নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সেনানিবাস এলাকার বাইরে হ্ত্যা স্থানের নিকটবর্তি আবাসিক এলাকার বাড়ি ঘর।
ঐ স্থানের কাটা তারেত্র বেড়া নির্মাণাধীন থাকায় এলাকাটি অরক্ষিত ও অবাধে যাতায়তের সুযোগ রয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যা মামলা তদন্তে ঢাকা ও কুমিল্লার সিআইডির একটি দল শনিবার ফের কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ...খুনীরা ঐ এলাকারই। আশেপাশেই তাদের অবস্থান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি খুনীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
ঢাকা ও কুমিল্লা সিআইডির এই দলটিকে পুলিশ সদর দফতরের একটি মনিটরিং টিম সহযোগিতা করছে। পুলিশ সদর দফতরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আসলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ঘটনার শুরুতেই এই হত্যার ক্রাইমসিন (অপরাধ সূত্র) সংগ্রহ করতে পারেনি। তারা শুরুতে গুরুত্ব দিলে খুনিরা খুব সহজেই বের হয়ে যেত।
পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক বলেন, ছায়া তদন্তকারী দল হিসাবে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে ঘাস ও মাটি সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করেছে। পরীক্ষার রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে। এই রিপোর্ট আজ (শনিবার) সিআইডির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির দলটি সেনানিবাসের ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তারা প্রায় ৩ ঘন্টা অবস্থান করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তদন্তকারী দলের সদস্যরা প্রথমে তনু মরদেহ যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় সে স্থানটি পরিদর্শন করেন। পরে তনু সেনানিবাস এলাকার অলিপুরে সেনাবাহিনীর যেসব লোকদের বাসায় প্রাইভেট পড়াতো সেসব বাসায় যান এবং আসা-যাওয়ার পথে তারা ঘটনাস্থল ও আশপাশের পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন। বিকালে কুমিল্লা পুলিশ অফিসার্স মেস ‘সঞ্চিতা’র ফটকে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার ও তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান আবদুল কাহার আকন্দ ও সিআইডি কুমিল্লা শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান। এসময় দলের অন্যদের মধ্যে ছিলেন সিআইডি-ঢাকার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এহসান উদ্দিন চৌধুরী, পরিদর্শক মাওলা এবং কুমিল্লা থেকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, পরিদর্শক শাহনেওয়াজ, মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীম, সাবেক দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলম ও ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলামসহ পুলিশ-সিআইডি’র পদস্থ কর্মকর্তারা।
তনুর মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ: ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিকাল ৩টার দিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, দুই ভাই নাজমুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন রুবেল, চাচাতো বোন লাইজু জাহান লাইজুকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসা থেকে সিআইডি কুমিল্লা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে সিআইডির তদন্তকারী টিমের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের জানান, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করে মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে নিতে চাই। সবদিক যাচাই-বাছাই করে দেখছি। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের সমন্বয় করা হচ্ছে। মৃতদেহটি পরীক্ষার পর ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সকের উচিত ছিল তনু কখন মারা গিয়েছে তা উল্লেখ করা। এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনেক কিছু ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে এবং তথ্যের ঘাটতিও আছে। তনুর মা-বাবাকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তাদের বারবার জিজ্ঞাসা করা হবে। কোনো কিছু যাতে বাদ না পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদশেষে তাদেরকে আবার সেনানিবাসের বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান আবদুল কাহার আকন্দ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করছি। এর বাইরে আর কিছু বলা যাবে না।’
তনু হত্যার পর যুবক নিখোঁজ: হত্যাকান্ডের পর জেলার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসার গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান সোহাগ ২৮ মার্চ গভীর রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তার পরিবারের দাবি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে একদল লোক ওই রাতে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তার পিতা বুড়িচং থানায় ৩০ মার্চ একটি জিডি করেন। নিখোঁজ সোহাগের বোন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খালেদা আক্তার ও চাচা গিয়াস উদ্দিন শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, তনু হত্যাকান্ডের পর তনুর ভাই ও মা-বাবার ছবি টেলিভিশনে দেখে তনুর ছোট ভাইয়ের নিকট বন্ধু হিসেবে সোহাগ মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করে। এরপরই আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কিছু লোক তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে থানা, ডিবি, র্যাব ও জেলা পুলিশসহ জেলখানা পর্যন্ত খোঁজ-খবর নিয়েও তার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার বাসার অদূরে একটি জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ও ডিবি’র পর মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। সুত্র
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সাগর-রুনি'র মতো এটাও হারিয়ে যাবে না তো?
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: সঠিক তদন্ত হলে খুনী ধর্ষকরা ধরা পড়বে। যদি কর্মকর্তারা ঘুষ না খান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৮
সাগর মাঝি বলেছেন: সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করলাম।