নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্গম্যানকে আর টাকা দেবেনা মীর কাশিমের পরিবার, চটেছেন সবাই

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:২৮


ডেভিড বার্গম্যানের উপর চটেছেন ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকার মীর কাশিমের পরিবার। গত ৭ বছর ধরে নিয়মিতভাবে মাসিক বেতন পেয়ে আসছিলেন ডেভিড বার্গম্যান। জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর একজন প্রভাবশালী নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন (আমাদের কাছে অডিও রয়েছে) “গত ৭ বছর ধরে আমরা এই বার্গম্যানের পেছনে অনেক অর্থ ঢেলেছি। মীর কাশিম সাহেবের কল্যাণে তিনি আমাদের থেকে অনেক টাকা নিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেন নি। তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন যে সারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ার দায়িত্ব নেবেন এবং এটির মাধ্যমে তিনি অন্তত ফাঁসীর হাত থেকে আমাদের নেতাদের বাঁচাবেন। কিন্তু এই টাকালোভী বাচাল লোকটা কিছুই করতে পারেন নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন”

তিনি আরো বলেন, “ডেভিডকে তার লেখার জন্য আমরা মাসে ফুল টাইম ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী যোগার করে দিয়েছিলাম ট্রাইবুনালকে কাভার করবার জন্য কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে তিনি সেখানেও নিয়মিত ছিলেন না। আদালত অবমাননার মামলার পরে তিনি এই করবেন সেই করবেন বলে আমাদের কাছে বল্লেও আদতে তিনি কিছুই করতে পারেন নি”

এই পর্যন্ত ডেভিড বার্গম্যানকে কত টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পেমেন্ট তো আর আমরা বাংলাদেশী কারেন্সিতে দেইনি। পেমেন্ট হয়েছে পাউন্ডে। কত টাকা দিয়েছি এটা এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে না বলতে পারলেও কমের পক্ষে গত ৭ বছরে ৬৫ কোটি টাকার উপর তার পেছনে আমাদের খরচ হয়েছে”

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে ডেভিড বার্গম্যান নিয়মিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নিয়ে তার ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তিনি দন্ড প্রাপ্ত আসামীদের পক্ষ নিয়ে এই ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে এবং আদালতের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মন্তব্য করে (নির্দেশ সূচক মন্তব্য) এরই মধ্যে দুইবার আদালত অবমাননার জন্য আদালতে গিয়েছেন যার মধ্যে একবার তিনি সারাদিন ট্রাইবুনালে দাঁড়িয়ে থাকবার ও ৫০০০ টাকার জরিমানার দন্ডও পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাদের রায়ে বলেছিলো যে ডেভিড বার্গম্যান তার ব্লগে ভুল ভাল রিপোর্ট করেন। অন্যদিকে আপীলেট ডিভিশানে মামলা চলারত অবস্থায় মোবাইলে কথা বলার শাস্তি স্বরূপ বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তাকে “গেট আউট” বলে সেখান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

এই ব্যাপারে বার্গম্যানের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমাদের সংশ্লিষ্ঠ প্রতিনিধির মাধ্যমে ডেভিডের সাথে সরাসরি কথা বলতে চাইলে তিনি সরাসড়ি এটিকে নাকচ করে দেন এবং এই ব্যাপারে মিডিয়ার সাথে কথা বলবেন না বলে জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের মিডিয়াকে “বাস্টার্ডস” বলে গাল দেন বলে আমাদের সেই প্রতিনিধি জানান।

ডেভিড বার্গম্যানের এইসব অপঃতৎপরতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিষয়ে গবেষনারত ব্যারিস্টার ওয়াসেকুর রহমান পলিন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “বার্গম্যানের ব্যাপারে আমার এখন তেমন বলার কিছু নেই। প্রথম কথা হচ্ছে সে আইনজীবি না। আইন সম্পর্কে তার গভীর কোনো ধারনা নেই। একটা এল এল এম করেছে বলে তার আদালত অবমাননার রায়ে দেখেছি তাও আবার এই সুনির্দিষ্ট বিষয়ে নয়। একই সাথে তার আন্ডার গ্র্যাড আইনে নয়, সুতরাং এই আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বুঝবার সক্ষমতা এখনো ওর হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অত্যন্ত জটিল বিষয়। এটি বছরের পর বছর অধ্যয়ন করেও যেখানে বুঝতে পারা কঠিন সেখানে এমন একজন আইন বিষয়ে অজ্ঞ ব্যাক্তি এই ব্যাপারে কি বলেছে বা লিখেছে তাতে এখন আমার আর আগ্রহ নেই। আর তাছাড়া বাংলাদেশের এই ট্রাইবুনাল নিয়ে লিখতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আবেগ, পটভূমি এগুলো জানতে হবে। ডেভিড এসব জানেও না আর এসব বুঝতে পারাও তার জন্য অসম্ভব। তবে আমি মনে করি তার ব্যাপারে একটা সুগভীর তদন্ত হবার প্রয়োজন রয়েছে”

এদিকে ডেভিডকে অর্থ বন্ধ করে দেবার ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ মহলে তোলপাড় পড়ে গেছে।এই ব্যাপারে জামাতের দুইটি অংশ বিভক্ত বলেও জানা গেছে। একদল এখনো তাকে সুযোগ দেয়ার পক্ষে এবং অন্যদল তাকে আর এক পয়সাও না দেয়ার পক্ষে। প্রশাসনের অনেকেই বলছেন এই ট্রাইবুনালের বিচার শেষে ডেভিড বার্গম্যানকেও বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে যুদ্ধাপরাধীদের সাহায্য ও সহযোগিতা করবার অভিযোগে। ইতিমধ্যেই তার ব্যাংক একাউন্ট ও তার সকল সম্পদের খোঁজ নেবার জন্য দুদক কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা যায়।
সূত্র

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৭ বছরে ৬৫ কোটি টাকা!///////////////এর পরে সত্যিই ফাঁসিটাকে মেনে নেওয়া যায় না ;)

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০১

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: হলুদ সাংবাদিকতার অংশ । পাবলিক এখন সব বুঝে ।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: তালপাতার সেপাই কি হিট বাড়ানোর জন্য বসে বসে মাউসে ক্লিক মারতে থাকে? পেইড ব্লগারের লেখা মানুষ পড়ে এটা বিশ্বাস করতে পারলাম না।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: তালপাতার সেপাই কি হিট বাড়ানোর জন্য বসে বসে মাউসে ক্লিক মারতে থাকে? পেইড ব্লগারের লেখা মানুষ পড়ে এটা বিশ্বাস করতে পারলাম না।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

আশাবাদী অধম বলেছেন: পেইড ব্লগার শব্দটা ব্যবহার করাটা ভুল হয়েছে। দুঃখিত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.