নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উদীচী ট্রাজেডি সেই
দিন এলো ফিরে,
আজ শুনি সেই কথা
শোক গাঁথা ঘিরে।
শোক আসে বুকে ব্যাথা
বাড়ে চিন্ চিন্,
আসেনাতো ফিরে শুধু
বিচারের দিন!
আজ সেই ভয়াল ৬ মার্চ। এদিন সংঘটিত হয়েছিল দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। ১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচীর দ্বাদশ সম্মেলনে বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০জন সাংস্কৃতিক কর্মী। আহত হন শতাধিক লোক। দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উদীচী যশোর।
১৪ বছর অতিবাহিত হলেও উদীচী হত্যাকান্ড ও বিস্ফোরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘাতকদের সনাক্ত ও বিচার করতে উচ্চ আদালতে আপীল করলেও খালাস প্রাপ্তদের আত্মসমর্পন করিয়ে জামিন দেয়া ছাড়া মামলার বিচারিক কোন অগ্রগতি হয়নি।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উদীচী মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করে। ২০১১ সালের ৪ মে সরকারের দায়ের করা আপিলটি গ্রহণ করে বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এর ফলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। উচ্চ আদালত এ মামলার খালাসপ্রাপ্তদের পুনরায় আত্মসমর্পনের জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি পত্র ২০১১ সালের ২০ জুন যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে পৌছায়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, এ মামলায় মোট ২৩ আসামি খালাস পান। পরবর্তীতে মহিউদ্দিন আলমগীর, আহসান কবীর হাসান ও মিজানুর রহমান মিজান মারা যান। আদালতের কাছে তাদের মৃত্যুর কাগজপত্র দাখিল হওয়ায় তাদের বাদে বাকী ২০জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিলো। সমনে উল্লেখ করা হয়, এক মাসের মধ্যে সকলকে আত্মসমর্পন করে জামিন গ্রহণ করতে হবে। এরপর ১৭জন বিভিন্ন সময়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন। কিন্তু শফিকুল ইসলাম মিন্টা, শরিফুল ইসলাম লিটু ও সোহরাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পন না করায় তাদের বিরুদ্ধে ২৪ জুলাই গ্রেফতারি পরয়োনা জারির নির্দেশ দেয় আদালত। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে আটক হন এ মামলার অন্যতম আসামি শফিকুল ইসলাম মিন্টা। পরবর্তীতে তাকেও এ মামলায় জামিন দেয় আদালত।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, শরিফুল ইসলাম লিটু বর্তমানে ভারত ও সোহরাব মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছে।
যশোরের পিপি এজেডএম ফিরোজ জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে সরকার মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আপীল করেন। বর্তমানে মামলাটি শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।
উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক ডিএম শাহিদুজ্জামান জানান, উদীচী ট্রাজেডির ১৪তম বার্ষির্কী উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকেল ৫টা ১মিনিটে উদীচী প্রাঙ্গনে প্রতিবাদী অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে টাউন হল মাঠের শহীদ স্মারকে পুষ্পমাল্য অর্পন ও আলোক প্রজ্জ্বলন।
উল্লেখ্য, উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাত ১টা১০ মিনিটে যশোর টাউন হল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন। এঘটনায় হত্যা ও বিষ্ফোরণের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। তদন্ত শেষে এ মামলায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। চার্জশিটভুক্ত ২৪ জনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অব্যাহতি দেয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৬ সালের ২৮ জুন যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক বাকি ২৩ জনকে খালাস দেন।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এই ঘটনার ভূক্তভোগীরা এখনও তাকিয়ে আছে বিচারের দিকে।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৪
মশামামা বলেছেন: খায়ালচে!!!!!
শায়মা বুড়ি আমার ফারামনিরে খায়ালচে!!!!
হালার নিকডাই খুলছিলাম এই জন্য। এখন এমুন চোক আমি কুনে পাই????????
সান্তনুরে গদাম দেয়া আমার এক সেকেন্ডের ব্যাপার আচিলো।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কিছুই বুঝলামনা। মাথা ঠিক আছে তো?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
বোকামন বলেছেন: আসেনাতো ফিরে শুধু
বিচারের দিন