নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শফিক রেহমান এর চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪০


তিনি রসময় গুপ্ত! তিনি বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস চালুর উদ্যোক্তা। এই বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন তার এক সময়ের সহযোগী সাংবাদিক।
♦ শফিক রেহমান এর পেশা-জীবন শুরু হয় একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে। পরবর্তীতে লন্ডনে বাংলা রেডিও স্টেশন চালুসহ বিবিসি ও ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
পৈত্রিকসূত্রে তিনি নাস্তিক।
♦ রসময় গুপ্ত!
তার এক সময়ের সহকর্মী জানায় ভালবাসা দিবসের আগে নেপথ্যে থেকে বাংলাদেশে পর্ণো-সাহিত্য প্রকাশ শুরু করেন আর সেই বইগুলোর লেখক হিসাবে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন রসময় গুপ্ত। লন্ডন থেকে বিভিন্ন নগ্ন/পর্নো ছবি সংগ্রহ করে বাংলাদেশে রসময় গুপ্ত নামে প্রচলিত ভাষায় "চটি" প্রকাশ করে অনেকদিন একচেটিয়া ব্যবসা করেছেন। পরবর্তিতে একই নাম দিয়ে অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড লেখকরা চটি প্রকাশ শুরু করলে ব্যবসা থেকে হাত গুটাতে হয়। ১৯৮৪ সালে শুরু করেন সাপ্তাহিক যায় যায় দিন যেখানে লুকিয়ে থাকা গুপ্তের ছায়া দেখা যেত।
♦ যায় যায় দিনঃ
বাংলাদেশে সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্ভবত সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ছিল যায় যায় দিন। মূলত এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী অবস্থান, স্বদেশ রায়ের মত সাংবাদিকদের ক্ষুরধার লেখনী পাঠকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়। ৯১ পরবর্তীতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ সকল মতের সংবাদ/কলাম প্রকাশ, যুক্তি উপস্থাপন করে সংবাদ বিশ্লেষণ এবং নির্ভিক সাংবাদিকদের সহযোগিতায় যায় যায় দিন এর অবস্থান সুসংহত থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে নিজেকে রাজনৈতিক মেরুকরণে আবদ্ধ করে বিতর্কিত হয়ে পড়েন।
শফিক রেহমান ১৯৯৮ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়ানো শুরু করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় বিএনপির দিকে ঝুকে পড়েন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে "১ কোটি ভোটারের কাছে আবেদন" শিরোনামে সংখ্যা প্রকাশ করার মাধ্যমে দলীয় সাংবাদিক হিসেবে হাতে খড়ি দেন। এ থেকেই কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি-বিরোধী বা আওয়ামী লীগ সমর্থন পাবে এ ধরনের লেখার প্রতি সেন্সর জারি করায় অনেক সাংবাদিক/লেখক সরে আসেন সে পত্রিকা থেকে। পাঠকদের কাছে মৃত্যু হয় সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের।
♦ দৈনিক যায়যায়দিন
সাকা চৌধুরীর পরামর্শে হাওয়া ভবনের নূরুল ইসলাম ছোটন এর টাকায় যায় যায় দিন দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত করতে তেজগাঁর খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়ে, সরকারি রাস্তার নাম পাল্টে 'লাভ রোড' রেখে একজন ব্যবসায়ীর টাকা ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে আলিশান অফিস তৈরির কাজ চলে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে যাযাদি দৈনিক হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে -- এমন সাজ সাজ রব পড়ে মিডিয়া জগতে। বছর দেড়েক ধরে শুধু অফিস নির্মাণ, অত্যাধুনিক প্রেস এবং নিজস্ব পাওয়ার স্টেশন বসানো, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বাছাই করে সংবাদ কর্মী নিয়োগের কাজও চলে। ২০০৬ সালে দৈনিক যায় যায় দিন প্রকাশ হওয়া শুরু হয়।
♦ ১/১১ পট পরিবর্তনের পর তার নাটের গুরু নূরুল ইসলাম ছোটন গা ঢাকা দিলে ২০০৬ সালের একতরফা নির্বাচন করার পরামর্শদাতা শফিক দৈনিক পত্রিকা নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায়।
চার মাসের মাথায় ২০০৬ সালের অক্টোবরে গার্মেন্টসের শ্রমিক ছাঁটাই করার কায়দায় একসঙ্গে ছাঁটাই করেন শতাধিক সংবাদকর্মী। কোনো রকম আগাম নোটিশ এবং দেনা-পাওনা পরিশোধ ছাড়াই ঈদের ছুটির পর এই ছাঁটাই কার্যকর করা হয়। এক সকালে সাংবাদিকরা যাযাদির অফিসে ঢুকতে গিয়ে দেখেন অফিস গেট বন্ধ; প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাঁটাই নোটিশ!
ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা খবর পান যে শফিক রেহমান পত্রিকাটি বন্ধ করে তাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করা ছাড়াই লন্ডন পাড়ি জমাচ্ছেন! তারা ধাওয়া করেন বিমানবন্দরে। পরবর্তীতে আর্থিক কেলেংকারী সংশ্লিষ্টতার কারণে গ্রেফতার হন এবং ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন।
♦ কামুক ও সমকামী : শফিক রেহমান
হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালে একাউন্টেন্ট হিসাবে কর্মরত থাকাকালে শফিকের বিরুদ্ধে এক কর্মচারী সমকামীতার অভিযোগ তোলে বলে জানা যায়। ৯১ পরবর্তীতে সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে নবীন লেখকদের লেখার সুযোগ দেয়ার নামে এবং ডেমোক্রেসীওয়াচের ছাত্রছাত্রী/সার্ভেয়ারদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে কয়েকবার তার স্ত্রী তালেয়া রেহমানের কাছে বিরাগভাজন হওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট অনেকেরই জানা আছে।
♦ বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিস্ট
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান লবিং গ্রপের সাথে এক সময় সুসম্পর্কের কারণে শফিক রেহমান বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে পাকিস্তানের আইএসআই এবং তাদের সমর্থিত সাংবাদিক গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য হয়। বর্তমানে দৈনিক আমার দেশ এবং নয়াদিগন্তে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পাকিস্তান ডেইলি'তে সংবাদ প্রেরণ ও প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা/ব্যক্তিত্বদের কাছে প্রেরণ করছে যার বিষয়বস্তু হচ্ছেঃ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সিভিল ওয়ার কায়েম করেছে এবং ভারতের নির্দেশে সব চালাচ্ছে।
শফিক রেহমান সকলের পরিচিত একটি নাম। এক সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু তার মতো একজন ব্যক্তিত্বের পূর্ব ইতিহাস এমনকি বর্তমান কার্যক্রমও অনেককেই আহত করেছে বা করবে।
★ লেখাটি ২০১১ সালে সে সময়ের তথ্য ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে লেখা হয়েছিল। সূত্র

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্রিমিনেল শফিক রেহমান; জেল তার ঠিকানা হওয়ার দরকার ছিল জন্ম থেকেই

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২১

বিজন রয় বলেছেন: হে হে হে হে

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

বাহু দারুণ তথ্য।


শফিক রেহমানের এত গুণ ছিল জানা ছিল নাতো। :P

আপনার পোস্টতো দেখি হিটে হিটে হিট হয়ে গেলু। :)

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পুরা হিট পোস্ট!

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ৩৫৩২ বার পঠিত B:-/

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: :D :D :D

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

মোশফেক জামান সফল বলেছেন: ৩৫৩৩ বার পঠিত.....!!!!!
আলোচিত ব্লগ.....!

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ৩৮৫০ বার পঠিত!!! (হিংসে হচ্ছে মাইরি)
আর কমেন্ট আমিসুদ্দা ৮টা।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৪

করিম বস বলেছেন: মরন সরকারের কি হবে এখন?

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: ভয়ঙ্কর সুন্দর আর অজানা তথ্যবহুল পোষ্ট সন্দেহ নেই।।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: থাকুক না দাদা মশাই। আমাদের দেশী প্লে-বয়।

বিঃদ্র- ৪১০০ হিট! বাবাগো! রসময় দার নিউজ গুলা পুরাই ব্লকবাস্টার হিট!

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: এতো তথ্যই যদি জানতে তাহলে গ্রেফতারের আগে প্রকাশ করলে না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.