নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

"রাজনৈতিক আন্দোলন নয়" বললেও সরকার পতনের আন্দোলনের প্ল্যান হেফাজতের : দেশ চলবে শফীর নির্দেশে : প্রধানমন্ত্রী হবেন বাবুনগরী

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯



তের দফা না মানলে ৫ মে’র পর ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠায় সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন শুরু হবে বলে সরকারের প্রতি হুশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজত নেতারা। এটা কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয় জানিয়ে নেতারা বলেন, হেফাজতের এ আন্দোলন ঈমান, আকিদা, দেশের মানচিত্র ও লাল-সবুজের পতাকা রক্ষার আন্দোলন। কোন ষড়যন্ত্র করে এ আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে না। যতদিন ১৩ দফা আদায় না হবে, তৌহিদি জনতা ও ওলামায়ে কেরাম রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।

কোন হুমকি-ধামকি, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র করে কাজ হবে না। প্রয়োজনে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। তারপরও অবরোধ কর্মসূচি সফল করা হবে। তারা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে হলে ১৩ দফা দাবি মেনে থাকতে হবে। ক্ষমতায় যেতে হলেও ১৩ দফা দাবি মেনেই ক্ষমতায় যেতে হবে।



যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে নামতে তৌহিদি জনতার প্রতি আহ্বান জানান হেফাজতের নেতারা। হেফাজতে ইসলামের বৃহত্তর মিরপুর জোন শাখার উদ্যোগে শানে রেসালাত সম্মেলনে শুক্রবার মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগা মাঠে জমায়েত হন ওলামায়ে কেরামসহ তৌহিদি জনতা। জাতীয় পতাকা হাতে ও মাথায় বেঁধে মিছিল নিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সবার মুখেই স্লোগান ছিল, নাস্তিক মুরতাদদের ফাঁসির চাই। মাওলানা মোস্তফা আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর হেফাজতের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা কাসেমী বলেন, শাহবাগিদের আন্দোলনের মুখে যদি তিনদিনের মাথায় সংবিধান সংশোধন করা যায়, তাহলে আল্লাহ ও রাসূলের ইজ্জত রক্ষায় কেন সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। তিনি বলেন, যতদিন হেফাজতের ১৩ দফা দাবি আদায় না হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মূর্খ ও রাজাকার উল্লেখ করে বলেন, হেফাজত কেবল আঙুল বাঁকা করতে শুরু করেছে। অবরোধ কর্মসূচি বানচালে যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ৫ মে দেখিয়ে দেয়া হবে কত ধানে কত চাল। সুত্র



আবার চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে লাখো তৌহিদি জনতার শানে রেসালাত মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলাম নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১০ মে’র মধ্যে ১৩ দফা দাবি না মানলে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। সরকারকে লালকার্ড দেখানো হবে। এই এক দফা হবে সরকার পতন আন্দোলন। তারা বলেন, হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়, হেফাজতে ইসলাম সংসদে যেতে চায় না, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায় না। কিন্তু দাবি না মানলে সরকার পতন করে হেফাজতে ইসলাম দেশ চালাবে আল্লামা আহমদ শফীর নির্দেশে। তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী হবেন না, প্রধানমন্ত্রী হবেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। বক্তারা বলেন, সরকার গণজাগরণের আন্দোলন দেখেছে, ইসলামী গণজাগরণ দেখেনি। নাস্তিকদের আন্দোলন দেখেছে রসূলপ্রেমিকদের আন্দোলন দেখেনি। অবিলম্বে দাবি না মানলে আগামী ৫ মে রাসূলপ্রেমিকদের নিয়ে সরকারকে লালকার্ড দেখানো হবে। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, তারা বলেছেন হেফাজত নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আমরা বলতে চাই, এই অভিযোগ যিনি করেছেন তার গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। ১৩ দফা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সম্পর্কে বক্তারা বলেন, সংবিধান তো সংশোধন হচ্ছেই। হেফাজতের দু’একটি দাবির জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মদিনা সনদে দেশ চালাচ্ছেন বক্তব্যের জবাবে বক্তারা বলেন, মদিনা সনদে নারী নেতৃত্ব সমর্থন করে না। মদিনা সনদে নাস্তিকদের শাস্তির বিধান রয়েছে এবং হেফাজতের ১৩ দফার অধিকাংশই সমর্থন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।



১৩ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে এবং ৫ মে ঢাকা অবরোধের সমর্থনে শুক্রবার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শানে রেসালত মহাসমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।



সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সময় ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ’ বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই তারা সর্বপ্রথম সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে ফেলল। এর ফলে তারা তৌহিদি জনতার সঙ্গে বেইমানি করেছে। তারা অভিযোগ করেন, সরকার হেফাজতের ১৩ দফা নিয়ে রাজনীতি করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তৌহিদি জনতা সরকারের সে আকাক্সক্ষা পূর্ণ হতে দেবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, এই আন্দোলন রাষ্ট্র ক্ষমতার নয়, রাসূলের ইজ্জত-সম্মান রক্ষার আন্দোলনে সব মুসলমান শরিক হোন। তিনি বলেন, ৫ মে ঢাকা অবরোধে বাধা আসতে পারে। যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই তসবিহ ও জায়নামাজ নিয়ে বসে পড়বেন।

হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও ফটিকছড়ির ভুজপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ইসলামবিরোধী ও নাস্তিকদের পক্ষের সরকারকে অবিলম্বে বিদায় করতে হবে। নয়তো ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ থাকবে না।

নেজামে ইসলামের সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দমন-পীড়ন করে আলেম ওলামাদের এই আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারকে এখন একটি পক্ষ নিতে হবে। হয় মুসলমানদের পক্ষে নয়তো নাস্তিকদের পক্ষে। নাস্তিকদের পক্ষ নিলে সরকারকে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে বলে হুশিয়ার করেন।



মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, "১০ মে’র মধ্যে ১৩ দফা না মানলে এক দফার আন্দোলন ত্বরান্বিত করে সরকারে পতন ঘটানো হবে। তখন হেফাজতে ইসলাম ইসলামী বিপ্লব ঘটাবে। তখন আল্লামা শফীর নির্দেশে দেশ চলবে। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। কারণ তার সন্মান প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি। তখন প্রধানমন্ত্রী হবেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

সুত্র



"১৩ দফাই মদিনা সনদ" দাবী করে বলেছেন মাওলানা জুনায়েদ। আর ছদ্মবেশে অস্ত্রসহ ঢাকা ঢুকছে হেফাজতীরা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

বদপুলা বলেছেন: প্ল্যান খ্রাফ না

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২০

এই আমি সেই আমি বলেছেন: বাঘ যদি মানুষের রক্তের স্বাদ পায় , সে মানুষ মারার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে । হেফাজত পেয়েছে টাকার স্বাদ , তাই ক্ষমতার জন্য তারা গেছে পাগল হয়ে । জামাতের আর হেফাজতের বক্তব্যের মধ্যে ইঞ্চি খানিক ফাঁকও নাই ।

মখার বক্তব্যের জন্য আমরা তাকে তুলাধুনা করছি কিন্তু হান্নান শাহ আর বাবু নগরীর বক্তব্যও আমলে নেবার দরকার আছে । এরা আমাদের আবার পানি পরা যুগে ফিরিয়ে নিতে চায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.