![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের সৌন্দর্য তার চিন্তায়; তার কল্পনায়। আমাদের চিন্তা ও কল্পনার জগত অধিকতর সুন্দর হয়ে উঠুক। এ-ই কামনা।
প্রজাপতি তিনটা। প্রত্যেকটারই খুব সাধ আগুনের প্রকৃতি অনুধাবনের। প্রথমটা তাই আগুনের কাছে যায়। পাখনা ঝাপটায়। অদ্ভুত অবাক হয়ে দেখে, এই রে, আগুন নাচছে! আগুনের প্রতি প্রেম তাকে তাপ অনুভবের সুযোগ দেয়।
দ্বিতীয়টার প্রেম তাকে আগুনের খুব বেশি নিকটে পৌঁছে দিলো। সে দেখলো, তার পাখনা পুড়ছে। নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে নিকোটিনে আক্রান্ত ফুসফুসের মতো। বেশ কিছুকাল অতিক্রম করার পর সে আর সহ্য করতে পারলো না। নিজকে ভালোবাসার তাগিদে নিবৃত হলো অগ্নিপ্রণয় থেকে। সে প্রথম প্রজাপতি থেকে আগুনকে বেশি জানলো বটে। কিন্তু আগুন তার পূর্ণ প্রকৃতি তার কাছে উন্মুক্ত করলো না।
তৃতীয় প্রজাপতিটা ছিলো আগুনের প্রেমে মাতোয়ারা। নিজকে ভালোবাসার নেশা ভুলে গিয়ে উন্মত্ত হলো শিখার শরাব পানে। এক পর্যায়ে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলো।
মহাকবি আত্তার বলেন, “ঝলসে বিলীন হয়ে যাওয়া প্রজাপতিই জানে, আগুন আসলে কী। কিন্তু সে এ ব্যাপারে অন্যকে সংবাদ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা রাখে না।”
খোদার প্রেমে উন্মাদ প্রেমিক কখন যে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দেন, তা নিজেও বলতে পারেন না। যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অন্য এক জগতে ছুটে চলা। রাতের আঁধারে প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খেতে-খেতে অজান্তেই পংক্তিমালা বর্ষণমুখর হয়ে ওঠে। প্রাণের উত্তাল আবেগ অস্থির করে তোলে। অস্তিত্বহীন হয়ে আবৃত্তি করতে থাকেন প্রেমের কবিতা। ঝলসে যাওয়া এ প্রজাপতি কীভাবে বোঝাবে, খোদাপ্রেমের অগ্নি কী জিনিস? ভাবের জগতে দরিদ্র; শব্দের জগতে ধনী কবিরা যখন নারীদেহের ভাঁজ খাবলে খায় কুদৃষ্টির আঁচড়ে, মহাবিশ্বকে খুঁজে পায় ‘বাইনাল ফাখিযাইন’-এ, তখন খোদাপ্রেমে উন্মাদ কবিতার পসড়া সাজায় স্রষ্টার সাথে মিলনের পরমানন্দে। মুমিনের মিরাজ! আহা, কী প্রশান্তির আনন্দ!! কী দহনের জ্বালা!!!
শামস-ই-তাবরীজের মতে তারা থাকে মধ্যভাগে, কিন্তু একাকী। তাঁরই আরেকটি উক্তি খুব মনে পড়ছে, “খোদাপ্রেমিক হলো পানিতে ভেসে থাকা পাতার মতো। যার ভেতর থাকে একটা পাহাড়। আর বাইরে কেবলই এক শুকনো পাতা!”
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
তানভীর মুহাম্মাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
আহা রুবন বলেছেন: ভাই আপনি ভাল লেখেন। চালিয়ে যান।