নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
জানতে ১ ২
‘তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে আসলে আমাদের মধ্যেও বিভ্রান্তি আছে, অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ- এ বিষয়টি খতিয়ে না দেখে বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর নির্ভর করায় শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। জোটের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠন বিএনপি-জামায়াতের মিত্র হওয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়াও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখন আর কেউ সরাসরি জামায়াতের কথায় কান দিচ্ছে না।’
দেশব্যাপী গনজাগরন মঞ্চের আন্দোলন প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার কারণ কেবলই বিভ্রান্তি- এমন মন্তব্য করে কিছুটা আত্মসমালোচনার শুরেই কথাগুলো বলছিলেন ‘ইসলামী দলসমূহ’র ব্যানারে আন্দোলকারি একটি সংগঠনের মহাসচিব। একই সঙ্গে বলেন, অবস্থা এমন যে নাম প্রকাশ করে নিজেদের দুর্বলতার কথা বললে অন্যরা ক্ষুব্ধ হবে। তবে এখন অনেক নেতাই জানেন, শাহবাগ নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে ছোট ছোট ইসলামী দলের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার অন্যতম কারন হচ্ছে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বিভিন্ন ভাবে প্রচার হওয়া। অনেকে এটাকে উস্কে দিয়েছে আন্দোলনের বিরুদ্ধে। এখনো অনেক নেতা ও অধিকাংশ সাধারণ কর্মীর কাছে বিষয়টি পরিস্কার নয় বলে জানালেন চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতা। কেবল এই নেতারাই নয়, কথা বলে জানা গেল একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে দেশজুরো জেগে ওঠা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে আছে আন্দোলরনরত অধিকাংশ ইসলামী দল ও সংগঠন। যুদ্ধাপরাধীদের মুখপত্র হয়ে ওঠা দু‘একটি গণমাধ্যমের অপপ্রচারের প্রতিই এসব সংগঠনের ঝোক বেশি। তরুন প্রজন্ম এমনকি শাহবাগের সংবাদ কাভার করা সাংবাদিকরাও নাস্তিক- এমন ধারণা সাধারণ কর্মীদের। আন্দোলন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে হলেও অধিকাংশ কর্মী জানেন, শাহবাগের আেেন্দালন সকল ইসলামী দলের বিরুদ্ধে। খেলাফত মসলিশের সমাবেশের জন্য শুক্রবার কামরাঙ্গীরচরে হাফেজী হুজুরের মাদ্রাসার পাশে বিক্ষোভ করছিলেন মাওলানা আক্কাস আলী। নিজেকে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক দাবি করে বলছিলেন, ‘শাহবাগে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। আমরা এটা সহ্য করতে পারি না।’ কিন্তু শাহবাগ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, তাদের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দল জামায়াত-শিবিরের বিরেুদ্ধে। তাহলে এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? কোন গণমাধ্যমে তো তা লেখা হয়নি।’ এবার তার উত্তর, কেন ‘আমার দেশ’ তো লিখছে। আপনারা কেউ লেখেন নাই। আপনারাও নাস্তিক। আমাদের রাজনীতি বন্ধ করতে চান। বললাম, আপনি কখনও শাহবাগ গেছেন? সেখানে তো জামায়াত আর যুদ্ধাপরাধীদের কথাই বলা হচ্ছে। কোথাও অন্য কোন দল নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছেনা। এবার পাশে বসা ইসলামী ঐক্যজোপের নেতা কামরুল ইসলামের উত্তর, না শাহবাগে আমাদের বিরুদ্ধে শত শত ছবি প্রচার করা হয়েছে। শাহবাগে টাঙ্গানো আছে। তাঁর কথা শুনে বললাম, সেখানে গিয়ে দেখেন, একটা কথাও আপনাদের বিরুদ্ধে সেখানে বলা হয়না। একটা ছবিও আপনাদের বিরুদ্ধ সেখাসে নেই। ওই মাদ্রাসার সামনে অবশ্য কয়েক নেতা সাংবাদিকদের বলছিলেন, ভাই আপনারাই তো একেক পত্রিকায় একেক তথা ছিলে ঝামেলা বাধাইছেন। এখন অনেক কিছু আমরা জানতে পারছি। আমরাও চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। আমরাও আগে শুনেছিলাম, শাহবাগে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। এখন আমরা জানতে পারছি। আন্দোলকারিরা এখন বলছে তারা কেবল জামায়াতের বিরুদ্ধে। এদিকে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বলে জানা গেল, পবিত্র ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল আন্দোলন নিয়ে বিকৃত আর ঔদ্ধত্যপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে দেশে আরও বড় ধরনের সঙ্কট তৈরির অপকৌশল নেয়া হয়েছে।
ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল নিয়েছে জামায়াত-শিবির ও তার সহায়তাপূষ্ট দেশী বিদেশী চক্র। স্বাধীনতাবিরোধী গণমাধ্যম, ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সাধারণ মুসল্লিদের। বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত-শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ছে সংখ্যালঘুু জনগোষ্ঠীর ওপর। ঘাতক সাঈদীকে চাঁদে দেখার অপপ্রচার চালিয়েও ওরা নৃশংসতা চালিয়েছে। এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির জন্য দেশে বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে ঢাকা, বুয়েটসহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের কিছু ব্যক্তির তৎপরতা ভাবিয়ে তুলেছে প্রগতিশীলদের। কেবল তাই নয়, এই বিভাগের কিছু ব্যাক্তির জঙ্গি মৌলবাদী সম্পৃক্ততার কারনে কিছুদিন আগে সেখানে অনুষ্ঠানের জন্য দাওয়াত পেলেও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে অনুপস্থিত ছিলেন একটি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদুত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার জামাই বলে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষকের নেতৃত্বে চলছে নানা অপকৌশল। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বাব্যাপী জামায়াত-শিবিরের মিথ্যা প্রচারের চিত্র। একটি যুগান্তকারী আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচার নিয়ে কথা হচ্ছিল আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে নামা অন্যতম সংগঠন খেলাফত আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে। সংগঠনের সহকারী মহাসচিব মুজিবর রহমান হামেদী বলছিলেন, আমাদের আন্দোলনে এখন জামায়াতের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে শাহবাগের সঙ্গে বিরোধের কারণ হচ্ছে তারা সকল ইসলামী দল ও মহানবীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। কিন্তু আমরা তো এক মাসেও জামায়াত-শিবির আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া অন্য কিছু পেলাম না। আপনারা বিষয়টিতে নজর দিলে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হতো। এবার বার উত্তর, এখন হয়ত তারা কেবল জামায়াতের বিরুদ্ধে বলেন। আমাদের আন্দোলনের কারনে। এটা আমাদের আন্দোলনের বিজয়। জামায়াতের অপপ্রচার সম্পর্কে দেশবাসীকে শতর্ক করে দিয়ে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলেম-ওলামারা বলেছেন, জামায়াত হলো ইসলামের আসল শত্রু। ওদের কারনে ইসলাম আজ দুর্নামের ভাগিদার। ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে এরা একাত্তরেও গণহত্যা চালিয়েছে। আলেম-ওলামারা বলেছেন জামায়াতের অপকর্ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে শতর্ক করে দিয়ে আরো বলেছেন, মনে রাখবেন জামায়াতের কারণে আজ ইসলাম দুর্নামের ভাগিদার। এই জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী মাওলানা না হলেও নামের আগে মাওলানা ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করেছে। প্রতিষ্ঠা থেকে আজ পর্যন্ত ইসলাম বিরোধী চেহারা বদলায়নি জামায়াত-শিবির। সত্যিকারের ইসলামের বিপরীতে আজো দলছে ওরা।
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
শ্রাবণ আকাশ বলেছেন: গুজবগুলাই আগে ছড়ায় আর মানুষ তাতে বেশি প্রভাবিত হয় এবং রিএকশন করে।
ওদিকে চিন্তা করেন একটা ভালো কাজে দেশের মানুষের এক হইতে সময় লাগছে ৪২ বছর!
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আমারা কি নিজেরা ইসলামের মধ্যে আছি...আমরা কি ঠিকমত নামাজ পড়ছি কোরান পড়ছি ??
তাহলে এই সকল বিষয় নিজরাও বুঝবো আর কেউ আমাদের ভুল বুঝাতে পারবে না ...
নিজেদেরও কথা বলার গ্রহন যোগ্যতা বাড়বে আশা করি...
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০
লেখোয়াড় বলেছেন:
এখানে সব হুজুগে হুজুর।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
কৃষি এবং কৃষক বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ১৯৭১ স্ট্রাটেজী !
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
সন্দীপ হালদার বলেছেন: জামাতের সাথে আছে কিছু সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী। যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চরম পারদর্শী
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষম পরিণাম (ফরহাদ মজহারকে এতদিন ‘শিক্ষিত’ লোক বলিয়াই জানিতাম) ।। সলিমুল্লাহ খান
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ১৯৭১ স্ট্রাটেজী !