![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]
কোন কিছুরই একটা দিক থাকেনা। অনেকগুলো, অনেকভাবে বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রে আসতে হয়। তবে, বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, আশুর ব্যাপারটা সত্যি। সে ফিক্সিং এ জড়িত।
তবে, অতি উৎসাহী হয়ে আশুর সাথে স্রিশান্ত কিম্বা আসিফ, সালমান বাটের মিল খোঁজার দরকার নেই। জীবনে চলার পথে আমরা সবাই ভুল করি। ব্যাপারটা হোল- স্বীকার করে কয়জন?
শ্রিশান্ত, আসিফ এবং বাট- এই তিনজনা-ই তাদের নিজ নিজ ফিক্সিং এর ব্যাপার টা হাতেনাতে ধরা খাবার পর অস্বীকার করে এসেছে।
শ্রিশান্ত- শুধু অর্থই নেয়নি, তার জন্যে নারীর ব্যাবস্থা ও করতে হয়েছিল। তাকে যখন শ্রী-ঘরে পাঠাবার জন্যে পুলিশি মাইক্রোতে তোলা হয়, তার আগে সে সেই নারীর সাথেই ছিল এবং ঐ মহিলাকেও একই মাইক্রো তে তুলে আনা হয়। এত কিছুর পরেও সে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে!!!!...
হায় খোদা, কই যামু!!!!!!
আসিফের নারিলোভ, অর্থলোভ, গাজা-মদ-আফিম-হেরোইন-কোকেন ইত্যাদি প্রীতির কথা সর্বজনবিদিত। পাকিস্তানি আরেক কুপথগামী ললনা বীণা মালিকের সাথে আসিফের পরিণয় ও পরে সবকিছুর অস্বীকার ও কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি সে আমরা সবাই জানি। - সেও এখনো নিজেকে নির্দোষ দাবী করে, এসবের উল্টো বিচার দাবী করে। ......
হায় খোদা, কই যামু!!!!!!
সালমান বাট... হোটেলে, পাবে নারীসঙ্গ ছাড়া চলতো না এই সুপুরুষের। সাথে নিষিদ্ধ বস্তু রাখার একই অভিযোগে অভিযুক্ত। সরাসরি পুরো স্পট ফিক্সিং প্ল্যান সাজানো থেকে শুরু করে ইংলিশ দের সাথে সেই ফিক্সিংময় সিরিজের পুরো ব্যাবস্থাপনায় সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হবার পরে, এখনো সে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে। নির্লজ্জতার শেষ কোথায়???...
হায় খোদা, কই যামু!!!!!!
আর আমাদের আশু... একটা চিপা দিতেই, নিজে থেকে গরগর করে সব স্বীকার করে নেয়া ছেলেটা। আমি বলছিনা এই কারণে তাকে ক্ষমা করে দিন, কিন্তু; পার্থক্য আছেই। আশু ভুল করেছে, কিন্তু সে পাপী নয়। আজ অনেক কে ক্রিকেট বোদ্ধা হতে দেখছি, এরা সবকিছুতেই এক্সট্রিম লেভেল গেইম খেলতে চায়। নিজের যখন ভুল অথবা পাপ ধরা পড়বে, ঠিকই নিজেকে দাবী করবে নির্দোষ।
আমাদের ছেলেপেলেরা ভারতীয় কিম্বা পাকিস্তানি কুকুর-দের মত বড় হয়না। এখনো আমরা ওদের চেয়ে নম্র-ভদ্রই আছি। এখনো, নারীদের প্রতি আমাদের ছেলেদের দৃষ্টি অনেক বেশী সংযত। এখনো জাতীয় পর্যায়ের কোন ক্রিকেটারের মাদক বহন, সেবন, নারিলোভী কীর্তির কথা শোনা যায়নি।
যারা পাকিস্তানের মুসলমান-দের দেখে ওদের সাচ্চা বলেন, তাদের বলি আপনারা এখনো বাচ্চাই আছেন। বাংলাদেশ এখনো ওদের চেয়ে পবিত্রই আছে। যারা ভারতীয় দের উথান দেখে বিস্মিত, তাদের বলি, মায়ের-বোনের সম্মান অবাধে বিসর্জন দিয়ে মিডিয়া নির্ভর উথান আমাদের দরকার নেই। আমরা ইনশাল্লাহ, আমাদের মতই উন্নতি করে যাবো।
আশরাফুল-কে বাঁচতে দিন। খেলাটাই ছেলেটার জীবন। সে এখনো সংসারী হয়নি খেলাটার জন্যেই, তার কথাবার্তা শুনলে বুঝবেন সে এখনো কত সরল। শাস্তি হবার হবে, কিন্তু সারাক্ষণ অপমানের তীব্র জ্বালায়, ঘৃণায় যেন বাঁচতে না হয় আমাদের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার-কে।
বেশী রাগ হলে আশরাফুলীয় দিনগুলোর কথা মনে করে নেবেন। কেঁদে হালকা হয়ে নেবেন। কিন্তু, আর চাইনা হ্যান্সি ক্রনিয়ে ট্রাজেডি। একা একা ধুঁকে ধুঁকে তীব্র স্লেশে ভুগে শেষমেশ এক অপঘাত মৃত্যু চাইনা। এরা ভুল করেছে, কিন্তু এরা ভুল মানুষ নয়, ছিল না। মনে যাদের অনুশোচনা, পাপবোধ থাকে তারা দিনশেষে আরেকজন ভালো মানুষ।
ভালো মানুষেরা বেঁচে থাকুক। ভালো থাকুক। আশু-রা, হ্যান্সি-রা আমাদের মনে থাকুক ভালো জায়গাটায়, ভালো স্মৃতির জন্যে। মন্দ- দের জন্যে মন্দ জায়গাটা খোলা রাখুন।
এই পর্যন্ত তোর পাশে আছি, থাকবোরে পাগলা। আর কোন বোম ফাটাস না যেন। :#>
©somewhere in net ltd.