নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ প্রতিরোধে ধর্মীয় মূল্যবোধ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৪


‘ধর্ষণ’ বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও আমাদের এই সমাজ কখনই এর কলঙ্কমুক্ত ছিল না, তবে দিল্লির ঘটনার পর আমাদের দেশেও ঘটে যাওয়া কিছু পাশবিকতার কারণে আমরা অনেকটা নড়েচড়ে বসেছি। নর-নারীর সহ অবস্থানে সমাজ যেখানে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে ধর্ষণের মতো কিছু অপরাধের কারণে পুরুষের ওপর তৈরি হচ্ছে নারী মনে এক ধরনের ঘৃণা- যা কিনা পুরুষ বিদ্বেষেও রূপ নিচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

পর পর এমন কিছু অঘটন ঘটে যাওয়ার পর অনেকেই আবার খুঁজে ফিরেছেন কিছু সমাধান, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে, অনেকে আবার নিজের মতামত তুলে ধরেছেন ধর্ষকের শাস্তি কিভাবে হওয়া উচিত সে সম্পর্কে।
মূল কথায় আসি। ধর্ষণের সঙ্গা আমরা সবাই জানি। সহজ কথায়-ধর্ষণ বলতে এক চরম পাশবিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতনকে বোঝায়। যা একই সঙ্গে অশ্লীলতা, বিকৃত মানষিকতা ও কুশিক্ষার ফলাফল হিসেবেই আমরা দেখে থাকি।

আর সমাজ থেকে এই অশ্লীলতাপূর্ণ অমানবিক নির্যাতন নির্মূল করা শুধুমাত্র আইন করে সম্ভব নয়, দরকার মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সমাজ আজ যে অভিশাপে ভুগছে তা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ইসলামের দারস্থ হতেই হয়।
ইসলামে রয়েছে নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। শুধু তাই-ই নয়, একজন পুরুষ একজন নারীর দিকে কোন দৃষ্টিতে তাকাবে সে কথাও পবিত্র কুরআনে আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।’ (সূরা : নূর-৩০)

পরের আয়াতে একই ভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা নারীদেরও এভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।’ (সূরা : নূর-৩১)

সমাজে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ এমনি এমনি ঘটে না। পেছনে অবশ্যই কোনো কারণ থাকে। আর কারণ হিসেবে আমরা নৈতিকতার অবক্ষয়কেই দায়ী করি যা কিনা বিভিন্নভাবে ঘটে। আমাদের সমাজ তো মানুষের পশুত্বকে জাগিয়ে তোলার উপাদানে পরিপূর্ণ। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে নারীর স্বল্প বসন আর যাই হোক আমাদের তরুণ সমাজের কাছে কোনো শুভ ইঙ্গিত পৌঁছায় না। এই অশ্লীলতার ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সতর্ক করে বলেছেন ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা কামনা করে, তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি।’ (সূরা নূর: আয়াত ১৯)

তবে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সতর্ক হতে হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সতর্ক করে বলেছেন, ‘মুমিন নারীরা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তাদের গলা এবং বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।’ (সূরা নূর : ৩১)

আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘জাহিলিয়া যুগের মতো সাজসজ্জা করে রাস্তায় বের হয়ো না।’ (সূরা : আহজাব-৩৩)
তবে এর পরেও যদি কেউ নির্যাতিত হয় তাহলে তার কোনো দায়ভার নাই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যে তাদের ব্যভিচারে বাধ্য করে তাহলে তাদের জবরদস্তির পর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা নূর : ৩৩)

ইসলামে ধর্ষকের কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে।

আমরা একটি সুন্দর বাসযোগ্য সমাজ চাই, যেখানে কোনো মানুষকে আর নির্যাতিত হতে হবে না, আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য আমাদের সবাইকে ন্যায় নীতির ভিত্তিতে এক সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে, সব অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের পার্লামেন্টকে 'মজলিসে সুরা' বানাতে হবে, দেখছি; আপনি মনে হয় রাস্ট্র বিগগানী হয়ে যাচ্ছেন!

আওয়ামী আমল হবে ক্লাউন তৈরির যুগ।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে, দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, সেজন্য মানুষ আইন কানুনে লাথি মেরে, রিস্ক নিয়ে বসবাস করছে; যা ইচ্ছে তাই করছে; এগুলোর সমাধান করতে হবে; তখন ধর্ষণ কমে যাবে।

ওসি নিয়োগ করতে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিলে, ওসি নিজেই ধর্ষণ করবে, ১৫ লাখ টাকা বাতাসে ভাসে না।
দেশে দরকার মানুষের সম্পদকে মানুষের জন্য ম্যানেজ করা; দেশে মদিনা সনদের দরকার হবে না, রাজনীতিবিদ সাহেব!

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৮

জুয়েল হক বলেছেন: ভালো

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর, যুক্তিসংগত ও সময় উপযোগী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: কিছুই লাগবেনা, দেশটা আবার পরাধীন হতে হবে, সব বিবেক ফিরে আসবে তখন।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

নতুন বলেছেন: আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘জাহিলিয়া যুগের মতো সাজসজ্জা করে রাস্তায় বের হয়ো না।’ (সূরা : আহজাব-৩৩)


- Rape has nothing to do with a person's clothes. A survey that was conducted in MP in 2013 states 48% of the victims were wearing salwar kurta, 41% were clad in sari and 10% of toddlers wore frocks and pajamas at the time of the incident.

রাস্তায় সাজুগুজু করে বের হলেই ধষ`নের স্বীকার হয় এটা ভুল ধারনা...

ধষ`নের বিচার না হলেই বরং সমাজে ধষ`ন বাড়ে...

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আর সমাজ থেকে এই অশ্লীলতাপূর্ণ অমানবিক নির্যাতন নির্মূল করা শুধুমাত্র আইন করে সম্ভব নয়, দরকার মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সমাজ আজ যে অভিশাপে ভুগছে তা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ইসলামের দারস্থ হতেই হয়। - আমার তো মনে হয় ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশটাই ধর্ষনের মত ঘটনাকে উস্কে দেয়। আপনি বলছেন ইসলামের দ্বারস্থ হতে আবার আপনার কথাতে উঠে আসছে- আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘জাহিলিয়া যুগের মতো সাজসজ্জা করে রাস্তায় বের হয়ো না।’ (সূরা : আহজাব-৩৩)
তবে এর পরেও যদি কেউ নির্যাতিত হয় তাহলে তার কোনো দায়ভার নাই।
। মানে কি? জাহিলিয়া যুগের মতো সাজসজ্জা করে যে বের হবে তাকে ধর্ষন করা জায়েজ আছে?
শোনেন ভাই, আপনি যেই ধর্ম গুলোর রেফারেন্স টানছেন সেই ধর্মই ধর্ষনকে নানা ভাবে বৈধতা দিয়ে গিয়েছে যুগের পর যুগ। ধর্মহীন দেশ গুলোর দিকে তাকায়া দেখেন সেখানে সারা বছরে কয়টা ধর্ষনের ঘটনা ঘটে? আমার তো মনে হয়, ধর্মীয় মূল্যবোধ নয় বরং মানবিক মূল্যবোধের বিকাশটা খুব বেশি জরুরী।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

ইকবাল আসাদ বলেছেন: সুন্দর, যুক্তিসংগত ও সময় উপযোগী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

মাহিরাহি বলেছেন: যেসব কারনে মেয়েরা ভিকটিম হতে পারে,
বিভিন্ন সেক্সুয়াল পার্টনার।
উত্তেজক পোষাক
এলকোহল ব্যবহার

An Examination of Date Rape, Victim Dress, and Perceiver Variables Within the Context of Attribution Theory

গবেষণায় দেখা গেছে, একজন নারী যে পোষাক পছন্দ করে, তাকে অনেক সময় সেই নারীর চরিত্রের বহি:প্রকাশ হিসাবে ধরে নেয়া এবং তাকে ভাবা হয় দুর্বলতা, সংগমের ইচ্ছা এবং / অথবা সম্মতি এবং পুরুষদেরকে উত্তজিত করা হিসাবে এবং যা ধর্ষণের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে।



Synovitz LB, Byrne TJ., J Am Coll Health. Jan;46(4):151-8. (1998)

Partial abstract:

The variables found to be related to women's being sexually victimized were (a) number of different lifetime sexual partners, (b) provocative dress, and (c) alcohol use.

An Examination of Date Rape, Victim Dress, and Perceiver Variables Within the Context of Attribution Theory

Workman JE, Freeburg EW., Sex Roles, Volume 41, Numbers 3-4, 261-277 (1995)

This study found in part that the way a woman choose to dress is sometimes taken as a statement about her character including vulnerability, desire and/or willingness to have sex and provocation of males which consequently affects the likelihood of rape, including date rape.

The effects of clothing and dyad sex composition on perceptions of sexual intent: Do women and men evaluate these cues differently.

Abbey, A., Cozzarelli, C., McLaughlin, K., & Harnish, R. J. (1987) Journal of Applied Social Psychology, 17, 108–126.

Partial abstract:

A laboratory study was conducted in which subjects viewed a photograph of two students in a classroom. As predicted, male subjects rated female targets as more sexy and seductive than did female subjects. Also as predicted, female targets who wore revealing clothing were rated as more sexy and seductive than those wearing nonrevealing clothing. Female targets were rated higher on sexual traits regardless of the gender of their partner.

তারপরও ধর্ষকের কোন ক্ষমা নেই, একজন ভালো মানুষের জন্য উপরের কারনগুলো কখনোই অজুহাত হতে পারে না।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

মাহিরাহি বলেছেন: ৫৭% রেপের ঘটনা ঘটে ডেটের সময়।

৭৫% ছেলে এবং ৫৫% মেয়েরা মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকে।

নিচের ডাটাগুলো পর্যালোচনা করলেই বুঝতে পারবেন, পুরুষরা মেয়েদের অনেক আচরনকেই সংগমের জন্য আমন্ত্রন হিসাবে ধরে নেয়, কিন্তু যাতে মেয়েদের কোন সম্মতি থাকে না। তাই পোষাকটাও একটা ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করতে পারে, যেমনটি পারে মাদক।

From National Studies Of College Women

* 84% of women who were raped knew their assailants.

* 57% of rapes occurred on a date.

* 25% of men surveyed believed that rape was acceptable if: the women asks the man out; if the man pays for the date, or the woman goes back to the man’s room after the date.

* 33% of males surveyed said they would commit rape if they definitely could escape detection.

* 84% of male students who had committed acts that clearly met the legal definition of rape said what they had done was definitely not rape.

* 75% of male and 55% of female students in an occurrence of date rape had been drinking or using drugs.

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭

ইফতি সৌরভ বলেছেন: PINK movie টা শিক্ষণীয় মনে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.