নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা-এরশাদ গোপন সমঝোতার চেষ্টা!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

মধ্যবর্তী নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে ‘নতুন চাপে’ ফেলতে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রকাশ্য সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তার পতœী বেগম রওশন এরশাদকে ‘ম্যানেজ’ করতে কয়েকজন মধ্যস্থতাকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বশীলরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের গোপন সমঝোতা বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। জাপা দলীয় সংসদ সদস্যরা যেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করে সরকারকে ‘বিপাকে’ ফেলেÑ এজন্য এরশাদকে রাজী করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারীরা। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এ আভাস মিলেছে।

সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের গোপন সমঝোতার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই প্রভাবশালী নেতা গত সপ্তায় দুদফা যোগাযোগ করেন এরশাদের সঙ্গে। জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মুঠোফোনের মাধ্যমে এরশাদ-খোকার কথাও হয়।

সূত্রগুলো আরও জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও এরশাদকে ‘ম্যানেজ’ করার দায়িত্বে ছিলেন খোকা। তার মধ্যস্থতায় ওইসময় খালেদা জিয়ার সঙ্গেও এরশাদের ফোনালাপ হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে এরশাদ ২৬ ঘণ্টা আÍগোপনে ছিলেন। ওইসময় ব্যক্তিগত সহকারী বাদশাকে সঙ্গে নিয়ে গুলশান-১ নম্বরের ১৭ নম্বর সড়কের একটি পুরনো বাড়িতে ছিলেন এরশাদ। ওই রাতেই এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন খোকা। নির্বাচন বর্জন বিষয়ে এরশাদকে রাজি করানোর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গেও কথা বলেন এরশাদ। পরবর্তীতে বিএনপির সঙ্গে এরশাদের সমঝোতা বিষয়ে খোকার ভূমিকা ফাঁস হওয়ায় ৬ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে ভেস্তে যায় সমঝোতা প্রক্রিয়াও।

সূত্রমতে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে খোকার ভূমিকা রাখার আগেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো দুদফা কথা বলেছিলেন এরশাদ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালের জুনে প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়া ওই বছরের ১৬ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এরশাদও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১০ জুন সিঙ্গাপুর যান। ১৬ জুন তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেন ১৯ জুন। সিঙ্গাপুর অবস্থানকালেই স্ত্রী রওশনকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এরশাদ। এরপর দ্বিতীয় দফায় খালেদা-এরশাদ কথা হয় ২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট। ২৭ আগস্ট এরশাদ তার কনিষ্ঠ ছেলে এরিকের চিকিৎসার প্রয়োজনে এক সপ্তাহের সফরে সিঙ্গাপুর যান। যাওয়ার দুদিন আগেই তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বলে সে সময় গণমাধ্যমে খবর বের হয়।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারবিরোধী অবস্থান নিতে এরশাদের পক্ষ থেকে বরাবরই শর্ত দেয়া হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মধ্যস্থতাকারীদের। সেই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এরশাদকে রাষ্ট্রপতির পদে বসানোর নিশ্চয়তা এবং রাজনীতিতে জাপার উত্থান জোরালো করতে আর্থিক সহায়তা।

সূত্রমতে, খোকার মধ্যস্থতায় ২০১৩ সালে আর্থিক সহায়তার বিষয়ে মোটামুটি একটা ফয়সালা হয়েছিল। শুধু বাকি ছিল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি করার বিষয়ে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে ‘চূড়ান্ত সম্মতি’ আদায়। বর্তমানে এরশাদের সঙ্গে নতুন সমঝোতার উদ্যোগেও পুরনো শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপির সূত্রগুলো আরও জানায়, এবার এরশাদকে ‘ম্যানেজ’ করতে খোকা ছাড়াও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছেন এরশাদেরই সাবেক ঘনিষ্ঠসহচর ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারও কিছুটা ভূমিকা রাখছেন। এই দুই নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাদেক হোসেন খোকারও যোগাযোগ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের সমঝোতা বিষয়ে ভূমিকা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীর কোনও ভূমিকায় আমি আপাতত নেই। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা বিষয়ে এরশাদ যে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, এই ঘোষণার মধ্যে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত বহন করে কি-না, তা সময় হলেই স্পষ্ট হবে।’

জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগের খবর আমার জানা নেই।’ সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.