![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]
চাকুরী জীবন শুরু করার আগে ফি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে, ফি বছরই আমাদের ব্যাচের ছেলে-মেয়েরা তীব্র উৎকণ্ঠায় ভুগতাম। এবার কত এ+ পেলো? কি হবে সামনে?
২০০১ সালে প্রথম জিপিএ পদ্ধতি চালু হয়। আমরা সে বছর পরীক্ষা দেই। স্মৃতি ধোঁকা না দিলে যতটুকু মনে পড়ে পরীক্ষার সপ্তাহখানেক আগে আমরা জিপিএ ব্যাপারটা জানতে পারি। জানাই সার, বোঝার পর্যায়ে যেতে পারিনি কেউ।
আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বেশ ভালো বুঝতেন সব, তার কাছে গিয়ে সবিশেষ বুঝতে চাইলাম। তিনি অনেক বললেন, আমরা অনেক শুনলাম, যা বুঝলাম তা হল- আমাদের পরীক্ষার ফল এবার জিপিএ- তেই দেয়া হবে!!!!! বুঝতে আসছিলাম জিপিএ কি। বুঝলাম জিপিএ=জিপিএ।
পরীক্ষা দিলাম, পেলাম ফল। এ গ্রেড। পুরো দেশে ৭৬ এ+। আমি পাশেই খুশী। বাসায় নাচতে নাচতে আসলাম। ঐচ্ছিক বিষয়ের নম্বর যোগ হত না সে সময়। অনেকে তাই ওই পরীক্ষার সময় হলে এসে আড্ডা দেবার ঘটনাও ঘটেছে!!! এক বন্ধু ৩.৬৩ পেয়েছিল মনে পড়ে, ওরে এক বড় ভাই বললো - পড়ার টেবিলত বইয়েনে বইয়েনে গাঞ্জা খাইয়স দেনা ওডা, আই তো চাইরশ ফার কইজ্জিলাম। তুইত ইবাও ন পারিলি!!!!
বোঝেন অবস্থা।
এইচ এস সি ও গেল। ভার্সিটি ও গেল। চাকুরীর পরীক্ষা দিব। দেখি সেই ৯-১০ বছর আগের জিপিএ ইজ্জত নিয়ে টানাটানি শুরু করলো। সরকার এক রকমের কথা বলে, চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান বলে অন্যরকম। অনেক বন্ধুই অনেক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলোনা। তাদের হয়তো মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিকের যে কোন একটিতে সামান্য পা পিছলানো ফলাফল।
এখন ক্যান এই আকাশচুম্বী এ+ জাগরন। শুধু ৭৬ কিভাবে ৯১ হাজার হয়?! মেধার কি এটমিক এক্সপ্লোশন হয়েছে? নাকি আমরা ২০০১ থেকে ২০০৩ এই জাতির গর্দভ সন্তান??? এক যুগ আগে ৯১ হাজার পাশ করাটাও তো একটা ব্যাপার ছিল।
ছোট ভাই আর বোনেরা, আমি তোমাদের ছোট করছিনা, তোমরা অতি অবশ্যই মেধাবী, তোমরা এখনকার জিপিএ পাঁচের যোগ্য বলেই পেয়েছ, অবশ্যই সাধুবাদ।
আমি বলছি সরকারের শিক্ষানীতি প্রনয়নকারী গাধা মগজধারী ঘোড়ার দলটাকে। যারা গত সাত- আট বছর ধরে দেশে মেধা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছেন।
মাইলস্টোন একটা বড় জিনিষ। সেটার মর্যাদা বুঝতে হবে। আলেকজান্ডার কেও থামতে হয়, মাইকেল সুমাখারকেও, সচিন, মুরালি, পেলে কিম্বা উসাইন বোল্ট। যে কোন ক্ষেত্রে যার যার মাইলস্টোনে এসে সে থামে। তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলে একবার হলেও।
আপনি তৃপ্ত, সহজ ভাষায় আপনার তৃষ্ণা আপাতত শেষ। আপনার মাইলফলক পাঁচ ছোঁয়া। আপনি ছুঁয়েছেন। এবার কি?? ঠিকাছে, সবাই তৃপ্ত হয় না, কিন্তু অনেকেই হবে। পাঁচে এসে ভাববে আমি কি হনুরে?? আর অনেকে ভাববে, এত সহজেই ছুলাম, বাহ এভাবেই চলুক। আর অনেকে ভাববে, কি হল, ভাবতে ভাবতে আরেক টি সোপান চলে আসবে। এবং, পা পিছলানোর সম্ভাবনা প্রচুর।
এতোটা সস্তা করে ফেলা অর্জন, এ ঐ মেধাবী মুখেদের চেয়ে অনেক বেশী রাজনৈতিক অর্জন। গত সরকার করেছে পঞ্চাশ, আমি লক্ষ ছোব। ছুতেই হবে।
হাজার হাজার থেকে লক্ষ ছুতে যাওয়া উল্লসিত 'V'- চিহ্ন নিয়ে যখন কচিকাঁচা মুখ গুলোর উল্লাস দেখি, খুবই ভালো লাগে। কিন্তু, চিন্তা করি জীবনযুদ্ধে এত এত V দেখবো কি আমরা? আজ এরা উল্লসিত, পাঁচের শক্তি এদের নিজেদের মধ্যে অদ্ভুত এক অহমের জন্ম দেবে, কিছু তার যোগ্য, কিন্তু অনেকেই নয়। যারা নয়, তারা নিজেদের ভুল জানছে, নিজেদের ভুল বুঝে এগুচ্ছে। সাতার না জেনেই লাফ দিচ্ছে অথৈ সমুদ্রে, ডুবে যাওয়ার সময় বুঝছে- আমি তো সাতার শিখিনি।
পরিনাম, নিশ্চিত সলিল সমাধি।
এদের বাঁচান। যারা বুঝেন, জানেন, বাঁচান আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কে। পড়ালেখায় সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠাই সব নয়। যেখানে কষ্ট করে ওঠার কথা, আমরা ওদের সেখানটায় উঠিয়ে দিচ্ছি হেলিকপ্টারে করে।
"এভারেস্টে বিমানে চড়ে নেমে গেলে সেটা কি এভারেস্ট জয় করা হবে??"
তোমার সুপ্ত মেধা রয়েছে হয়তো অন্য কোথাও। সেটা আবিষ্কারের দায়িত্ব তোমার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই সব নয়। সেটা কারো কারো জন্যে সব, সবার জন্যে সব নয়। যাদের জন্যে সব নয়, তাদের জন্যেও পৃথিবীর অন্য কোথাও, অন্য সব অপেক্ষা করছে।
প্রিয় শিক্ষামন্ত্রী, বাঁচান, নিজের গদি না বাঁচিয়ে এই কোমলমতি-দের বাঁচান। ওদের সামনে বিশাল জীবন। আপনার অধিকার নেই, ওদের লোভের মিষ্টি খাইয়ে, পুরো জীবন আপনার বা আপনাদের করে নেবার।
জানি, এ বড় তেঁতো কথা বললাম।
কিন্তু, আমি শক্ত পায়ে দাঁড়ালাম আমার আশেপাশের এই কচি প্রাণগুলোকে বাঁচাবার জন্যে, ওদের বাস্তব দেখাবার জন্যে। আপনি বা আপনারা আছেন কি?
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ধইন্যবাদ বদ্দা।
২| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৬
নষ্ট ছেলে বলেছেন: প্রতিবছর রেজাল্ট আগের বছরের রেজাল্টকে ছাড়িয়ে না গেলে কি সরকারের মান সম্মান থাকে? দেশ যে আগাইয়া যাইতাছে এইটা তো জনগণরে চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিতে হইব তাই না?
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: সেটাই ভাই।
৩| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৭
বিভ্রান্ত _পথিক বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লাগল।আমার মনের কথা বলেছেন।আমার পোস্টটিও দেখার অনুরোধ রইল।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই দেখবো ভাই। ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২৬
অমৃত সুধা বলেছেন: অল্পের জন্য জিপিএ ৫ মিস করলেন পড়শী
http://dhakajournal.com/?p=6914
৫| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:২৫
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: বাবা-মা ও খুশি সরকারও খুশি। নেন মিষ্টি খান।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: এইটা একটা সেরাম প্রস্তাব।
মিষ্টান্ন ভাণ্ডার খুলবো ভাবছি।
৬| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
টানিম বলেছেন: খুব সুন্দর গরি লেইক্কন। অনরে অনেক ধইন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ধইন্যবাদ বদ্দা। গম থাইক্কন।
৭| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
কালোপরী বলেছেন: ++++++++
৮| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাইজান এক্কেরে হাচা কতা কইছুইন। আমিও এককান ধরা খাইছি আমহের লাহান।
৯| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২০
রোদেলা দুপুর বলেছেন: শিক্ষা মন্ত্রি নিজে কি পেয়েছিলেন সেটা খোঁজ নিয়ে দেখার বিষয়।
১০| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
কেএসরথি বলেছেন: বেশী ভাল রেজাল্ট করিয়ে, দেশে গর্দভের পরিমান আরো বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যৎে এদের মাঝ থেকেই তো নেতা তৈরি হবে। একটা বুদ্ধিমান বাংলাদেশ হলে তো আর এই দেশ কে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানো যাবে না।
যারা পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করেছেন, তাদের জন্য অবশ্যই কনগ্রাটস। আর যারা সরকারের দয়ায় পাস করেছেন - কি আর কমু??!!
১১| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
গ্রীনমাইল বলেছেন: অনেক জিপিএ ৫ ধারী আছে যাদের কি যদি পানির সংকেত জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলবে ভাই পড়ছিলাম তো এখন মনে পড়ছে না।
১২| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
ঐশীকা বলেছেন: onek valo bolechen. ami dekhechi double golden A+ peyeu onek student kothau chance pay na. ar amader public uni gulor ason sonkkhau simito. to kauke ekebare unnotir chorom simanay pouche diye jodi hotat kore nameye deuya hoy tahole ar setar kono manei thake na. porar jonno pora noy janar jonno pora. ekhon majhe majhe mone hoy sei star stand er juge valo cilo (but GPA system is more better but jodi seta sothik vabe use hoy). dhonnobad apnake.
১৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: কাজের চাপে স্রেফ শুক্রবারে বসা হয় ভাই ও বোনেরা, উত্তর সাথে সাথে দিতে পারিনি বলে ক্ষমা চাইছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব সুন্দর গরি লেইক্কন। অনরে অনেক ধইন্যবাদ।