নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সরকারের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে ফেসবুকার, ব্লগার, সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রক জামায়াত-শিবিরের শতাধিক গ্রুপ। এই গ্রুপে আছে সুইসাইডাল গ্রুপও। উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধতার অপপ্রচার চালানোর জঙ্গী তৎপরতায় উস্কানিদাতা তারা। প্রগতিশীল, মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক মতবাদের পক্ষকে কতল করে তারা। অবরোধ-হরতালের নাশকতার আন্দোলন, সরকারবিরোধী কর্মকা- ও জঙ্গী তৎপরতার উস্কানির নির্দেশনা ফেসবুকসহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব গ্রুপ। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে
জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের তথ্য দিয়েছে জামায়াত-শিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার প্রধান হোতা এ কে জিয়াউদ্দিন ফাহাদ। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
জামায়াত-শিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার প্রধান হোতা এ কে জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে। জামায়াত-শিবির পরিচালিত ফেসবুকার, ব্লগার, সাইবার জগত নিয়ন্ত্রকের শতাধিক গ্রুপের সন্ধানে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। জিয়াউদ্দিন ফাহাদ গ্রেফতারের পর গা-ঢাকা দিয়েছে জামায়াত-শিবির পরিচালিত শতাধিক গ্রুপ। শতাধিক গ্রুপের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। কারণ এখন গ্রামে-গঞ্জে চলে গেছে ইন্টারনেট সংযোগ। সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় মাঠে নেমেছে গ্রামে-গঞ্জের জামায়াত-শিবির কর্মীরাও।
গোয়েন্দা সূত্র জানান, সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে জিয়াউদ্দিন ফাহাদ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিত হত্যাকা-ে জড়িত ফারাবীকে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করে ফারাবীকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও ফাহাদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিজিত, রাজিবকে হত্যা করাকে সমর্থন করেন তারা এবং তাদের সহযোগী সুইসাইডাল গ্রুপ হত্যা করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা। যারা প্রগতিশীল মুক্তমনা অসাম্প্রদায়িক ব্লগার তারাও হত্যার তালিকায়। এ জন্য তাদের সুইসাইডাল গ্রুপ রয়েছে, যারা কতল করে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফারাবী ও ফাহাদ-দুজনই জানিয়েছে, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রদের মটিভেট করে তাদের গ্রুপে নিয়ে আসে তারা। একবার মগজ ধোলাই করা গেলে, তারা নিজের জীবন দিতে দ্বিধা না করে শহীদ হতেও প্রস্তুত। অনেকেই পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জিহাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রক হন। এটা এক উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধতার নেশা। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে সমাজে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে তারা। জামায়াত-শিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার প্রধান হোতা এ কে জিয়াউদ্দিন ফাহাদ ও অভিজিত হত্যায় অভিযুক্ত ফারাবীকে জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গোয়েন্দা সূত্র জানান, ফারাবী ও ফাহাদসহ জামায়াত-শিবিরের তালিকাভুক্ত শতাধিক সদস্য আইটিতে অত্যন্ত পারদর্শী। বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে তারা প্রগতিশীল লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, বিচারক, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে জঙ্গীদের ঘনিষ্টতা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লেখক অভিজিত রায়কে হত্যার পর উগ্রপন্থী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করা হয়। ফারাবীও এক সময় ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিল। বাঁশেরকেল্লা, বাঁশেরকেল্লা ইউএসএ, ‘তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লা, ‘আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল, বাকশাল নিপাত যাক, আই অ্যাম বাংলাদেশী, ডিজিটাল রূপে বাকশাল, বিএএন বাঁশখালী নিউজ-২৪, ইসলামী অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট, তরুণ প্রজন্ম, ভিশন ২০২১-সহ অর্ধশতাধিক ফেসবুক পেজের এ্যাডমিন হিসেবে ফাহাদ কাজ করছিল। এসব ফেসবুক পেজ থেকে বিচার বিভাগ, পুলিশ, লেখক ও সাহিত্যিকদের ব্যঙ্গচিত্র শেয়ারের পাশাপাশি হত্যার হুমকি নিত্যদিনের। আর এই পোস্টগুলো ছাত্রশিবিরের প্রচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহযোগীদের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আসল নামের পাশাপাশি সে বিপ্লব দহন ও ট্রুথ ফাইটার ছদ্মনামে ফেসবুক ও ই-মেইল আইডি খুলে অনলাইনে ধর্মীয় উগ্রবাদী প্রচারণা চালাত। জামায়াত-শিবিরের আইটিবিষয়ক সমন্বয়কও ফাহাদ।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জামায়াত-শিবিরের একটি বড় অংশ সাইবার অপরাধে সম্পৃক্ত। ফেসবুকে বাড়ছে জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গীদের অপতৎপরতা। চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে, এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে দেশব্যাপী কি ধরনের সহিংস সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানো হয়েছে তার উদাহরণ তো সামনেই আছে। তাদের উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ তৎপরতায় জঙ্গীবাদ ছড়াচ্ছে। অভিজিত, রাজিব হত্যাকা-ের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কত ভয়ঙ্কর পথে এগুচ্ছে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রক উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী নিয়ন্ত্রকরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেল প্রধান ডিসি মোঃ মাসুদুর রহমান বলেছেন, জামায়াত-শিবির পরিচালিত ফেসবুক, ব্লগ ও সাইবার জগতের মাধ্যমে উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ ও জঙ্গী তৎপরতায় উস্কানিদাতাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে জঙ্গী সম্পৃক্ততা ও সুইসাইডাল গ্রুপের সদস্য জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে অভিজিত হত্যায় অভিযুক্ত ফারাবী ও জামায়াত-শিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লার হোতা ফাহাদ গ্রেফতারের পর তাদের সহযোগী শতাধিক গ্রুপ গা-ঢাকা দিয়েছে।
সুত্র
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @ল্যাটিচুড, তালপাতার সেপাই, মন্ত্রক, আহমেদ রশীদ এবং জহিরুল হক বাপী - এঈ চারজন হচ্ছে আওয়ামী লীগের পেইড দালাল। এরা ব্লগ লেখার জন্য পয়সা পায়, কিন্তু মন্তব্যের জন্য পায়না। তাই এদের পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
ল্যাটিচুড বলেছেন: এসব পোষ্ট দিয়ে - বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার মানে কি?
আপনি শিরোনাম দিয়েছেনঃ জঙ্গী তৎপরতায় উস্কানি দিচ্ছে জামায়াত শিবিরের শতাধিক গ্রুপ
সরকার যদি জানেই যে এরা জঙ্গী তৎপরতায় তবে এদের ব্যান করছেনা কেন? আর সরকার যদি জেনেও এদের জঙ্গী তৎপরতার রাজনৈতিক সুযোগ নেওয়ার জন্য এদের ব্যান না করে, তাহলে তো দুজনাই সমান দোষী।
আর না জেনে থাকলে আপনার মত যাদের কাছে নিয়মিত এসব ক্লাসিফায়েড খবর পাওয়া যায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার।
কারণ আপনাদের এই লোক দেখানো মিথ্যা সমর্থন আওয়ামীলিগের ও সরকারের দির্ঘমেয়াদী ক্ষতি করছে, জনগনের কাছ থেকে সরকার ও দলকে দুরে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই - মিথ্যা প্রপাকান্ডা বন্ধ করে, সরকারের ভালো দিকগুলে নিয়ে নিয়মিত লিখুন।