নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার থাকা তাহমিদ হাসিবের জন্য মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে "ফ্রি তাহমিদ" ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে চরম সমালোচিত হয়েছেন এভারেস্ট জয়ী দ্বিতীয় বাংলাদেশী নারী ওয়াসফিয়া নাজরিন।
রোববার (৭ আগস্ট) গুলশানের সেই রেস্তোরাঁয় ছাদে তাহমিদের অস্ত্র বহন করার ছবি প্রকাশের পর এই ঘটনায় তার জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। একই ছবিতে থাকা নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমও আগে থেকেই সন্দেহের তালিকায়।
রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা যায় তাহমিদ ও হাসনাত হামলাকারী জঙ্গিদের সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে আলাপরত। ছবিতে তাহমিদের হাতেও একটি অস্ত্র দেখা যায়।
এদিকে গত ১২ জুলাইতে ওয়াসফিয়া নাজরিন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পাতা থেকে "ফ্রি তাহমিদ" ক্যাম্পেইনের পোস্ট শেয়ার করে তাহমিদকে নিরাপরাধ দাবি করে তার মুক্তি চান। ওয়াসফিয়া আরেকটি পোস্টে বাংলাদেশকে তথাকথিত স্বাধীন দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
ওয়াসফিয়া নাজরিনের এই অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,
"প্রিয় ওয়াসফিয়া নাজরিন। আপনি বাংলাদেশের গর্ব এভারেস্ট বিজয়ীদের অন্যতম। এবং নারী হিসাবে আপনি একমাত্র এভারেস্ট বিজয়িনী না। কিন্তু আপনাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়েছে। সম্মান দেয়া হয়েছে বেশি। কারন আপনি পারিবারিকভাবে বাংলাদেশের উঁচুতলার মানুষদের একজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আপনাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু আপনি আপনার সম্মান রক্ষায় সতর্ক কী? আপনি কী করে গুলশান হত্যাকান্ডের অন্যতম কুশীলব তাহমিদকে সমর্থন করেন? তার মুক্তির পক্ষে প্রচারনা চালান? আপনি কী করে বলেন বাংলাদেশ একটি তথাকথিত স্বাধীন দেশ? প্রিয় ওয়াসফিয়া, অনেক কষ্টে আপনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন। পা পিছলে নিচে পড়ে যেতেও সময় নিচ্ছেন না!! কোন ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়াই আপনার ভ্যারিফাইড পেজ থেকে আপনি আপনার এসব বিতর্কিত পোষ্ট সমূহ এরমাঝে মুছেও দিয়েছেন! কিন্তু এভাবে দেশের মানুষের মনে যে কষ্ট, ক্ষোভ, তিরস্কার আপনি এরমাঝে সৃষ্টি করেছেন তা মুছবেন কী দিয়ে??"
ওয়াসফিয়া নাজরিন নিশাত মজুমদারের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। এবং তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সব কটি মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করার গৌরভ অর্জন করেন। এজন্য সরকারের পক্ষ তাকে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল।
ফ্রান্স প্রবাসী অনলাইন এক্টিভিস্ট আসাদুজ্জামান লিখেছেন,
" আমার খুবই প্রিয় এবং পছন্দের একজন মানুষ ওয়াসফিয়া নাজরীন।
জানলাম,ওয়াসফিয়া নাজরীন জঙ্গি তাহমিদের (অনেকের কাছে কিউট ছোট ছেলে) পক্ষে 'ফ্রি তাহমিদ' প্রচারণা চালিয়েছেন এবং একটি ইভেন্ট এর হোস্ট!
জানিনা ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে নিজের ইচ্ছায়,না অনুরোধের ঢেঁকি গিলে তিনি তাহমিদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিষয়টা যাই হোক,আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর একটি খবর।এ থেকে বুঝা যাচ্ছে,জঙ্গিদের হাত অনেক গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। তারা চাইলে যেকোন সময় যে কেউকে (হোক তা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে) কনভেন্স করে নিজেদের পক্ষে প্রচারণায় কাজে লাগাতে সক্ষম।
এসব নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না আজকাল। ওয়াসফিয়া নাজরীন এর মত প্রিয় মানুষকেও জঙ্গিরা বিভ্রান্ত করে ফেলে দেখে বিস্ময়ে না লিখে পারলাম না!
**সতর্ক হওয়া খুবই জরুরী আমাদের জন্য।"
প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী সৈকত ভৌমিক লিখেছেন,
"একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছে করছে খুব - -
তাহমিদ যদি মফস্বলের কোন স্কুলের ছাত্র হতো আর আর ওর বাবা যদি হতো একজন দিনমজুর তবে কি স্পন্সর করে "ফ্রি তাহমিদ" নামে কোন ক্যাম্পেইন হতো আর হলেও সেখানে কি ওয়াসফিয়া নাজরিন, করবি রোকসান্দরা যোগ দিতো?
হেফাজতের আবদারে যখন ব্লগারদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো তখন এমনিতেই ন্যাস্টি মানে এমন্যাস্টি কি কোন বিবৃতি দিয়েছিলো?"
বাবুর্চি দিয়ে পছন্দ মত রান্না হলো!
২০টা রক্তাক্ত লাশের মধ্যে বসে সম্পুর্ন সুস্থভাবে পাঁচ জঙ্গির সাথে হাসনাত করিম এবং তাহমিদ হাসানের রাতের খানাও হলো।
কিভাবে সম্ভব!
সুন্দর একটা গল্প ফেঁদে হাসনাত করিম আর তাহমিদ বের হয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে একটা শ্রেনীর লোকজন এদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ শুরু করে। শুরু হয়ে যায় আহারে উহুরে। হাসনাত করিম এখনো বাসায় ফেরেনি!হাসনাত করিম এখন কোথায়?তাহমিদ বেচারা কানাডা প্রবাসি।তার হার্টের সমস্যা আছে।তাহমিদ ঔষুধ খেতে পারছে না।ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভাই প্রশ্ন যখন জঙ্গিবাদের,আপোষ হবে না কিছুর সাথে।
সরকার কে সরকারের কাজ করতে দেন।
এই জঙ্গিদের জন্য যাদের আলগা প্রিরিত যাদের ধরা হোক প্রত্যেকরে। কারন এদের মধ্যেও একটা জঙ্গি সত্তা কাজ করে।
যে ব্যক্তির বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তথাকথিত স্বাধীনতা বলে কটাক্ষ করে সে তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীর চেতনার জঙ্গিদের মুক্তি চাইবেই।
এখন শুরু হবে ওয়াশফিয়ারে নিয়া ত্যানাপ্যাঁচানো। মানে এখন বলা হবে, সে আমার দেশের গৌরব। প্রথম নারী যিনি দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাকে হেয় করাটা দেশপ্রেমের বাইরে। যারা এইসব ত্যানা প্যাঁচাবেন সোজাসাপ্টা আলাপে আসেন। পর্বতে উঠাটা যেমন আমার কাছে উল্লম্ফনের মত কিছু ছিলোনা তেমনি পর্বতে উঠেছিলেন বলেই তাকে কেউ জঙ্গীদের সাফাই গাইবার দলিল লিখে দেয়নি। ফ্রি তাহমিদের প্রবক্তা তিনিই। আর এটা রেডিও মুন্নাতে লাইক দেবার মত নয়। যারা করেছেন তারা জেনে বুঝে শুনে পড়েই করেছেন। এদের বর্জন করাটাই সময়ের দাবী।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
ঢে্উটিন বলেছেন: শত ধিক্কার রক্তিম স্বাধীনতা অবমাননাকারীদের।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১১
মহা সমন্বয় বলেছেন: প্রয়োজনে ১০ জন অপরাধী ছাড়া পাক কিন্তু একজন নিরাপরাধী যেন শাস্তি না পায়। এটাই হচ্ছে আমার মত।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ১০ জন অপরাধী ছাড়া পাক? তাঁদের দায় কে নেবে?
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মনে হচ্ছে দেশ একটি কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে । কারো প্রতি আর আস্থা রাখা যাচ্ছেনা । অাস্থার জায়গাটা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০০
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ্সাব্ধান ও সতর্ক থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
জনি চৌধুরী বলেছেন: উপরের দুটো ফটোই স্পষ্ট কথা বলছে হাসনাত করিম ও তাহমিদ অবশ্যই জড়িত এখানে না, হ্যাঁ-না বলার কোণ সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। এই কিলিং মিশনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল এবং তারাই মূল আয়োজক তাই তারা নিরাপদে বের হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে এখন শুধু বিচারের অপেক্ষা। ফটো দেখে আমার যেটা মনে হচ্ছে হাসনাত করিম তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।