নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটিই লক্ষ্য- ডিজিটাল বাংলাদেশের এবং মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অনিরপেক্ষতা..।

তানভীর এলিন

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট

তানভীর এলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-সাধারণ ক্ষমা-অতঃপর সসম্মানে মুক্ত

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৩২

সিমলা চুক্তি এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে কেন ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো সে বিষয় নিয়ে অারেকদিন লিখবো..কারণ বিষয়টি বিস্তর আলোচনা করতে হবে। তবে আজ একটু স্মৃতিচারণ করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-সাধারণ ক্ষমা-অতঃপর তাহাদের সসম্মানের সহিত ছাড়ার বিষয়েঃ
**-------***
১) বাংলাদেশ যেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে না পারে সে জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভুট্টু চীনকে দিয়ে ভেটো্ দেয়ায় জাতিসংঘে যেন বাংলাদেশ সদ্স্য পদ না পায়..এবং ২৫ আগষ্ট ১৯৭২ সালে চীন তাই করে.... কিন্তু তারপরও বঙ্গবন্ধু দেশে থাকা পাকিস্তানি সহযোগিদের বিচার কাজ বন্ধ করেননি..তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী দালাল আইনের মাধ্যমে “ধর্ষক, অগ্নি সংযোগকারী, খুনী, লুটেরা” এই চার অপরাধের সাথে যারা সরাসরি জড়িত নয় শুধু মাত্র তাদের সাধারণ ক্ষমা করে,২৯শে মার্চ ১৯৭২ সালে নিয়াজী এবং রাও ফরমান আলীসহ প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পরিকল্পনা করে...এবং বিচার কাজ শুরু করে...এবং তৎকালিন সময়ে চিকন আলি নামের একজনকে ফাঁসিও দেয়া হয়।
২) কিন্তু আমরা কি দেখলাম...১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর...জিয়া ২৮ ডিসেম্বর সেই যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দিলেন..শুধু তাই নয়.১৯৭৮ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি করে .চিহ্নিত রাজাকার শাহ আজিজকে ১৯৭৯ সালের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী করে দেন..শুধু তাই নয় রাজাকার শব্দকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার যুক্তি ছিল রাজাকার বলে নিজেদের মধ্যে শত্রুতা, দূরুত্ব বাড়ানো যাবে না, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে সকলকে একসাথে। কিন্তু তিনি এটা ভাবতে পারে নাই, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই ভুলতে পারেনি সেই রাজাকার, আল-বদর, আল-সামসদের কথা। বাংলার মানুষ ভুলে যেতে পারেনি ২০০১ সালের নির্বাচনে জয় লাভের পর খালেদা জিয়ার সেই একই আচরণটি যা করেছিলো তার স্বামী। তিনিও তুলে দিলেন দুই রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা।এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষের শক্তি ভুলে যায়নি বিএনপি-জোটের সেই নংরা রাজনীতি, যা তারা করে ছিলো ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করে। তারা চেয়েছিলো ১৫ আগষ্টের অসমাপ্ত কাজটি সেই দিন সমাপ্ত করতে। কারণ তারাও জানতো শেখ হাসিনা এবার ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের নিস্তার নেই। আর তাই প্রানে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালের ৯ম সংসদ নির্বাচনে তার নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গটি আনলেন, তখনি বাংলার আপামর জনতা যারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসান।
৩) শেখ হাসিনাও কথা রাখেন…শুরু করেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আর তাতে করে তাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশ-বিদেশের নানা ষড়যন্ত্রের। ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনা না হলে আসলেই আওয়ামীলীগের কারও পক্ষে এ বিচার কাজ করা সম্ভব হত না। শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভব হওয়ার কারণ?? কারণ একটিই তার ওপর ১৭বার সরাসরি হামলা হয়েছে।প্রতিবারই অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। আর তাই তো তিনি বলেছেন- “আল্লাহ আমাকে নিয়ে গেলে অনেক আগেই নিয়ে যেতে পারতেন, যেহেতু তিনি নেননি তার মানে তিনি চান আমি দেশের মানুষের জন্য আরো কিছু করি, আর আমিতো এখন অতিরিক্ত জীবন যাপন করছি, আমার আর এখন মৃত্যু ভয় নাই”
আর এজন্যই তিনি চান বেঁচে থাকলে বীরের মত বেঁচে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে অথবা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের মত রক্ত দিয়ে এ দেশের মাটিতে বিলীন হয়ে যাবে তুবও কারো কাছে মাথা নত করবেন না।
স্যালুট জানাই এই মহান নেতাকে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক, শেখ হাসিনা দীর্ঘ জীবি হোক ।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.