিযুদ্ধও স্বীকার করে না। তারা বলেছে, ‘১৯৭১ সালে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, হয়েছে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ।’ অর্থাৎ আমরা ভারতের নাগরিক। একদিকে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার কল্পিত ঘোষক বানানো হচ্ছে, অন্যদিকে স্বাধীনতা অস্বীকারকারি, গণহত্যাকারি জামায়াতকে নির্বিচারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

দেশবাসী মিডিয়ায় দেখেছে বর্তমান সরকারের পুলিশ চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। শিবিরের সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে বোমা মেরে পুলিশি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। গত কয়েক দিনে ৪২ জন নিহত হয়েছে শিবিরের তান্ডবের কারণে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২৬ হাজার নৌকার ভোটার হত্যা করা হয়েছে। এসব বুঝি গণহত্যা নয়? আইভি রহমান, এস, এম, কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা কি পুতুল খেলা ছিলো? ড. হুমায়ুন আজাদ কে কিরিচ দিয়ে বই মেলায় কোপানো কি ছেলে খেলা ছিলো? জামায়াত-শিবির বারবার সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সরকারের তথা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। আর বিএনপি তা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এরও পরিণাম শুভ হবে না। এতএব সাধু সাবধান।

সুত্র: সংগ্রহ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: দেশবাসী মিডিয়ায় দেখেছে বর্তমান সরকারের পুলিশ চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। ভোদাই কয় কি...! হাচিনার হাগু চাটা চামচে কোথাকার...

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: কুত্তার দল যারা শাহাবাগকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চাাচ্ছে তাদের গেলমান থেকে সাবধান থাকুন । যেমন এই বালের সেপাই ।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

স্বপ্নক বলেছেন: মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: দেশবাসী মিডিয়ায় দেখেছে বর্তমান সরকারের পুলিশ চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। ভোদাই কয় কি...! হাচিনার হাগু চাটা চামচে কোথাকার...

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: কুত্তার দল যারা শাহাবাগকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চাাচ্ছে তাদের গেলমান থেকে সাবধান থাকুন । যেমন এই বালের সেপাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.