নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার খবর আমরা পাচ্ছি পত্রিকায়। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের খবরও পাচ্ছি। এ ব্যাপারে অর্থাৎ যোগদানের প্রশ্নে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপকৌশলের আশ্রয় নিতেন তাহলে এতদিনে বিএনপির গোলাঘর কর্মীশূন্য হয়ে যেতো। শেখ হাসিনা স্পষ্টতই বিএনপি-জামায়াতের লোকজনদের আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারে উৎসাহী নন। তবুও মফস্বল পর্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন, তার খবর পাচ্ছি। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ইউপি নির্বাচানকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর রমজানপুর বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় উক্ত যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। (সংবাদ-২৭/২/১, পৃ: ১০, ক: ৪)।
পুরোনো পত্রিকার ফাইল খুঁজলে এমন আরো খবর পাওয়া যাবে। তাছাড়া বিএনপি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার চেয়ে তার চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী (চিরশত্রু) আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার এবং বিরতিহীন অভিযোগ তুলতে প্রখরতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তা লাগামছাড়া এবং অশোভনও হচ্ছে। আর হুমকি ছাড়া বিএনপি কোনো অভিযোগ দিতে অক্ষম।
বিএনপির তারকারা বোধ করি খেয়াল করেননি, তাদের প্রিয়দর্শিনী নেত্রী রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে নিতে, নির্বাচন বর্জন করতে করতে দলের নেতা কর্মীদের রাজনীতি-বিমুখ করে তুলেছেন। তাদের লড়াকু মনোভাবে ধ্বস নেমেছে। তারা টিভির পর্দায় দেখছে রুহুল কবীর রিজভির চড়াগলার বিৃবৃতি আর প্রায় প্রতিমাসে অন্তত একবার জিয়ার মাজার জিয়ারতের দৃশ্য। কোনো দলের মধ্যে অবক্ষয় দেখা দিলে সে দলের রাজনীতি মাজার নির্ভর হতে বাধ্য। যেমন গণবিচ্ছিন্ন সামরিক শাসকরা সব সময় পীর-দরবেশ, মাজার ও ধর্ম নির্ভর রাজনীতির চর্চা করে থাকে। নিজেদের রাজনৈতিক অযোগ্যতা ঢাকা দেয়ার জন্য এ সব ফন্দি-ফিকির করে থাকে তারা। এখন মনে হচ্ছে চালাকি করে বঙ্গবন্ধুর কবর টুঙ্গীপাড়ায় করাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য শাপে বর হয়েছে। তা না হলে তারাও রাজনৈতিক কাজকর্ম ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারেই পড়ে থাকতো, কান্নাকাটি, মোনাজাত, জিগির-আসগার করতে থাকতো।
বিএনপির রাজনীতি যখন মোনাজাত আর অভিযোগ নির্ভর হয়ে উঠেছে তখন ইউপি নির্বাচনে ১১৪টি ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী নেই। এর জন্য রুহুল কবীর রিজভী সাহেব ক্ষমতাসীন দলকে কঠোরতম ভাষায় দায়ী করেছেন, যা এক ধরনের গালাগালির পর্যায় পড়ে। কেন ১১৪টি আসনে প্রার্থী নেই বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। তার সুস্পষ্ট কারণ পত্র-পত্রিকায় আসেনি। যা এসেছে তা শুধু ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ। গত পৌর নির্বাচনেও বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রমাণিত হয়েছিল। তাও ঢাকা হয়েছিল ইসিকে দোষারোপ করে।
বিএনপিরও বয়স হয়েছে। সেটিও একটি পুরোনো দল। জিয়াউর রহমানের বড় কৃতিত্ব বিএনপির মতো একটি বড় দল প্রতিষ্ঠা। আর যা-ই থেকে জিয়া এরশাদের মত রাজনৈতিক ভাঁড় ছিলেন না। বাংলাদেশে তার সমর্থক ঈর্ষনীয়। তেমন একটি দলের ১১৪ জন প্রার্থী না থাকার মূল কারণ অন্য জায়গায়। গায়ের জোরে সরকার পক্ষ ১১৪ জন প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিতাড়িত করেছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিবেদন থেকে একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি, ‘গতানুগতিক ধারায় সরকারি দলের প্রার্থীদের বিজয়, আর্থিক ও ব্যবসায়িক ক্ষতি, জেলা নেতাদের পক্ষপাতিত্ব, সাংগঠনিক দুর্বলতা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, হামলা-মামলার ভয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্ব, নির্বাচিত হওয়ার পরও দায়িত্ব পালন করতে না পারাসহ কমপক্ষে ১৪টি কারণে স্থানীয় সরকারের আসন্ন নির্বাচনে ১১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রাথী নেই ক্ষমতার বাইরে থাকা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির। প্রতিক‚লতার অজুহাতে যে সব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী নেই; সে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা নেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনার চিন্তা করেছে দলীয় হাই কমান্ড। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের শোকজ করারও চিন্তা করছে দলটি। একই সঙ্গে ওইসব ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থীকে মাঠ ছেড়ে না দিয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপি।’ (২৭/০২/২০১৬)।
তাহলে ‘ডালমে কুচ কালা হ্যায়।’ এটা মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগ। টাকা ঈশ্বরের ভূমিকা পালন করে। সরকারি দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তাদের প্রার্থীরা মাঠ ছেড়ে দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ জানাবো বিএনপিকে। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাঠ গোছানো থাকা সত্ত্বেও আকস্মিক পরাজয় নিয়ে তখনকার জাতীয় পত্রিকাগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছিল। তাতে উঠে এসেছিল আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতা; একই সঙ্গে বিশ্লেষণ এসেছিল যে, অসংখ্য ভোট কেন্দ্রের এজেন্ট টাকা খেয়ে বিএনপিকে দুর্গ ছেড়ে দিয়েছিল। বিএনপি আওয়ামী লীগের শ্রেণিচরিত্র কাছাকাছি। শেখ হাসিনার সঠিক রাজনৈতিক পদক্ষেপের কারণে হয়তো আওয়ামী লীগের মনোবল চাঙ্গা আছে; বিএনপির মনোবলে হোচট লেগেছে। আর একটা কথা সবাই জানে ঠরপঃড়ৎু রং ধষষ ধহফ ফবভবধঃ রং ড়ৎভধহ.’ মানুষ জয়ের জোয়রেই গা ভাসাতে থাকে, পরাজিতদের কৃপা করে।
কিন্তু ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ী হলো কেমন করে? বিএনপি বুদ্ধি করে বিকল্প নমিনেশন সাবমিট করেনি কেন? আজকাল মিডিয়া তো গ্রাম পর্যায়ে চলে গেছে। যেখানে যেখানে বিএনপি নমিনেশন সাবমিট করেনি সেখানকার বিএনপি প্রার্থীরা গণমাধ্যমের কাছে কোনো কারণ তুলে ধরেননি কেন? যেখানে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সরকার দলীয় প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, সেখানে ইসিকে দোষারোপ করার ছিদ্র খুব কম। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ী হওয়ার সবটুকু ব্যর্থতা বিএনপির আর সবটুকু কৃতিত্ব সরকারদলীয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত। এখানে গায়ের জোর মোটেও খাটবে না। নিশ্চয় জয়ী প্রার্থী বিএনপি জামাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে এবং বিদ্রোহী প্রার্থীকে ম্যানেজ করেছেন। তিনি জাদুকর জুয়েল আইচের মত জাদু খাটিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় উর্ত্তীণ হয়েছেন এ কথা সত্য নয়। প্রতিপক্ষ হয়তো ভেবেছেন অযথা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে লাভ কী? লোক ক্ষয়, টাকার শ্রাদ্ধ। তার চেয়ে ‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, বাকির খাতা শূন্য থাক।’ তাতে কয়েকদিন বাজার খরচ চলবে!
বিএনপি হাইকমান্ড থেকেই নির্বাচনে রণেভঙ্গ দেয়ার ট্রাডিশন সৃষ্টি করা হয়েছে। এর কুপ্রভাব তৃণমূলে পড়লে কাউকে দোষ দেয়ার কিছু নেই। নির্বাচনে অনিয়ম তৃণমূলেই প্রতিহত করার দৃষ্টান্ত দেখাতে হবে বিএনপিকে। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে দোষারোপ করলে লাভজনক কিছু হবে না। একই সঙ্গে আমরা ইসিকে অনুরোধ জানাবো, সরকারের ইমেজ এখনো ভালো আছে, তাই পক্ষপাতমূলক আচরণ করে গণতন্ত্রের ভিতে আঁচড় কাটার দরকার নেই আপনাদের। আপনারা বিএনপির ক্রুদ্ধ অভিযোগের তোড়ে স্থির থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন। তাতে গণতন্ত্র চর্চার পথ কুসুমাস্তীর্ণ হবে। সূত্র
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইউনিয়ন পরিষদ হলো গ্রামের মাস্তানদের চুরির আড্ডাখানা
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
সাধারন বাঙালী বলেছেন: দাদার নামের সাথে লেখার মিল হুবোহুব
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৫
বিজন রয় বলেছেন: কি জানি।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আবদিয়াৎ বলেছেন: পাবে কিভাবে জিতলেও তে গরাদখানা রেডি ? নাশকতার মামলা !!! তারচেয়ে বরং নাই যাই হাসু আপা খুশি থাক ।উন্নয়ন চলবে সুনামির মতন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনাও মানুষের মন পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের অনেকে ভয়ে আছে, ভোট দিলে খালেদা জিয়া জিতে যাবে।
শেখ হাসিনা 'ভালো করছে'; তবে, এগুলো রাজনীতি নয়
আপনি নিজেও রাজনীতি বুঝেন না, আপনি আোয়ামী লীগ, বিএনপি'র কার্যক্রম বুঝেন।