নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নবেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়। এ বছর ৪৬তম ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২১ নবেম্বর বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী’ সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণের সূচনা করে।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী, আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা, বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক (Commander-in-Chief) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদানের প্রতি। বিশেষ করে দেশের জন্য শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর (সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর), বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান (১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট), বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল (৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট), বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন (ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার, নৌবাহিনী), বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (বিমানবাহিনী), বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ (ইপিআর, বর্তমানে বিজিবি) ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ (ইপিআর, বর্তমানে বিজিবি)-কে। সশ্রদ্ধ সালাম জানাই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল বীর সদস্যের।
স্বাধীনতা আমাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মহান স্বাধীনতার স্থপতি। দীর্ঘ ২৩ বছর (১৯৪৮-১৯৭১) ধরে বাঙালী জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ এবং প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২১ নবেম্বর আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যগণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ সূচনা করে। এর ফলে আমাদের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে তাই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। রেসকোর্সের জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক এ ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে শৃঙ্খল মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।’ তিনি নির্দেশ দেন ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলাদেশ। মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালী জাতির এই জাগরণে ভীত ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করে, শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন, খুন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ ১২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইপিআরের ওয়্যারলেস এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে সেই বার্তা “This may be my last message, From today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last, your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is acheived.” (অনুবাদ-সম্ভবত এটাই আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছি তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যা-ই তোমাদের হাতে আছে তার দ্বারাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।)’ ২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা অনেকেই শুনেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছিলেন তৎকালীন ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ পদাতিক ডিভিশনে কর্মরত আইএসপিআর (ওঝচজ)-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালেক। তিনি তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন “When the first shot had been fired, Ôthe voice of Sheikh Mujibur Rahman came faintly through on a wavelength close to that of the official Pakistan Radio. In what must have been, sounded like a pre-recorded message, the Sheikh proclaimed East Pakistan to be the PeopleÕs Republic of Bangladesh” (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র-৩য় খ-) জাতির কাছে পৌঁছে যায়। সেনাবাহিনীর বাঙালী সদস্য, আধা সামরিক বাহিনী তথা ইপিআর, পুলিশ এবং আনসারসহ আপামর জনগণ যে যেখানে পেরেছে সেখান থেকেই বিদ্রোহ করে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ।
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমপিকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এমপিকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ এমপিকে প্রধানমন্ত্রী করে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ‘বাংলাদেশের প্রথম সরকার’ গঠিত হয়। সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বাঙালী সদস্য, ইপিআর, পুলিশ, আনসারসহ ছাত্র, শ্রমিক, জনতা তথা বীর বাঙালীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সর্বাধিক কার্যকরী এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক নেতৃত্বের প্রয়োজন বোধ করে সরকার এবং এ লক্ষ্যে কার্যকর অবকাঠামো গঠনের নিমিত্তে কর্নেল এমএজি ওসমানীকে (পরবর্তীকালে জেনারেল) কেবিনেট মিনিস্টারের মর্যাদাসহ বাংলাদেশ ফোর্সেসের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়াও কর্নেল (অব) এমএ রবকে বাংলাদেশ ফোর্সেসের চীফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে ডেপুটি চীফ অব স্টাফ হিসেবে নিযুক্তি দেয়া হয়। কর্নেল ওসমানী মুক্তিবাহিনীর সকল বিচ্ছিন্ন সংগঠনকে কেন্দ্রীয় কমান্ডের আওতায় নিয়ে আসেন এবং ফোর্সেস সদর দফতর থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে অপারেশনাল নির্দেশনা প্রণয়ন করেন। এ বিরাট বাহিনীকে সাহায্য, সহযোগিতা, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, জনবল সংগ্রহ এবং সাধারণ জনগণকে দেখাশোনা করার জন্য ১৯৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে সাব সেক্টর-ক্যাম্প পরিচালিত হয় যা মুক্তিযুদ্ধের এক বিরাট নিয়ামত এবং সহযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৭১-এর ২১ নবেম্বর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং আপামর জনসাধারণ একযোগে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথকমান্ডের নেতৃত্বে ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে তারা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে অধিকাংশ সময়ই মিত্র বাহিনী (অষষরবফ ঋড়ৎপবং) অধিকৃত অঞ্চল বা দেশ থেকে ফেরত আসে না। যেমন- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর আজও আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনী জার্মানি এবং জাপান থেকে, ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী জার্মানি থেকে ফেরত আসেনি বরং কৌশলগত কারণে আজও সে দেশে অবস্থান করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শেষে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ১৭ মার্চ ১৯৭২ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে যায়, যা ইতিহাসে বিরল। রাশিয়ান বাহিনী যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর চালু করতে এসেছিল, তারাও যথাযথভাবে কার্য পালন শেষে ফিরে যায়।
শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। শুধু দেশেই নয়, বিদেশের মাটিতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকা- বিশ্বের সব দেশের শীর্ষ স্থানে রয়েছে। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট, কঙ্গো, হাইতি, লেবানন, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী সশস্ত্র বাহিনী শান্তি রক্ষার পাশাপাশি ওই সব দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং অসহায় মানুষের পুনর্বাসনে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। গত ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ব্যবস্থাপনায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন গঙঘটঝঈঙ (কঙ্গো) পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত (ঝজঝএ) এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল কার্লোস আলবার্টো মনিটোসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। তারা উভয়ই বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কঙ্গো মিশনে অবদান, অর্জন ও কার্যকরী ভূমিকার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অবদান দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়েছে।
জাতীয় উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। সশস্ত্র বাহিনী এমনি এক বাহিনী যার প্রতি এ দেশের জনগণের রয়েছে অগাধ আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা ছাড়াও দেশের অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ছিন্নমূল মানুষের জন্য বাসস্থান তৈরি করা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমুখী কাজে প্রতিনিয়ত সশস্ত্র বাহিনী নিবেদিতপ্রাণ। ছবিসহ ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডএ্যাবল পাসপোর্টসহ জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস নির্মাণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা অত্যন্ত গৌরবজনক।
আমাদের প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল থেকে পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় ঘটিয়ে এদেশের সশস্ত্র বাহিনী তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সদা তৎপর থাকবে। জাতির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই হবে তাদের অঙ্গীকার। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির প্রয়োজনে সর্বদা অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
Mukto Mona বলেছেন: আজকের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা, বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আর আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর খুনি সহ যুদ্ধাপরাধি কুলাঙ্গারদের ফাঁসি চাইছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"১৯৭১ সালের ২১ নবেম্বর বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী’ সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণের সূচনা করে। "
-১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর শেখ সাহেব জেলে ছিলেন; আক্রমণ চালানো হয়েছ্ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্ল্যান অনুসারে; ওখানে শেখ সাহেবের নাম যোগ না করলে, শেখ সাহেবের অবদান কমবে না; বিনা দরকারে মুরগী মগজ খাটাচ্ছেন?