নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সকালের পথভোলা সন্তানরা যদি বিকেলে ঘরে ফিরে আসে, তাহলে মা-বাবার আর কোনো চিন্তা থাকে না। এই প্রজন্মের যেসব তরুণ-তরুণী ধর্মের নামে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে ধ্বংসাত্মক কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে, আমাদের সেই পথভোলা সন্তানদের উদ্দেশে বলতে চাই, তোমরাও আমাদের সন্তান অথবা ভাইবোন। তোমাদের ইসলামের নামে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। লেবাসধারী সুবিধাবাদী এই কুলাঙ্গাররা তোমাদের ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। যারা তোমাদের ধর্মের নামে ব্যবহার করছে, একবার তাদের চরিত্রের দিকে তাকাও, গভীরভাবে চিন্তা করে দেখো, তোমরা কাদের জন্য কাজ করছ। চিন্তা করে দেখো, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে? ইসলাম এ ধরনের অপরাধ অনুমোদন করে? আমরা ১৯৭১ সাল দেখেছি বলেই এই গোষ্ঠীর মতবাদকে চরম ঘৃণা করি। এরা ছদ্মবেশী মুনাফিক, ফাসিক, জালিম। মনে রেখো, ইসলাম আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়, দৃঢ় বিশ্বাস ও নির্মল চরিত্রের নাম।
এরা নিজেদের সুবিধালাভের জন্যই কেবল পবিত্র ইসলামকে ব্যবহার করে। এই সময়েও সরলপ্রাণ ধর্মভীরু আলেম, ইমাম, খতিব ও সাধারণ মুসলমানদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করছে। বছরখানেক আগে তাদের নিয়ন্ত্রিত পত্রিকাগুলোয় পবিত্র কাবা শরিফের মহান ইমামদের নিয়েও জঘন্য মিথ্যাচার করে ছবিসহ সংবাদ ছেপেছে, নিজামী-সাঈদীদের মুক্তির দাবিতে কাবা শরিফের ইমাম খতিবগণ মানববন্ধন করেছেন। পরে প্রমাণিত হয়েছে, খবরটি ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা। মূলত পবিত্র কাবা শরিফের ইমামগণ নিয়মমাফিক কাবা শরিফে গিলাফ জড়িয়ে দিচ্ছিলেন একই সঙ্গে হাজির হয়ে। সেই ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। পুরনো সেই ছবিই তাদের নেতাদের মুক্তির দাবিতে কাবা শরিফের ইমামদের মানববন্ধন বলে চালিয়ে দেয়। অবশ্য পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। চিন্তা করে দেখো, কত জঘন্য শয়তানি চিন্তা তাদের মাথায় ঘুরঘুর করে!
আমি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত পথভোলা সন্তানদের উদ্দেশে বলছি, তোমরাই দেশকে এগিয়ে নেবে। তোমরা বাংলাদেশের সন্তান। দেশে অনেক ইসলামী দল ও সংগঠন আছে। খোঁজখবর নিয়ে তাদের যে কারো সঙ্গে যুক্ত হতে পারো। তোমরা তো যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকার নও। তোমাদের মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে মানবতার সেবায় ও দেশ গঠনে কাজে লাগাও। না বুঝে মিথ্যা অহমিকা ও মরীচিকার পেছনে ছুটে বেড়িয়ো না। দেশ ও জাতি তোমাদের সেবা চায়। সুত্র
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আল্লাহ নিজেই যেখানে ইসলাম-কোরআন হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে আল্লাহর দায়িত্ব পালনের কথা একমাত্র শয়তান ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। সুতরাং হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি ইসলাম ও কোরআন বিরোধী।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমরা ৭১ দেখেছি তাই মুখোশ দারি ধর্ম ব্যবসাহি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাংলার সুবিধা ভোগী নেতা নেত্ীদয়কেও । আপনার লেখা ভালো লেগেছে ।