নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু "জয় পাকিস্তান" বলেছিলেন - তার সাক্ষ্য ও দলিল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬



৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন শেষে শেখ মুজিবুর রহমান কি আসলেই 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন? এ কে খন্দকারের এমন দাবী তেমনই।



তার প্রেক্ষিতে শফিউল আলম প্রধান ও কাদের সিদ্দিকী সুনেছেন বলে দাবি করেছেন।



‘জয় পাকিস্তান’ নিজ কানে শোনার দাবি করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।



তার ভাষায় “৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান জয় পাকিস্তান বলে ভাষণ শেষ করেছিলেন। আমিও নিজ কানে তা শুনেছি। সাংবাদিকরা লিখতে পারেন, কারন ওই ভাষণের সময় আমি মঞ্চ থেকে ৫০ গজ দূরে অবস্থান করছিলাম।”



আসেন বিষয়টা জেনে নেইঃ

কখনোই শেখ মুজিবকে জয় পাকিস্তান বলতে শুনিনি’



১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থেকে ওই সমাবেশে খবর সরাসরি সংগ্রহকারী তৎকালীন ডাকসাইটে সাংবাদিক এ.এস.এম.হাবিবুল্লাহ বলেছেন, গোটা বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ভাষণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় বাংলা শেষ করেছিলেন বলেই তার মনে পড়ে। তিনি বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধু তার সব ভাষণের শেষেই জয় বাংলা বলতেন। আমার মনে পড়ে, ওইদিনও তিনি এটাই বলেছিলেন। আমি কখনোই তাকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনিনি। এমন একটি কথা এই প্রথম শুনলাম। বঙ্গবন্ধু এমন কিছু বলেছিলেন কিনা আমার পরিষ্কার খেয়াল হচ্ছে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন ‘জয় পাকিস্তান’ বললে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট হতো, তেমন কোনো রিপোর্ট তো সেসময় কোথাও হয়নি!

প্রসঙ্গত এক সময়কার দাপুটে এ সাংবাদিক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চিফ নিউজ এডিটর পদে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেন। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সেইসব সাংবাদিকের একজন যিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ কভার করেছিলেন। তখন তিনি ছিলেন এসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট। বক্তব্যটি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে একটি সহযোগি অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সুত্র



কিন্তু কোন মিডিয়ায় আসার খবর কেউ দিতে পারেনি।



বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি ( পূর্ণাঙ্গ ) দেখে বলুনতো, কোথায় 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন?



এ ব্যাপারে মঞ্চে উপবিষ্ট একজন মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর বলেন, ‘আমি মঞ্চে ছিলাম, ছবি তুলছিলাম। বঙ্গবন্ধু পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, জয় বাংলা। এ কে খন্দকার কোথায় এ তথ্য পেলেন তা রহস্যজনক।’ সুত্র



১৯৬৯ এর ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষা দিবস। এজন্য এর দুইদিন আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বদলীয ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মধুর ক্যান্টিনে একটি ছাত্রসভার আয়োজন করেছিল। মূলত এটি ছিল শিক্ষা দিবস পালনের প্রস্ত্ততি সভা। চলছিল নেতাদের ভাষণ পর্ব। এসময় হঠাৎ​ করে একজন চীৎকার করে ‘জয়বাংলা’ দিয়ে উঠেন। এরপর গলা মেলান আরো একজন। নতুন শ্লোগান, তাই সবাই একটি হতবিহবল হয়ে পড়েছিলেন। বলা হয় সেটিই ছিল প্রকাশ্যে প্রথম ‘জলবাংলা’ ম্লোগান।



বলে রাখি শ্লোগানটি ঐদিন দিয়েছিলেন সে সময়ের জিন্না হলের ছাত্র আফতাবউদ্দিন আহমাদ এবং ইকবাল হলের চিশতি শাহ হেলালুর রহমান।

এরপর থেকে বিভিন্ন সভায় জয়বাংলা শ্লোগানটি শোনা গেলেও মঞ্চে নেতারা তা বলেননি বহুদিন। ১৯৬৯ এর ২৫ মার্চ সামরিক আইন জারির পর দীর্ঘদিন দিন প্রকাশ্যে রাজনীতি বন্ধ ছিল। ৭০ এর ১ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এরপর প্রথম জনসভাটি করে আওয়ামী লীগ। দিনটি ছিল ৪ জানুয়ারী, সপ্তাহের প্রথম রোববার। পল্টনে জনসভা করার অনুমতি পায় আওয়ামী লীগ। সেই জনসভাতেও মঞ্চ থেকে জয়বাংলা শ্লোগান কেউ দেননি। তবে সভাজুড়ে জয়বাংলা লেখা অসংখ্য প্লাকার্ড ছিল।

এর পরের রোববার ছিল, ১১ জানুয়ারি ছিল জামায়াতে ইসলামীর জনসভা। সেখানেও মুহূমু‌র্হ শ্লোগান উঠে ‘জয়বাংলা’। জয়বাংলার দাপটে হারিয়ে যায় জামায়াতের জনসভা। মারামারি লাগলে মারা যান দুজন। পণ্ড হয় সভা।

এর পরের রোববার ছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি বা পিডিপির জনসভা। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন নূরুল আমিন। তিনি বক্তৃতা দেওয়া শুরু করা মাত্রই গোলমাল শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে মাঠ কাঁপায়। সবার হাতে ছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি। মঞ্চ ছেড়ে পালিয়ে যান পিডিপির নেতারা।

আওয়ামী লীগ সে সময়ের রেসকোর্সের মাঠে প্রথম নির্বাচনী জনসভা করে ৭ জুন। বক্তৃতা দেন বঙ্গবন্ধু। বক্তৃতা শেষ করেন এভাবে-‘জয় সিন্ধু, জয় বেলুচিস্তান, জয় পাঞ্জাব, জয় সীমান্ত প্রদেশ, জয়বাংলা, জয় পাকিস্তান।’বলা হয়, এই প্রথম বঙ্গবন্ধু প্রকাশ্যে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েছিলেন।

এরপরে নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ এর ৩ জানুয়ারী রেসকোর্সের মাঠে ডাকা হয় নির্বাচিত সবাইকে। বঙ্গবন্ধু সেদিন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। জনতার উদ্দেশ্যে সেদিন বন্ধবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার দলের কেউ যদি বাঙলার মানুষের সাথে বেঈমানি করে, আপনারা তাকে জীবন্ত পুঁতে ফেলবেন।’ এইদিনও তিনি বক্তৃতা শেষ করেন জয়বাংলা ও জয় পাকিস্তান বলে।

পরেরদিন, ৪ জানুয়ারি। ঐদিন ছিল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। রমনা বটমূলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সিরাজুল আলম খান এবং অসুস্থ থাকায় শাহজাহার সিরাজ ছাড়া সব ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন মাহবুবুল হক। এই দিন বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেননি, বলেছিলেন কেবল জয়বাংলা।

উপরের পুরো অংশটি লেখক,গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদের পুরানো একটি বই থেকে নেওয়া। ‘এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল’ নামের বইটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। মহিউদ্দিন আহমেদ ৪ জানুয়ারির এই সভা নিয়ে আরও তথ্য দিয়ে লিখেছেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) বক্তৃতা শেষ করেন জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে। এদিন তিনি জয় পাকিস্তান বলেননি, এবং এরপর আর কোনোদিনও না।’

মহিউদ্দিন আহমেদ ৭ মার্চেও রেসকোর্সের মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তারও একটি বর্ণনা আছে বইটিতে। অর্থাৎ তিনি প্রত্যক্ষদর্শী।

এই মহিউদ্দিন আহমেদ ইদানীং সময়ের একটি আলোচিত নাম। জাসদনামা নিয়ে বই লিখছেন। সেই বইয়ের কিছু অংশ এরই মধ্যে তাহেরপ্রেমীদের আহত করেছে। জনাব মহিউদ্দিনের বিশেষত্ব হচ্ছে তিনি সবার নাম ব্যবহার করেন। আর নামগুলো পরিচিত বলে অনেক বিতর্ক ঘটায়। এই বইটিতে তিনি কেবল একটি জায়গায় একজন ছাত্র নেতার নাম উল্লেখ করেননি। ঐ ছাত্র নেতাটিকে চড় মারা হয়েছিল বালকপ্রীতির কারণে। এরবাইরে অনেক কৌতুহলজাানিয়া তথ্য ঘটনার উল্লেখ আছে বইজুড়ে। বইটি মূলত স্বাধীনতার আগে ও পরের ছাত্র রাজনীতি কেন্দ্রীক। আর ঢাকা কলেজে তাঁর সহপাঠি ছিলেন শেখ কামাল। তাঁরও অনেক ঘটনার বিবরণ আছে বইটিতে। সেসব নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। সঙ্গতকারণেই এই লেখাটি জয়বাংলা স্লোগানকেন্দ্রীক।

সব শেষে ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে আরও একটি তথ্য দিয়ে লেখাটি শেষ করা যেতে পারে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলতে পারি, পরেরদিনের পত্রিকায় পুরো ভাষণের শিরোনাম অবশ্যই হবে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। কিন্তু ইত্তেফাকের শিরোনাম কি ছিল জানেন? ‘এসমব্লিতে যাইতে পারি, যদি……..।’ পরেরদিন ইকবাল হলের মাঠে দালাদিল অভিযোগ এনে ইত্তেফাকের কপি পোড়ানো হয়েছিল। সুত্র



বঙ্গবন্ধুর ‘জয় পাকিস্তান’ ও কয়েকটি দলিল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘জয়বাংলা’ বলে শেষ করেছিলেন না ‘জয় পাকিস্তান’ বলে এটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই অনেকে নানারকম বিতর্ক আমি বলব কূতর্ক চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় ২০০৪ সালে কয়েকটি সংখ্যা ধরে অনেকে লিখেছেন, তার কয়েকটি স্ক্যান করে দেয়া হলো-



১। ১৬ জুলাই ২০০৪ সালের সাপ্তাহিক ২০০০। এটিতে লিখেছেন প্রখ্যাত সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। তিনি সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী-





২। ৩০ জুলাই ২০০৪ সালের সাপ্তাহিক ২০০০। এটিতে লিখেছেন বাংলাভাষার প্রধান কবি শামসুর রাহমান। তিনি তাঁর কালের ধূলোয় লেখা আত্মজীবনী গ্রন্থে এ বিষয়ে ভুল লেখার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছেন-





৩। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালের সাপ্তাহিক ২০০০। এটিতে আমেরিকা থেকে লিখেছেন ১৯৭১ সালের দৈনিক পাকিস্তান (পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা)-এর তৎকালীন রিপোর্টার মনজুর আহমদ। তিনি ৭ মার্চের ভাষণের সময় রেসকোর্স ময়দানেই উপস্থিত ছিলেন। অফিশিয়াল দায়িত্ব হিসেবে রিপোটিং-এর জন্যই সেদিন তিনি সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি এ লেখাটি লিখেছেন। মনজুর আহমদ সাংবাদিক মহলে বিএনপি ঘরানার সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ইতিহাসের প্রয়োজনে তিনি লেখাটি লিখেছেন-





৪। দেশের প্রখ্যাত লেখক, রজিনীতিক আবুল মনসুর আহমদ এর। আবুল মনসুর আহমদ-এর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’। গ্রন্থটির ৫৫৫-৫৫৬ নম্বর পৃষ্ঠায় তিনি এ বিষয়ে লিখেছেন। পৃষ্ঠা দু’টো স্ক্যান করে দেয়া হলো-







যুগে যুগে কিছু বেঈমানের সৃষ্টি হয়, আবার কিছু প্রতারকের জন্ম হয় । এখন কথা হলো শফিউল আলম , কাদের সিদ্দিকি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়রা নিজেকে আবার মিডিয়ার সামনে আনার চেষ্টা করতছে। আমাদের দেশে সত্য নিয়া কেউ কোন দিন কথাই বলেননী ,যদি কেউ মিথ্যা কথাকে কোন রকমে ফুটাইয়া তুলতে পারে তাইলেই তিনি হিট নেতা।

বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষনে জয়বাংলাই বলছে এটার কোন ভুল ব্যাখ্যা নাই কারন মউদুদ আহম্মেদ বি.এন.পির আনই মন্ত্রী থাকা কালিন এই ভাষনকে নিয়া ৭বার গবেষসনা করেছেন আর যদি পাইতেন যে জয় পাকিস্তান বলছে তাইলে...আওয়ামীলীগের খবরছিল।

সম্প্রতি প্রশ্ন উঠানো হয়েছে, স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ ধরনের একটি আচমকা-যুক্তিহীন ও ইতিহাসবিবর্জিত প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা না থাকলেও যেহেতু প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকারের লিখিত বই থেকে, সে জন্য এর প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উত্থাপন ঐতিহাসিক কারণেই জরুরি।

পাগলস্থানের (পাবনা) জিয়া এরশাদসহ সব সরকারের সুবিধাভোগী এ কে খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখার জন্য বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত আমাদের বাহিনীর ডেপুটি চিফ, শেখ হাসিনার সরকারের পাঁচটি বছর পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে খেয়ে দেয়ে হাত মুখ মুছে আরাম করে একখানি বই লিখেছেন। সম্প্রতি ‘প্রথমা’ থেকে প্রকাশিত এ বইটির নাম ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া তৎকালীন বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের এ বইটি বিতর্কের ঝড় তুলেছে। সুমহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত নেতারাও বৃহস্পতিবার সংসদে এ নিয়ে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে যুক্তিনির্ভর বক্তব্য রেখেছেন। বইখানি পূর্ণ সত্য নয়, অর্ধসত্য। ইতিহাস নয়, ইতিহাস নিয়ে নির্জলা মিথ্যাচারের দলিল। সুত্র



মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

নাম হিন ভালবাসা বলেছেন: অনেক তথ্য

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

বিডি আইডল বলেছেন: বিডি প্রতিদিনের এইসব ছাগলামী লেখা কপি পেষ্ট না কইরা দুই লাইন লেখ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

তালপাতারসেপাই বলেছেন: লেখা বিডি প্রতিদিনের কপি পেষ্ট?
বিডি আইডল আপনি সিওর না সুওর?
ভারেক রহমান বা ছাগুদের মত পরতিদিন একবার করে স্বাধীনতার ইতিহাস বানাতে জানিনা।
বেশি লেগে থাকলে সিন্ধু স্নানে যান।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১

াহো বলেছেন:
Please give all of your writings original link or otherwise I thought it is false

==========================

টাইম সাময়িকী USA /নিউ ইয়র্ক টাইমস /The Times London
বিনামূল্যে বা এক ডলার আপনি সংবাদপত্র আর্কাইভ এক্সেস পেতে পারেন*.
1971 থেকে আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর

*credit/debit card required
============================
বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.

Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.



Click This Link


===========================================
শেখ মুজিব মৃত্যুর 10 দিন পরে, বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে.পুরো বাংলা পড়ুন. লিঙ্ক শেষে.




মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু ---টাইম সাময়িকী USA
আগষ্ট ২৫,১৯৭৫

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।
সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
Click This Link

পুরো বাংলা link
http://www.sachalayatan.com/hasan_murshed/7973

================

মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত
=============================
লন্ডনের টাইমস পত্রিকায়
25 Aug 1975

মুজিব অনুসারীদের হত্যার প্রতিশোধ করার শপথ



==============
আমি এ সব 1971/1972 সংবাদপত্রে জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

============
More is coming
More is coming
More is comin


=============
টাইম সাময়িকী
USA
শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু / ২৫ আগষ্ট ১৯৭৫

1971-1975 পর্যন্ত আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর

==============




বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973

৭)বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে ,একটি নির্বাচিত সংসদ আইন পাস করতে পারেন,
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.
http://www.imagesup.net/?di=0140770259211






নিউ ইয়র্ক টাইমস -18-04-1971
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ



==============
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত



================



নিউ ইয়র্ক টাইমস -18-02-1972

শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার --- তার গ্রেপ্তার ,স্বাধীনতার বার্তা সম্পর্কে বলছেন ,

big image [/sb

Click This Link



৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২

নন্দীত নরকে বলেছেন: জয় বাংলা বলুক আর জয় পাকিস্তান বলুক, তাতে বাংলাদেশে কি লাভটা হইল বা হইবে? শেখ মুজিব যে পাকিস্তানের চর ছিল সেটাতো সবাই জানে। একটা জাতীকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়ে সে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল বা ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে পাকিস্তানীরা ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

শেখ মুজিব ছিল অসম্ভব ধূর্ত ও ক্ষমতালোভী একজন রাজনীতিবিধ, তার কইন্যা হাসিনাও তাই। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য জন্য হেন কোন কাজ নেই যেটা তারা করতে পারেনা। শেখ মুজিব তার তিন বছরের শাষনে দেড় লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ ভারতীয়দের হাতে তুলে দিয়ে দেশে দূর্ভিক্ষ লাগিয়ে আরও আড়াই লক্ষ লোকের প্রান নিয়েছিল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: তাই নাকি? পাসের বাসার খালুকে আব্বা বলার অভ্যাস আছে বলে মনে হচ্ছে।
নন্দীত নরকে,
"জয় বাংলা বলুক আর জয় পাকিস্তান বলুক"
তো তাই আপনার কি আসে যায়?
প্রতিবেশীগন যার পিতা তার পিতার পরিচয়ে কিবা আসে যায়?

আপনি বলেছেন, "শেখ মুজিব যে পাকিস্তানের চর ছিল সেটাতো সবাই জানে।" প্রমান করতে পারবেন কি?
নাকি আপনার পিতার পরিচয়ের মত তাও অজ্ঞাত?

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

াহো বলেছেন:

বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

Click This Link



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------====================================================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

াহো বলেছেন:



To

নন্দীত নরকে





মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magizine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫


গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসুত্রিতার উপর ক্রমশঃ বিরক্ত হয়ে নিজের হাতে আরো বেশী ক্ষমতা কেন্দ্রীকরনের সিদ্ধান্তগ্রহন করেন মিসেস ইন্দিরাগান্ধী-ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, এ বছরের জুন মাসে ।

এ সিদ্ধান্তগ্রহনে হয়তো তাকে প্রভাবিত করেছিল ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশ।
অর্থনীতির অচল অবস্থা এবং অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ধৈর্যচ্যুতি ঘটায় এবং গত জানুয়ারী মাসে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে তিনি আরো বেশী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী হন ।
এ পরিবর্তন কাউকে বিস্মিত এবং প্রায় সবাইকে ব্যথিত করে । কারন শেখ মুজিবুর রহমান সবার কাছে পরিচিত ছিলেন যুক্তিবাদী,গনতান্ত্রিক এবং অবশ্যই একজন সৎ ও সাহসী মানুষ হিসাবে ।

তার নেতৃত্বকে অযোগ্য অভিযুক্ত করে গতসপ্তাহে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে । যাকে তার দেশের মানুষ ভালোবেসে 'বঙ্গবন্ধু'ডাকতো, যার নেতৃত্বে মাত্র চারবছর আগে দেশ স্বাধীন হয়েছে-তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তারই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এক সহকর্মী ।
যদি ও অভ্যুত্থানের পর পর বহিবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া হয়,তবু প্রাপ্ত থেকে অনুমান করা যায় এ অভ্যুত্থান বেশ রক্তাক্ত । শেখ মুজিবের সাথে তার দুই ভাগনে এবং প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী নিহত হওয়ার কথা শুনা গেছে । এ ছাড়া সারা দেশে মুজিবের ২০০ অনুসারীকে হত্যা করার খবর ও পাওয়া গেছে ।
সপ্তাহশেষে অভ্যুত্থানকারী এক ঘোষনায় জানিয়েছে যে নিহত নেতাকে 'যথাযোগ্য মর্যাদা'য় তার গ্রামের বাড়িতে কবর দেয়া হয়েছে । তার মৃত্যু সম্পর্কে এ ছাড়া আর কোন সরকারীভাষ্য জানা যায়নি ।

পিপলস রিপাবলিক থেকে ইসলামিক রিপাবলিক বাংলাদেশঃ
ভোরবেলা শেখ মুজিবকে হত্যা করার পরপরই বাংলাদেশের রাষ্ট্রের নাম এবং চরিত্র বদলে দেয়া হয় । অভ্যুত্থানকারীদের নেতা,ডালিম নামের একজন মেজর রেডিওতে ঘোষনা করেন যে--এখন থেকে দেশের নাম ' ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ', 'পিপলস রিপাবলিক' নয় । খনদকার মোশতাক আহমদকে বাংলদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করা হয়,যিনি মুজিব মন্ত্রীসভার বৈদেশিক বানিজ্য মন্ত্রী ছিলেন । এছাড়া ডালিম সামরিক আইন জারী ও সারাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৪ ঘন্টা কারফিউ এর ঘোষনা দেন । সেই সাথে হুশিয়ারী উচচারন করেনঃ-'নতুন সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র,আন্দোলন ও প্রচারনা অত্যন্ত কঠোর হাতে দমন করা হবে'তার এ ঘোষনার সময় ঢাকার রাস্তায় ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান মোতায়েন ছিল

পরে আরেক রেডিও সম্প্রচারে নতুন রাষ্ট্রপতি জাতিকে আস্বস্ত করেন যে, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও একনায়কতন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতেই এ পরিবর্তন । রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের সমালোচনা করে বলেন যে তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছিল । এরপরে খন্দকার মোশতাক তার ১৬ সদস্যের কেবিনেট ঘোষনা করেন । আশ্চর্য্যজনক ভাবে নতুন কেবিনেটের প্রায় সকলে,সেই কথিত 'ব্যর্থ সরকার' এরই প্রাক্তন সদস্য ।

কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করিয়ে দেন যে, ৭১ এ প্রবাসী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপালন কালে খন্দকার মোশতাকের,মুজিবের প্রতি অনুগত ছিলেননা এবং তার ভুমিকা ছিলো সন্দেহজনক । স্বাধীনতার পর অভিযোগ উঠে যে, যুদ্ধচলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আমেরিকার ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানক ছিলেন মোশতাক ।
অভিযোগ প্রমানিত হলে, মুজিব সদ্যস্বাধীন দেশের অতিগুরুত্বপুর্ন পররাষ্ট্ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যহতি দেন এবং তরুন ডঃ কামালকে স্থলাভিষিক্ত করেন । হত্যাকান্ডের সময় ডঃকামাল বেলগ্রেডে অবস্থান করছিলেন ।

সংকীর্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগীর অধিকারী খন্দকারকে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক,পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ চর বলে ও সন্দেহ করেন । পাকিস্তানের ভুট্টো সরকারই প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে এই নতুন সরকারকে ।
কিন্তু মুজিব হত্যাকান্ডে ভারতের প্রতিক্রিয়া সবাইকে স্তম্ভিত ও মর্মাহত করেছে ।
একজন সরকারী মুখপাত্র কেবল একটা বিবৃতি দিয়েছেন : তাঁকে আমরা আমাদের সময়ের অত্যন্ত সম্মানিত ও গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিত্ব বলে গন্য করি ।'

নিহত মুজিবের ব্যক্তিত্ব ছিলো অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও জাদুকরী ।তার প্রানচাঞ্চল্য উদ্যমী করে তোলতো সবাইকে । তার আবেগময় ভাষনে লক্ষ লক্ষ জনতা উদ্বেলিত হতো ।
একজন বিশ্লেষক বলেনঃ
'আমি গান্ধী,জিন্নাহ,ও নেহেরুর রাজনীতি এবং জনসম্পৃক্ততা দেখেছি । কিন্তু মুজিব লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে যে প্রেরনা জাগিয়ে তুলতে পারতেন, তার কোন তুলনা হয়না । তার আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবিত করার ক্ষমতা, তা অন্য কোনো নেতার কখনোই ছিলোনা '

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী হিসাবে মুজিব যখন প্রথম কারাবন্দী হন , তখন তিনি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র । এরপর বিভিন্ন মেয়াদে বৃটিশ ও পাকিস্তানের কারাগারে তার কেটেছে অন্ততঃ দশ বছর । মজা করে তাই বলতেন : কারাগার তো আমার দ্বিতীয় বাড়ি ।
১৯৪৯ এ তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৭০ এ পাকিস্তানে প্রথম সাধারন নির্বাচনে দলের জন্য নিরংকুশ বিজয় ছিনিয়ে আনেন । সংবিধান অনুযায়ী তার সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা । কিন্তু ক্ষমতাসীন পশ্চিম পাকিস্তানীরা নির্বাচনের রায়কে অগ্রাহ্য করে । ফলে খুব দ্রুত পাকিস্তানের দু অংশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ।
এ সময় মুজিব পশ্চিম পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে বলেনঃ 'তোমাদের হাতে অস্ত্র আছে, তোমরা আমাকে হত্যা করতে পারো । কিন্তু সাড়ে সাতকোটি বাংগালীর স্বাধীনতা তোমরা আটকে রাখতে পারবেনা' ।

এরপর সামরিক একনায়ক ইয়াহিয়া খান তাকে বন্দী করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে । আর পুর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় সামরিক আগ্রাসন । পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যা করে ৩০ লক্ষ বাংগালী, এক কোটি শরনার্থী হয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে । পরে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয় । পরাজিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তনে ইয়াহিয়া খান গৃহবন্দী হন আর শেখ মুজিব মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ।

৭২এর জানুয়ারী'র প্রথম সপ্তাহে মুজিব ফিরে এলে দেশবাসী এক অনন্য সম্বর্ধনার মাধ্যমে তাকে বরন করে নেয় । ইতিহাসে এর আগে আর বোধ হয় কোন নেতা এতো বিশাল সম্বর্ধনায় সিক্ত হননি । সম্বর্ধনার সাথে সাথে মুজিব এমন এক রাষ্ট্রের দায়িত্ব পান, যে রাষ্ট্রের কেবল একটা কাঠামোই অবশিষ্ট ছিলো, এর বেশী আর কিছু নয় । পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি,সবচেয়ে ঘনবসতিপুর্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ।
প্রশাসন বলে কিছু নেই, শিল্পকারখানা গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে ,সমুদ্র ও বিমান বন্দর গুলো ব্যবহার অনুপযোগী, রেললাইন উপড়ে গেছে, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবি ও দক্ষ পেশাজীবিদের প্রায় সকলে নিহত ।
অর্থনীতির তলানী বলতে যা কিছু ছিল তাও '৭৩ এর খরা ও '৭৪ বন্যায় শেষ হয়ে যায় ।

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।

সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

াহো বলেছেন:


To

নন্দীত নরকে


মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: পোষ্টে +++++++++

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বাঘ হরিণকে ডাকিয়া কহিলো, ওহে বৎস কোথায় যাও? এই দেখ তোমাদের জন্য আমি কত সুন্দর গাঁতা খুঁড়িয়াছি!

হরিণ মুখ ঘুরাইয়া কহিলো, গাঁতা তো দেখলাম; কিন্তু এর ম্যাজেজা কি বস?

প্রশ্ন শুনিয়া- বাঘ ভাঙ্গা দাঁতে কড়মড় শব্দ তুলিয়া কহিলো, আজ থাইকা তোমরা এই গাঁতায় টপাটপ পড়বা আর আমি তোমাদের জ্যান্ত চিবাইয়া চিবাইয়া মহাসুখে ভক্ষণ করিবো!

হরিণ মুচকি হাসিয়া কহিলো, মহারাজ! হটাৎ আপনার কি হইলো, বেশ তো এতদিন আমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াইয়া, লাফাইয়া, ঝাঁপাইয়া খাইতেছিলে; আজ গাঁতা খোঁড়ার দরকার হলো যে বড়?

বাঘ কিছুটা লাজুক হাসিয়া কহিলো, আগে জোয়ান ছিলাম; তাই গায়ে জোড় ছিল, লেবাসও ছিল সেইরাম, তখন তোমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াইয়া খাইতে মজা লাগতো, ব্যায়ামও হইত, মর্দামিও দেখানো যাইতো কিন্তু এখন দিন বদলাইছে, বয়স হইছে, গায়ে জোড়ও কমছে, তাই তো এই গাঁতা খুঁড়িয়াছি- তোমাদের বিনাশ্রমে খাবো বলে!

হরিণ অট্ট হাসিয়া কহিলো, গাঁতা খুঁড়িয়াছ ভাল কথা কিন্তু তুমি ভাবলে কিভাবে আমরা তোমার খোঁড়া এই গাঁতায় পড়বো! দেইখো, বাংলার বাঘ হইয়া বাংলার প্রবাদটা ভুইলা যাইয়ো না; নিজের খোঁড়া গাঁতায় যেন নিজেই উবদ্দা হইয়া পইড়ো না? তাইলে কিন্তু জানও যাইবো, বেজ্জতিও হইবা! আর আমাদের নিয়া টেনশিত হইয়ো না, আমরা তোমার গাঁতা ঠিকই লাফাইয়া পার হইয়া যামু। এইবার একটু জোড়ে লাফ দিতে হইবো এই যা!

অফটপিকঃ বঙ্গবন্ধু লাভারসরা এর আগেও অনেক গাঁতা লাফাইয়া পার হইছে, এটাও হবে। একটু জোড়ে লাফ দিতে হবে এই যা! আর বাংলার প্রবাদটা- আগের মতই রইলো এর খোদকদের জন্য !!!

Click This Link

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: বঙ্গবন্ধু সেদিন (৭ মার্চ) ‘জয় পাকিস্তান’ বললে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট হতো, তেমন কোনো রিপোর্ট তো সেসময় কোথাও হয়নি!

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি দেখুন।

বলুনত, ভাষন শেষে শেখ মুজিবুর রহমান কি 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন?

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কি বলে আবার ধরা খাব বুঝতে পারছিনা, তবে এটুক্য বলতে পারি যে, ছোটবেলায় যখন ছোটবেলায় ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতাম, শেষ দিকে এসে মাইকের শোঁ শো শব্দ আচমকা বন্ধ হয়ে যেত আবার চালু হলে শোনা যে, জয় বাংলা। এটুকু এডিট করা কিনা জানিনা, তবে ওনার পুরো বক্তব্যের সময় যে মেজাজ, তার সাথে ঐ 'জয় বাংলা' উচ্চারণ ঠিক যেন খাপ খেতোনা। তবে উপরের ভিডিওতেও দেখলাম, উনি জয় বাংলা বলার আগে কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। এ থেকে ধারণা করা যায়, ইউটিউবে পাবলিশ করার আগে কিছুটা সাউন্ড এডিটিং করে হয়েছিল।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

জামান শেখ বলেছেন: আমার প্রিয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি।
১। জাতির পিতা।
২। দেশ নায়ক
৩। বাংলার জনক..... ইত্যাদি।

শুধুমাত্র সে স্বাধীনতা ঘোষনা সে করেননি। এতে আওয়ামী ভাইদের সমস্যাটা কোথায়। তাকে জোর করে সবই করাতে হবে নাকি। উনি কি শুধু আওয়ামী নেতা। উনি ছিলেন দেশের নেতা। এই একটি বিষয় নিয়ে কাদাছড়াছড়ি করে তার মত গুনীজনকে অপমান করা হচ্ছে। দেশকে বিভাজন করা হচ্ছে। তাকে আমরা রাষ্ট্রনায়ক হিসাবেই জানি। তার আত্তার মাগফিরাত কামনা করি।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

প্রবালরক বলেছেন: পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামুদ্রিক ও হাওয়াই জাহাজে করে সৈন্য-সামন্ত, অশ্ত্র-শস্ত্র আসতে থাকে। অস্ত্র-গোলা-বারুদ সমেত বিপুল সংখ্যায় পান্জাবী সৈন্যের আগমনের খবর যেমন অনেকে জানত তেমনি গনমানুষের নেতা মুজিবও জানত। তিনি বিশেষ গা করেননি। মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীর মিছিলে যদি গুলী চলে এবং দশ-বিশ জন বাঙ্গালী যদি গুলীবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তাতে আওয়ামী লীগের বা মুজিবের কোন ক্ষতি নেই। বরং সেরকম কিছু ঘটলে আন্দোলন আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে। দেশে-বিদেশে মুজিবের পক্ষে সমর্থন আরো দৃঢ় হবে।
বাস্তবে ২৫শে মার্চ মাঝরাতে যখন গনহত্যা শুরু হয় - কিংকর্তব্যবিমুঢ় মুজিব আটক হবার আগে দেয়া সর্বশেষ বিবৃতিতে ২৭শে মার্চ দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতালের আহ্বান জানান। (১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের লিড নিউজ। ) পিছনে গুলী-বোমা-আগুনের তান্ডবের মধ্যে অসহায় হতভম্ব জনতাকে ফেলে রেখে পুরো আওয়ামী নেতৃত্ব পালিয়ে যায়। এ গনহত্যার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানী পান্জাবী সৈন্যরা আজো ঘৃনিত ও ধিকৃত। কিন্তু তখনকার অপদার্থ আওয়ামী নেতৃত্বের দায় নিয়ে কেউ কখনো কোন কথা বলেনি।
কারন অখ্যাত মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে আওয়ামী অপদার্থ নেতৃত্বের ব্যার্থতা ঢেকে দেন।

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: If a freedom fighter kies, then who is the saint in this country?

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

রাফা বলেছেন: পাকিস্তানিদের মুখেই শুনুন-http://www.somewhereinblog.net/blog/zzamanblog/30020018

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

রাফা বলেছেন: পাকিস্তানিদের মুখেই শুনুন....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.