নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দু চোখ ভরে দেখতে চাই ওয়েব রাজ্যকে.....

আমি নিতান্তই একটি সাধারণ মেয়ে, ব্লগ ভিজিট করে রেজিস্ট্রেশনের শখ হল, পারলে ভাল কিছু লিখব আর না হলে শুধু দেখব।

তানিয়া রহমান

আমি ব্লগিং এর মাধ্যমে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।

তানিয়া রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারণে আপনি সফল হতে পারছেন না !!!

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১

আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি সারাজীবনই এক রকমের ব্যর্থতার মধ্যে ছিলাম। স্কুল জীবনে অসংখ্যবার

অংকে ফেল করেছি (স্বীকার করছি আমি অংকে ভাল না!) অন্যান্য সাবজেক্টেও যে খুব ভাল ছিলাম তা নয়। আমার স্মরণশক্তি বেশ

ভালই ছিল। তারপরও পরীক্ষায় ভাল করতে ব্যর্থ হয়ছে।এসএস সি তে ৩.৮১ জিপিএ (এ-) পেয়েছিলাম। কিন্তু কবছর হলো একটু

সাফল্যরে মখু দেখতে পাচ্ছি। এইচ এস সি তে ৪.৯০ জিপিএ(এ) এবং কলজে জীবনরে কিছু প্রাপ্তি আমার পাথয়ে হয়ে আছে।

আমি সাম্প্রতিক সময়ে আমার অতীত ব্যর্থতা আর এখনকার সাফল্যরে পেছনে কারণ বার করার চেষ্টা করছি। চিন্তা করে আর

ইন্টারনেট ঘেটে যা ফলাফল পলোম তা তুলে ধরছি ক্রমানুসারে। আজ ১ম পর্ব দিয়ে শুরু করলাম।

আপনার র্ব্যথতার পেছনে সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে:



আপনি ব্যর্থ হতে ভয় পান

আপনার আর সাফল্যরে মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে র্ব্যথতার ভয়। আপনার জীবনে শুধু সাফল্যই থাকবে এমনটা সম্ভব নয়।

আপনি ব্যর্থ হবনে এটাই স্বাভাবকি। এই সত্যটাকে একসপ্টে করতে না পারলে আপনি সাফল্য পাবনে না, পেলেও তা র্দীঘস্থায়ী হবে

না। আপনি কোন কাজ করার আগেই যদি ভাবনে , আমি যদি ব্যর্থ হই তাহলে এই হবে সেই হবে। তাহলে কিন্তু আপনার সাফল্য

বাধাগ্রস্থ হবে। যদি ভাবনে আমি ব্যর্থ হতেই পারি, এটাই স্বাভাবকি, তাহলে দেখবেন সাফল্য আপনার হাতে ধরা দেবে। সাফল্য

র্ব্যথতা নিয়েই জীবন, তাই ব্যর্থ হতে ভয় পাবনে না।



আপনার কোনো গোল নাই :

বেশিরভাগ ব্যর্থ ব্যক্তিরই সমস্যা এখান। গোড়াতেই গলদ। খাটতে খাটতে জান শেষ, তবু সাফল্যরে নাম গন্ধ পাই না। কেন?

কারণ আমি পরিশ্রম করছি অথচ লক্ষ্য কি সেটাই জানি না, উদ্দশ্যেহীনভাবে ঘুরে বেড়াই। আমি হাঁটা শুরু করলাম কিন্তু কোথায় যাব

জানি না। তাহলে দিন শেষে কোথায় গিয়ে পৌছবো? ভাগ্য যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে। আমি রিকশা নিলাম, রিকশাওয়ালা জিজ্ঞেস

করলো কোথায় যাইবনে স্যার। আমি বলতে পারলাম না কোথায় যাবো, তাহলে কি হবে? আপনার গন্তব্য আগে ঠিক করুন।

ডিসিশিন নেয়ার আগে ভাবুন আপনি নিজের জন্য কি করতে চান। সেই অনুযায়ী গোল ঠিক করুন।



আপনার কোন ভিশন নেই :

আপনি গোল র্পযন্ত যাবেন। কিন্তু ফিনিশ লাইন র্পযন্ত পৌছতে আপনার ফুয়েল লাগবে তো। ভিশন হচ্ছে সেই ফুয়েল। এখন থেকেই

চিন্তা করুন আপনি সাফল্য অর্জন করলে কি কি সুবিধা পাবনে, কোন অবস্থানে থাকবেন, এতে লাভ কি। ফিনিশ লাইন ছুঁলে কি কি

পুরস্কার পাবনে তা আগেই কল্পনা করুন।



আপনার পরিকল্পনার অভাব আছে:

আপনি ফিনিশ লাইন পর্যন্ত যেতে চান তো? তাহলে ফিনিশ লাইনের ম্যাপ হলো প্লান, পরিকল্পনা। প্লান হচ্ছে আপনার কি আছে,

আপনার কি নেই এবং আপনার যা আছে কি কি পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি তা কাজে লাগাবেন সেটা। এই দুনিয়ায় গোল নিয়ে বসে

থাকা অনকে মানুষ আছে কিন্তু তাদের প্লান নাই বলে তারা সফল হতে পারছে না। আপনি নিশ্চয়ই তাদের মতো হতে চান না।





আপনি খুব বেশি নিশ্চিত অথবা আপনি একেবারেই নিশ্চিত না :

আপনার প্লান যে একেবারেই ফুলপ্রুফ হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার প্লানে ভুল থাকতেই পারে। যদি দেখেন আপনার প্লান

অনুযায়ী চলতে পারছেন না অথবা আপনার প্লান অনুযায়ী চললে সাফল্য পাওয়া যাবে না তাহলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্লান

পরিবর্তন আনুন। নির্দিষ্ট সময় পর পর প্লানটা ঠিক আছে কিনা চেক করুন।

কিন্তু আপনি যদি আবার আপনার প্লান এর ব্যাপারে একদমই আস্থা না রাখতে পারেন তাহলে আপনার প্লানই আপনার শত্রু হয়ে

দাড়াবে। আপনি যদি আপনার প্লান অনুযায়ী স্টেপ নিতে ভয় পান তাহলে লক্ষ্য অর্জন করবনে কিভাবে ?

এজন্য নিজের প্লান এর উপর আস্থা রাখুন, কিন্তু প্রয়োজনে পরিবর্তনের মন-মানসিকতা সৃষ্টি করুন।



আপনি আপনার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেন না :

অনেকেই ভুলগুলোকে নিজের অযোগ্যতার লক্ষণ হিসেবে মনে করেন। তারা তখন মনে করেন যে তাদের পক্ষে কখোনোই কোনকিছু

অর্জন করা সম্ভব নয়, এমনকি তারা চেষ্টা করাও ছেড়ে দেয়। ব্যর্থতা আমাদের সফল হতে সাহায্য করে । যদি আমরা সেই ভূলের

কারণগুলো বের করতে পারি এবং তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি।

(চলবে)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৫/-২

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: বাহ খুব ভালো পোস্ট। আমি সত্যি এমন কিছু অসফল মানুষ বা ব্যার্থ মানুষকে দেখেছি যাদের ভেতর কনফিডেন্সের অভাব ছিলো বা এমন কিছু কিছু জিনিস যা তুমি লিখেছো আপুনি।

আমি সবসময় একটা জিনিস জেনেছিলাম আমার ছেলেবেলা থেকেই, ব্যার্থতা বলে আসলে কিছুই নেই। যদি কোনো কিছু করার সদিচ্ছা থাকে প্ল্যানিং আর অধ্যাবসায় নিয়ে গোল এর দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় মানুস সফল হবেই। সে যত দূরহ কাজই হোক না কেনো।

একটা সময় বাঁশী বাজানোকে এমন কঠিন একটা ব্যাপার মনে হত আমার কাছে। অনেক ধরনের বাদ্য যন্ত্র বাজাতে শিখেছি আমি কিন্তু কিছুতেই বাঁশীতে সূর ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না ঠিক ঠাক । একসময় আমার অধ্যবসায় বলে সেখানেও সফল হয়েছিলাম আমি। এমন হাজার হাজার উদাহরন আমি আমার নিজের জীবনেই পেয়েছি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

তানিয়া রহমান বলেছেন: অপ্সরা আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১০

ফালতু মিয়া বলেছেন: আপনার কোনো গোল নাই : হ্যাঁ ছিল না।
এখন আছে।

অনেক চেষ্টার পর সংসারী হয়েছি, সংসারে মন বসে না। তারপরেও চেষ্টার কমতি নাই।

মনটা খালি বাউল হইতে চায়। কি যে করি?

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

তানিয়া রহমান বলেছেন: বাউল হওয়া কিন্তু খুবই কঠিন কিছু নয়, উপরের সূত্রমত চলুন দেখবেন কখন যে আপনি বাউল হয়ে গেছেন।

তবে আমরা ফালতু বাউল চাই না ।
হা হা হা...

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১১

তনুজা বলেছেন: ভাল লাগল

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

কলুর বলদ বলেছেন: ভাল।

৩.৮১ থেকে ৪.৯। এরকম উন্নতির গ্রাফ সবার হয়না। ওয়েল ডান।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

তানিয়া রহমান বলেছেন: দোয়া রাখবেন ভবিষ্যতে যেন আরো ভালো করতে পারি।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০

ফা্রুক হাসান বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট...

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

সৌম্য বলেছেন: কিছুই বুঝি নাই।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

পজিটিভ২৯ বলেছেন: আমি রিকশা নিলাম, রিকশাওয়ালা জিজ্ঞেস
করলো কোথায় যাইবনে স্যার। আমি বলতে পারলাম না কোথায় যাবো, তাহলে কি হবে? আপনার গন্তব্য আগে ঠিক করুন।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
অপ্‌সরা বলেছেন: বাহ খুব ভালো পোস্ট। আমি সত্যি এমন কিছু অসফল মানুষ বা ব্যার্থ মানুষকে দেখেছি যাদের ভেতর কনফিডেন্সের অভাব ছিলো বা এমন কিছু কিছু জিনিস যা তুমি লিখেছো আপুনি।

আমি সবসময় একটা জিনিস জেনেছিলাম আমার ছেলেবেলা থেকেই, ব্যার্থতা বলে আসলে কিছুই নেই। যদি কোনো কিছু করার সদিচ্ছা থাকে প্ল্যানিং আর অধ্যাবসায় নিয়ে গোল এর দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় মানুস সফল হবেই। সে যত দূরহ কাজই হোক না কেনো।

একটা সময় বাঁশী বাজানোকে এমন কঠিন একটা ব্যাপার মনে হত আমার কাছে। অনেক ধরনের বাদ্য যন্ত্র বাজাতে শিখেছি আমি কিন্তু কিছুতেই বাঁশীতে সূর ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না ঠিক ঠাক । একসময় আমার অধ্যবসায় বলে সেখানেও সফল হয়েছিলাম আমি। এমন হাজার হাজার উদাহরন আমি আমার নিজের জীবনেই পেয়েছি।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: আমার সাথে কেমন যেন ঠিকঠিক মিলে যাচ্ছে।
ভালো লিখছেন গো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০৩

তানিয়া রহমান বলেছেন: তাই নাকি ???

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: ভাল চালিয়েযান........

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

আন্ধার রাত বলেছেন:
"ব্যর্থতার মাঝে লুকিয়ে আছে সফলতার বীজ"

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

তানিয়া রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

ফজলুল কবিরী বলেছেন: লেখাটা পড়ে সুমির কথা খুব মনে পড়ছে। আমার ঘনিষ্ট বন্ধুদের একজন। একবার ও শিবখেরা'র একটা বই গিফট করেছিল। যেহেতু আমি লেখালেখি না কী সব করি সম্ভবত সেকারণে একটা বই উপহার দিয়ে ও প্রীত হতে চেয়েছিল। আমি প্রীত হয়েছিলাম। বইটা একফোটাও পড়তে পারিনি। নীতিকথায় আমার কাজ ছিল না। ফুল খাওয়ার জন্য নয়। গন্ধ নেবার জন্য। আমি এখনো মাঝেমধ্যে বইটা চোখে পড়লে গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করি। জ্ঞান এমনই এক ভয়ংকর প্রথা যে যত গ্রহণ করে সে তত বিপর্যস্ত হয়। ভাল থাকুন। আপনার লেখাটা পড়লাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তানিয়া রহমান বলেছেন: সুমির দেয়া বইটা আপনি পড়লে আপনার সব ক্ষেত্রেই আরো বেশি সফলতা আসত। যদি পারেন তবে বইটা পড়বেন। তুমিও জিতবে- বইটি আমারও অসম্ভব প্রিয়। যখনই কোন সময় হতাশ হয়ে পড়ি তখনই বইটা পড়ি। জাদু মন্ত্রের মত কাজ করে ।
ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা ভালো লিখসেন,তয় এডি এক কান দিয়া ঢুকায়া আরেক্কান্দিয়া বাইর হয়া গেচে অলরেডি আমার। ভালু কতা হুনার লুক্কম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তানিয়া রহমান বলেছেন: এটা নতুন কিছু না । আমাদের অনেক পুরানো অভ্যাস।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সুপ্ত সবুজ বলেছেন: আমি তো গোল ঠিক করতে পারছি না। এটাই বড় সমস্যা। আমাকে একেকজন একেক গোলের পরামর্শ দেয়। তাই আমার গোল এখন মুটামোটি তিনটা। এখন কোনটা আগে করবো এটা নিয়ে সমস্যায় আছি। আমি জানি আপনি কি বলবেন, বলবেন অন্য লোকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের একটা মাত্র গোল ঠিক করুন। কিন্তু এটাই আমার দ্বারা সম্ভব নয়। সো, হোয়াট ক্যান আই ডো, আই ডোন্ট নো এন্ড থ্যাংকু।

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০১

তানিয়া রহমান বলেছেন: পাগলেও নিজের ভাল বোঝে, আর আপনিতো....

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩৫

গন্তব্যহীন বলেছেন: আমার কাহিনী অন্যরকম। আমার একটাই গোল যেটা করব সফল হব। সেটার জন্যে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করি না। ফলাফল খারাপ হলে হতাশ না হওয়াটাই ভালো। এমনকি কোরানেও বলা আছে , হারতে না শিখলে জিতা যায় না। ফেইলিওর ইজ দ্যা পিলার অফ সাক্সেস

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৫

ইমির বলেছেন: আপনি এইচ এস সি কি আর্টস গ্রুপে পড়তেন?

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৬

ইমির বলেছেন: আপনি এইচ এস সি কি আর্টস গ্রুপে পড়তেন?

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৪৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনি যে পোস্টটা দিয়েছেন, সেটা হল একটা বইয়ের অনুবাদ। অথবা,অনুবাদ থেকেই কোট করেছেন।
the magic of thinking big ।

এটা কী ইচ্ছাকৃত ?
যাই হোক, মানুষের কাজে লাগবে, ভাল পোস্ট। তবে, কোন বই থেকে কোট করলে পোস্টের শেষে ওই বইয়ের নাম লিখে দেয়া উচিত।

যদি আসলেই নেট থেকে লিখে রাখেন, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের লিংক দেবেন কী ?

ভাল থাকবেন।

১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩০

সোজা কথা বলেছেন: সত্যি বলতে কি সুপ্ত সবুজের উপলব্দিটি খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা । হয়তো সবাই কোন না কোন সময় ভাববাদীদের মতো নিজেকে প্রশ্ন করে সাফল্য কী,তার মাপ কাঠি কি, বিফলতা কি? লক্ষ্য আসবে তার সফলতার হাত ধরে ।গোলহীনতাও কি প্যারাডক্সের মত গোল হতে পারে?

যদি এমবিএর ছাত্রকে ছক কাটতে দেয়া হয় তবে বিল গেটস হবে সফল লালন ফকির হবে ব্যর্থ । পক্ষান্তরে যদি ধর্ম প্রচারকের কাছে যান তবে পরকালের জন্য যে লোকটি জীবন ক্ষয় করেছে সেই সফল। প্রথম যে দিন আব্দুল জব্বারের লেখা খ-গোলক বইটি পড়ি তখন বিশ্বের বিশাল আয়তনের তুলনায় মানব জীবন কে একটি ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে নগন্য মনে হয়েছে। স্বার্থের জন্য মানুষে মানুষের লড়াইকে হাস্যকর মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, এক জন মানুষ উপরে ওঠা, ভোগ্যপণ্যের জন্য আত্মবিক্রয় অথবা ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে থাকার চেয়ে যদি সবাই সমাজতান্ত্রিক এক ব্যবস্হায় মিলে মিশে থাকতে পারতো, সেটাই হতো সাফল্য। পরে বুঝতে পেরেছি এই দর্শণের বিপরীত দর্শণ রয়েছে। যেখানে মানুষের সমাজ বিশ্বভ্রম্মান্ডের তারকামন্ডলী অথবা অতিপ্রাকৃত ঈশ্বরের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

সাফল্য বা ব্যর্থতার মাপ কাঠিটি এতই ভিন্ন যে সংশয়বাদী লোকজনকে অভিযুক্ত করতে পারি না। বাস্তব সমাজে বেচে থাকার জন্য হয়তো অর্থ, প্রতিপত্তি বা সামাজিক সম্মানটিই এ সব লাভ ক্ষতি প্রধাণ । কিন্তু আমি নাম না জানা অখ্যাত এক বাউল সঙ্গীত শিল্পীকে দেখেছিলাম কুষ্টিয়াতে, কিছুই নেই শরীরে, মন প্রাণ উজাড় করে গান গাইছে।দুচোখে ঝরছে আবেগের জল, তার সামনে কোন ভবিষ্যতের চিন্তা নেই শুধু বর্তমানের আনন্দটুকুই সব।

দারিদ্র দুর করতে যদিও ক্রমাগত আপোষ করে যাই তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় যদি মুদ্রার আবিষ্কার না হতো, যদি এই সভ্যতার বৈভব না হতো, আকাশ বাতাস কাপানো টেকনোলজি না থাকতো, যদি আফ্রিকার সেই আদিম জঙ্গলের অসভ্য মানুষের মত প্রতিদিনকার আনন্দ, কষ্ট প্রতিদিনকার মত ভাগাভাগি করে নেয়া যেত তবে সেই জীবনে এমন কিছু হারানোর থাকতো না।

ভাববাদের লোডশেডিং থেকে বাস্তবে ফিরে এসে মনে হলো, আমার প্রকৃত পরিচয় হলো কর্পোরেট সমাজের একজন মধ্যবিত্ত সদস্যের । বাজারের থলে নিয়ে বের হতে হবে, মাস শেষে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে, ছেলের জন্য পুষ্টিকর খাবার কিনতে হবে । সুতরা সময়কে পিজ্জার টুকরার মত ভাগ করে খাইয়ে দিতে হবে পেশা নামক অদৃশ্য দানব কে। একটা গাড়ি কিনে বাড়ি ফিরলে, পার্টিতে বউটি একটু ভাল সেজে যেতে পারলে সবাই বলবে..এরকম আদর্শ ছেলে হয় না।

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৭

মুক্ত বয়ান বলেছেন: আপু.. এইটা তো "ডেসটিনি" মার্কা পোস্ট হইল!!

তাও লিখতে থাকেন। পড়তে থাকি। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:১৭

তানিয়া রহমান বলেছেন: কথার কোন মার্কা হয় না। যারা মার্কা লাগাতে চায় তারা শুধু বলে যায় কিন্তু জীবনে কিছু করতে পারে না। বিশ্বাস করে কাজ করে যান দেখবেন সফলতা আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। আর আমার জানামতে "ডেসটিনি ২০০০ লি." কোম্পানীর কর্মচারীরা অনেক বেশি এ্যাকটিভ এবং বেশি কন্ফিডেন্ট হয়ে থাকে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।

২১| ০৭ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

জয় সরকার বলেছেন: লেখা সুন্দর হইছে।তয় জানি তো সবই ইন্তু ডট...ডট...ডট...ডট...

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪

কীির্তমান বলেছেন: আপনার নির্দেশনাকে সার্বজনিন (জেনারালাইজ) করা যাবে কিনা বুঝতেছিনা, তবে আমি যা বলবো তা 'সোজা কথা'র প্রতিধ্বনিই হবে অনেকাংশে।

আপনার কথাগুলো মনে হচ্ছে বস্তুগত উন্নতির লক্ষ্যে প্রযোজ্য হবে। কিন্তু কারও জীবন দর্শন যদি নিছক বস্তুগত না হয়ে আধ্যাত্মিক হয়, তাহলে সম্ভবত ভিন্ন ফর্মূলা প্রযুক্ত হবে.....

সর্বোপরি, এটা অনস্বীকার্য যে, আপনার নির্দেশনাগুলো অবশ্যই কারও না কারও সফলতার পেছনে অবদান রাখবে, অন্তত কারও ব্যর্থতার কারণ হবে না - এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়...এবং ধন্যবাদটাও আপনার প্রাপ্য হয়ে গেছে সে কারণেই...

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০০

তানিয়া রহমান বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সাফল্য অর্জনের ফর্মুলা সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো আলোচনা আছে এই বইয়ে। আমার জীবনে পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মউন্নয়নমূলক বই। আশা করি ইতিমধ্যে পড়েছেন।
Click This Link

২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৪

নাজমুল ফিরোজ বলেছেন: অাপনার িলখাটা েশষ করুন।

২৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭

নাজমুল ফিরোজ বলেছেন: আপনার লিখাটা শেষ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.