নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় শহীদ সেনাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কে জড়াচ্ছেন যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ফেসবুকে এক সাংবাদিকের ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ বিতর্কে জড়িয়েছেন। ভারতীয় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েছেন আমান। তার এ মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ সন্তানসহ সচেতন দেশ প্রেমিকরা।
সূত্র জানায়, গত ২৮ মে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক ও সাংবাদিক অঞ্জন রায় তার নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য তাদের জীবন দিয়েছেন, মারাত্মক আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্য। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সুশীলজনরা ভারত ইস্যুতে বিভিন্ন কথা বলেন আর ভারতবিরোধী কার্ড খেলার বুদ্ধি দেন। কিন্তু কখনো তারা বলেন না, এই ৪ হাজার জীবন দেয়া ভারতীয় সেনাদের জন্য অন্তত একটা স্মারক স্তম্ভ হলেও নির্মাণ করার কথা।
অঞ্জন রায় তার পোস্টে আরো বলেন, ভুলে গেলে চলবে না প্রতিবেশী দেশের ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া আর ৪ হাজার সেনা সদস্যের জীবন দানের বিষয়টি কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে খুব বেশি নেই। সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যিক অসামঞ্জস্য, এই ইস্যুগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে গিয়ে ভারতবিরোধী কার্ডের ব্যবহার রাজনৈতিক অসততা।
এর সূত্র ধরে রাজাকার গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী অঞ্জন রায়কে অদ্ভুত এক দালাল!! বলে মন্তব্য করে বলেন, (১) ১৯৭১-এর ৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী যে যুদ্ধ করেছে এই (ইস্টার্ন) ফ্রন্টে, তাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তেমন কোনো প্রতিরোধ করেনি, মাত্র ২-১টা ব্যাটল ছাড়া। তাহলে, এই ৪০০০-এর তত্ত্ব বা তথ্য তিনি কোথায় পেলেন? আমান প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৯৭১-এর সেই যুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা করেও কোথাও তো এই সংখ্যা কোনোদিন পাইনি! রায় বাবু কি তিন মিলিয়নের মতো কোনো কাল্পনিক নতুন সংখ্যা নতুন প্রজš§কে গিলাতে চাইছেন? আমান আযমী বলেন, প্রায় ১ লাখ সেনাবাহিনীর যে বিশাল অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভাণ্ডার ছিল তা ভারত কোন অধিকারে (চোরের মতো) নিজ দেশে নিয়ে গেছে? ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী কখনোই ১৯৭১ সালে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেক ভারতীয় অফিসারের লেখা অনেক বই পড়েছি। তারা নির্লজ্জভাবে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা ও মুক্তিবাহিনীর অবদান এড়িয়ে গেছে।
আমান তার পোস্টে মন্তব্য করে বলেন, অথচ আমাদের এই দুই বাহিনী যদি ৩ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্নভাবে যৌথবাহিনীর আক্রমণের জন্য ক্ষেত্র তৈরি না করত এবং ৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নানা রকমভাবে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহায়তা না করত এবং স্থানীয়রা বিভিন্ন রকমে সহায়তা না করত, তাহলে কেবল ভারতীয় বাহিনীর কী কঠিন অবস্থা হতো তা যে কোনো সামরিক ব্যক্তিই অনুমান করতে পারে! তারপরও তারা এ ব্যাপারটির স্বীকৃতি দিতে কৃপণতা করে! এ ব্যাপারে তাদের কোনো সদুত্তর নেই।
সর্বশেষ লাইনে আমান মুক্তমনা এই সাংবাদিককে হুঁশিয়ার করে বলেন, ভারতের দালালি বন্ধ করুন। আর যদি কোনো হিডেন এজেন্ডা থেকে থাকে, তাহলে প্রকাশ্যে বলেই ফেলুন না! দেখুন, এ দেশের মানুষ আপনাদের মতো দেশবিরোধীদের কী উপহার দেয়!
২৯ মে তার ওই পোস্টের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় ফেসবুকে। একজন দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীর ছেলের এ ধরনের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন অনেকেই। অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মাহমুদুল হক মুন্সী ফেসবুকে লিখেছেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখাচ্ছে রাজাকারের বাচ্চা!। তিনি লিখেছেন, গোলাম আযমের পোলা আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার বাপের তৈরি রাজাকার বাহিনীর হাতে মৃত ভারতীয় সেনাদের সংখ্যার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
অঞ্জন রায় অবশ্য তার ফিরতি স্ট্যাটাসে গোলাম আযমের ছেলের ‘গালিকে’ ভিন্নভাবে দেখেছেন। ৩০ মে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, যখন বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হলো তার পরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বাবা (সিপিবির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কমরেড প্রসাদ রায়)। কয়েক বছর আমরা জানতাম না কোথায় তিনি? বেঁচে আছেন কি-না? তারপরেও পরিবারের কেউ মাথা নত করেননি। ভিক্টর যারা, কর্নেল তাহের, বেঞ্জামিন মালোয়েস, খালেদ মোশারফের ইতিহাস আমাকে সাহস দেয়।
সেই আমাকে নিয়ে খামোখা লিখে, পোস্ট দিয়ে কী লাভ? আমি যা বিশ্বাস করি, সেটা বলি। আর আমি জানি সহসা অপমৃত্যুর সঙ্গে দেখা হওয়াটা আমার জন্য খুবই স্বাভাবিক। তবে একটাই কথা আমি ভদ্রলোক না, স্ট্রিট ফাইটার। শেষ পর্যন্ত দাঁত আর নখ দিয়ে লড়াইটা জানি।
অঞ্জন রায় আরো বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে গর্বিত, কারণ আমাকে নিয়ে যিনি পোস্টটি দিয়েছেন তার পিতার নাম গোলাম আযম। আজ আবার বুঝলাম আমার ট্র্যাকটা ঠিকই আছে।
আযমীর সমালোচনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ লিখেছেন, ইতিহাসের অজ্ঞতা। সামরিক জ্ঞানের নামে মিথ্যাচার। পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের গ্লানি ঢাকতে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্বীকার করার কুণ্ঠা বোধ থেকে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা।
কাজী অংকন লিখেছেন, একে তো উনার সেনাপ্রধান হওয়ার খায়েশ মেটেনি, তার ওপর ঘাতক বাপটাও গেছে মরে, সব দোষ ভারতের। এ ব্যাপারে গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমীর প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করলে তার ব্যবহƒত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র
২| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০২
আমি মিন্টু বলেছেন: আজ দেশে বহু দালাল আছে ।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১২
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: দালালটার বাপ ছিলো একটা বিখাউস, দালালটা নিজে হইসে একটা বিচি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০০
রাফা বলেছেন: বরাহ শাবকরা জিবনের অন্তিম মূহুর্ত পর্যন্ত ঘোত ঘোত করতেই থাকবে।এই পিশাচ শাবকদের কথা কাউন্ট করার কিছু নেই।এদের কথার জবাব দেওয়া মানেই হোচ্ছে গুরুত্ব দেওয়া।এবং এই রাজাকারে আওলাদরা সেটাই চায়।