নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

তানভীর- বিন- হাসান

ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]

তানভীর- বিন- হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ্য।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

"... ছোটবেলা থেকে আমরা পাঠ নিই দেশের তরে, মাটির টানে, দেশের মানুষের টানে কিম্বা তুচ্ছ হলেও দশের কিছু মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গের... পাঠ্য তাতেই ভরা থাকে। বিদ্যালয়ের তথাকথিত ভালো ছাত্ররা ওইগুলান অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ে তারপর দিন শেষে অর্থের আর ক্যরিয়ার গঠনের খাতিরে জীবন দেয়। আক্ষরিক অর্থেই এখন অনেকে জীবন দিচ্ছে... আর পেছনের যাদের পড়াই হয়ে ওঠেনা, তাদের অনেকেই হয়ে ওঠেন দেশ গড়ার হাতিয়ার।



প্রথম আলোর প্রথম পাতায়, মাঝে মাঝে শেষ পাতায় আলোয় উদ্ভাসিত বাঙ্গালিদের নিয়ে প্রায়ই ফিচার করে। পড়ি, দারুন সব খবর। নিজে হয়ত ইশকুলের আসে পাশে হাটেন নি, ওই একই ব্যাক্তি গড়ে তুলেছেন বিশাল এক মাধ্যমিক ইশকুল। নিজে এক বর্ণ পড়তে পারেন না, কিন্তু তার হাতে গড়ে উঠছে গ্রন্থাগার। মোটা মোটা বই পড়া চিকিৎসকের ভুলে মারা গেছেন মা কিম্বা বাবা, সেই কামারের নির্লোভ সঞ্চয়ে চলে একটা ছোট্ট হাসপাতাল। অদ্ভুত...



পাঠ্যে আসলে পাঠ্য কতটুকু আর অপাঠ্য কতটুকু...?!



হাজার পাঠ করে কেন করি খুন, ধর্ষণ, ব্যভিচার। খাই ঘুষ, দমাই অর্থনীতি- রাজনীতি আর নারী অধিকার...!!...



হাজার পাঠ করে কোপাই বিশ্বজিৎ কে, রগ কাটি অজস্রের।



পাঠের সংখ্যা বাড়তে থাকে, মুক্তি চাই যুদ্ধাপরাধীদের।



কটলারে শিখি বিপণন, ব্যবসায়। কুঞ্জে কুঞ্জে ব্যাবস্থাপনা, তাই হাজার পাঠ করে চুপ থাকি অন্যায়ে, দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার নিজের কাজে মনে দেই। মাঝে মাঝে ফেবুতে, ব্লগে অথবা বন্ধুদের আড্ডায় বলি কিন্তু পাছে আবার নিজের পাছায় বাড়ি পড়ে কিনা দেখে নিই।



আর দিনান্তে চিন্তা করি, মনুষ্যত্ব শেখাবার পাঠ ওই মূর্খ- নিরক্ষর- চাষার বাচ্চারা কোন ইশকুলে পেলো...?!!!!!..."

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.