নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটিই লক্ষ্য- ডিজিটাল বাংলাদেশের এবং মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অনিরপেক্ষতা..।

তানভীর এলিন

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট

তানভীর এলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ নিয়ে কুয়াশা তৈরির অপচেষ্টা, বিতর্কিত বাংলাদেশের ইতিহাস; বারবারই শেখ হাসিনা তাদের টার্গেট

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নিচের আত্মসমর্পণ করার ছবিটি দেখিয়ে প্রমান করা হয় যে, পাকিস্তানি আর্মি আত্মসমর্পণ করেছে ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে, বাংলাদেশের আর্মির কাছে নয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, যদি বাংলাদেশের কাছেই আত্মসমর্পণ করতো তাহলে সেখানে আমাদের তৎকালের সেনা প্রধান ওসমানি সাহেব নেই কেন?
একটু চিন্তা করলে মনে হবে কথায় যুক্তি আছে... তবে কিছুটা ইতিহাস পড়লে জানা যাবে আসল ঘটনাটা কি... আসুন এবার একটু আমরা প্রকৃত ইতিহাসের পাতায় আলোকপাত করি।

প্রথমত: পাকিস্তানি আর্মির সেনাপ্রধান কি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো??? যদি সেই দিন পাকিস্তানের পক্ষে ইয়াহিয়া থাকতো তখন বাংলাদেশের পক্ষে ওসমানি না থাকার বিষয়টি প্রশ্ন হিসেবে সামনে আনা যেত..
দ্বিতীয়ত: এবার জেনে নেয়া যাক, কারা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো: পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, লেফটেনেন্ট- জেনারেল, মার্শল-ল- এডমিনিসট্রেটর জোন-বি এন্ড কমান্ডার ইস্টার্ন কমান্ড (পাকিস্তান) মিস্টার এ.এ.কে. নিয়াজি।
কার কাছে করেছে: লেফটেনেন্ট জেনারেল, কমান্ডিং ইন চিফ ইন্ডিয়া এন্ড বাংলাদেশ ফোর্সেস ইন দ্যা ইস্টার্ন থিয়েটার জনাব জাগজিত সিং অরোরার কাছে। (যার প্রমান পাওয়া যায়, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অব বাংলাদেশ নামে প্রকাশিত একটি বই থেকে, যেখানে প্রকাশ করা হয়েছে ততকালিন প্রকাশিত বিভিন্ন জার্নাল, অনেক গুলো চিঠি যা দেশ থেকে পাঠানো হয়েছে এবং এ দেশে এসেছে বিভিন্ন দেশের প্রধান এর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে এবং অনেকের হুবহু বক্তব্য)। এখানে কোথাও বলা হয়নি পাকিস্তানের সেনারা ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে কেন এই ইতিহাস বিকৃত করার এই অপচেষ্টা??? আর একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এ জাতীয় বিকৃত ইতিহাস আমরা যাদের কাছে শুনি তারা বেশির ভাগ বিএনপি/জামাতের নেতা/কর্মি বা সমর্থক। তারাই এসব ভ্রান্ত কথা বলে, এমনকি ত্রিশ লাখ নয় তিন লাখ শহীদ হয়েছে এটিও তাদের মুখের বাণী... কারণ তারা সবসময় চায় মুক্তিযুদ্ধকে কিভাবে বিতর্কিত করে ছোট করা যায়... এই কুচক্রি মহল এখনো মেনে নিতে পারে না পাকিস্তানের পরাজয়কে... আর তাই সেই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠিটি এখনও এক্টিভ রয়েছে কিভাবে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখা যায়, কিভাবে বাংলাদেশকে বর্তামান পাকিস্তানের থেকেও খারাপ রাষ্ট্র বানানো যায় সেই ষড়যন্ত্রে। আমাদের মানে রাখতে হবে বাংলাদেশ যতবেশি এগিয়ে যাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ততবেশি এই প্রতিক্রিয়াশীলদের বন্দুকের টার্গেটে পড়ছে... কারণ একটিই, সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের...যা তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নাই...আর তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সোনার বাংলাদেশ তথা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে নিজের নাম প্রায় লিখেই ফেলেছেন... আর কয়েকটি কাজ সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে আগামী ২০১৮ সালের পর তা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশে^র দরবারে লিখা হবে, যেমন লিখা হয়েছে মাহাথির মোহাম্মদের নাম... তাই আমাদের প্রার্থনা থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন বেঁচে থাকেন এবং এভাবেই আমাদের দেশেকে উন্নতীর চরম শিখড়ে পৌঁছে দিতে পারেন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক, শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবি হোক...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.