নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোশতাক জিয়া এরশাদ অবসর সুবিধা পাবেন না

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫


রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রাপ্ত মাসিক বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা ও মন্ত্রীর সমমর্যাদায় চিকিৎসা ভাতা পাওয়ার বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন ২০১৬ পাস করেছে জাতীয় সংসদ।

মাত্র ছয় মাস রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করলেও রাষ্ট্রপতিরা এ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন। তবে বিলের ৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘কতিপয় ক্ষেত্রে অবসর ভাতার অধিকারের অপ্রযোজ্যতা’ শর্ত অনুযায়ী সাবেক রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী খন্দকার মোশতাক আহমদ, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন সংসদকার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের ওপর আনীত সংশোধনী ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

জাতীয় পার্টির এমপিরা রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালনকারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অবসর সুবিধা দেওয়ার জন্য বিলটি জনমত যাচাইয়ে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তারা দাবি করেন যেহেতু তিনি (এরশাদ) পরে জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, সেহেতু তিনি এই সুবিধা ভোগ করার দাবিদার। গণভোট হলে এরশাদ এ ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ ভোট পাবেন বলে দাবি করা হয়। পরে এ বিষয়ে মন্ত্রী সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এ বিষয়ে তারা চুপ থাকলেই ভালো করতেন।

বিলে অবসর ভাতা না পাওয়ার শর্তে বলা হয়েছে, এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন না যদি তিনি-(ক) রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠান শেষে এমন কোনো দফতরে, আসনে, পদে বা মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন বা করেছিলেন এবং সেজন্য তিনি সংযুক্ত তহবিল থেকে বেতন বা অন্য কোনো সুবিধা পাচ্ছেন বা পেয়েছিলেন; (খ) এ আইনের অধীন অবসর ভাতার প্রাধিকার অর্জন করিবার পর কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হন; অথবা (গ) অসাংবিধানিক পন্থায় বা অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বা হয়েছিলেন মর্মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ঘোষিত হন।

রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা বিল ২০১৫ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হওয়ায় প্রেসিডেন্টস পেনশনস অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯-এর কার্যকারিতা লোপ পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করে নতুনভাবে এই বিল আনা হয়। এর আগে ২০১৩ সালে আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, অবসরকালীন রাষ্ট্রীয় খরচে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন অ্যাটেন্ড্যান্টসহ একটি দপ্তর পরিচালনার সুবিধা পাবেন একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া তার বাসার একটি টেলিফোনের বিল রাষ্ট্র নির্বাহ করবে। অবসরকালীন তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাভ করবেন। অবসর ভাতা গ্রহণের পর মৃত্যু হলে সাবেক রাষ্ট্রপতির বিধবা স্ত্রী বা ক্ষেত্রমতে বিপত্নীক স্বামী মাসিক অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে আমৃত্যু অবসর ভাতা পাবেন। এ ছাড়া কোনো রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতার পরিবর্তে ইচ্ছা করলে এ ধারার বিধান অনুযায়ী আনুতোষিক গ্রহণ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আনুতোষিকের পরিমাণ হবে এক বছরের জন্য প্রদত্ত অবসর ভাতার তত গুণ, যত বছর কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
সূত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২০

আবদুল মমিন বলেছেন: আহারে বাংলাদেশ টাকা অয়ালারে টাকা দিবার জন্য কত নাটক কত আইন আর আমরা গরিবেরা খালি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি আর ঘুরি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.