নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভীর এফ আখতার

ভালো নেই . আপনি কেমন আছেন!

তানভীর এফ আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমান্ডো

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

শীতকালের মধ্যরাত ।নিস্তব্ধ পৃথিবী ।বাংলাদেশ

মিলিটারী একাডেমি (বি.এম.এ) এর সামনের

মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রামের দূরপাল্লার বাস

গুলো রাতের আধার চিড়ে সজোরে ছুটে চলছে।

কোন নির্ঘুম

উৎসাহী যাত্রী যদি জানালা দিয়ে তাকায়,

তাহলে প্রথমেই চোখে পড়বে পাহাড়ের

উপরে জলজল করছে বিদ্রোহী কবি নজরুলের

কবিতার একটি লাইন ।"চির উন্নত মম শির!"।

নিশ্চুপ আর শান্ত পরিবেশ দেখে হয়ত

মনে হবে মনোরম এই একাডেমী টি বোধ হয়

ঘুমিয়ে পড়েছে।কিন্ত সে যাত্রী হয়ত জানে না যে,

বাংলাদেশের প্রতিটি সেনা অফিসারের দ্বিতীয় এই

জন্মভূমি কখনো ঘুমায় না

আজ রাত টি আর ও বেশি প্রানবন্ত। বি,এম, এ

র ভিতরে বিশাল বক্সিং গ্রাউন্ডের হলরুম

টি আজ অন্য জগতে রুপ নিয়েছে ।আজ ফাইনাল

রাউন্ড চলছে ক্যাডেট দের

আন্তঃ কোম্পানী বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ।

প্রতিটি কোম্পানি তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান

করতে মরিয়া !যেন গ্লাডিওটোরস দের

মেলা বসেছে ।জাহাঙ্গীর কোম্পানির

জেন্টেলম্যান ক্যাডেট রা প্রানপনে চিৎকার

করে তাদের লাস্ট হোপ ক্যাডেট হাসান

কে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে ।গো হাসান গো! পান্চ

দেট শিট ম্যান! তুই পারবি !মার! !!

হাসানের কানে তার কোম্পানি মেট দের

কথাগুলো বিক্ষিপ্ত শব্দের মত ভেসে আসছে!

বক্সিং রিং এর ভেতর রউফ কোম্পানির ছয় ফুট

উচ্চতার দানবীয় শরীরের প্যালেস্টাইনি ক্যাডেট

সামির এক এর পর এক প্রচন্ড নকে হাসান

দিশেহারা ।নাক থেকে টপ টপ করে রক্ত ঝড়ছে।

সেই রক্তে ভিজে যাচ্ছে ফ্লোর। ডান চোখ

টা থেতলে গেছে। হাসানের মাথা ঠিক কাজ

করছে না! হঠাৎ বাঘের মত গর্জন

করে উঠে পাগলের মত পান্চ করতে লাগল হাসান।

কিন্তু সামির বডি তে সেগুলো পাথরের

গায়ে ঘুষি মারার মতই মনে হচ্ছিল।ভিলেনের মত

একটা হাসি দিয়ে লাল গ্লাভস পরিহিত সামি ডান

হাত দিয়ে সজোরে হাসানের চেস্ট এ পান্চ করল

।হাসান যেন একটা প্রচন্ড ধাক্কা অনুভব

করলো !শক ওয়েভে সে ছিটকে পড়ল

বক্সিং রিং এর চারপাশের দড়িগুলোর উপরে!

প্রানপনে তার মাথা উচু করে আবার উঠার

চেষ্টা করছে। হাসান হারতে চায় না। কিন্তু

সে উঠতে পারছে না ।ফোস ফোস শব্দে আর

হাত এর উপর ঠান্ডা কিছু একটার

অনুভবে হাসানের ঘুম ভেঙে গেল! এতক্ষণ

সে স্বপ্ন দেখছিল ।সে এখন বি.এম. এ

থেকে অনেক দূরে ।ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব

কঙ্গোর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট

সোয়াম্প ফরেস্টের একটি গাছের

উপরে নিজেকে শক্ত করে বেধে রেখেছে।

চোখ খুলেই হাসান দেখলো একটি আফ্রিকান

মাম্বা স্নেইক তার হাতের উপর পেচিয়ে ধরে তার

চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ।সে পকেট থেকে তার

কমান্ডো নাইফ টি বের করে সাপ টির

গলা বরাবর চালিয়ে দিল! মস্তক বিহীন বিশাল

সাপটি তার হাত ছেড়ে দিয়ে নিচে পড়ে ছটফট

করতে লাগল ।বিভৎস দৃশ্য!জঙ্গলের সেই

চিরাচরিত নিয়ম !মারো না হয় মরো!

ক্যাপ্টেন হাসান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর

কমান্ডো ইউনিটের একজন সদস্য ।

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত কঙ্গোর

মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রতিরোধ

করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য

ব্যানবেট 1/11 নামে একটি ব্যাটেলিয়ন

কে কঙ্গোর ওরিয়েন্টেল

প্রদেশে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের

বাহিনী হিসেবে এই ব্যাটেলিয়নের ইতিমধ্যেই

অনেকটাই সফল বলা চলে। মিলিশিয়ারা তাই এই

ব্যাটেলিয়নের কে রুখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ঠান্ডা মাথায় ভাববার চেষ্টা করল হাসান ।কেন

সে এখানে !কি হয়েছিল তার !তিন দিন

আগে রাতে প্রতিদিনের মতই হাসান তার ক্যাম্প

থেকে তার প্লাটুন নিয়ে টহল দিতে বেড়িয়েছিল ।

পথের মধ্যে ইতুরী জেলার বুনিয়া নামক

স্থানে তার প্লাটুন মিলিশিয়া দের

এল্বুশে পড়ে যায়। দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি ফায়ার

করতে থাকে। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়া ছিল

হাসান। হাতের G3 A2/3 কমব্যাট রাইফেল

টি শত্রুর দিকে তাক করে ফায়ার

করতে করতে কিছুটা সামনে চলে যায় শত্রুপক্ষের

সীমানার ভিতরে ।কখন

মিলিশিয়ারা তাকে ঘিরে ফেলে তাকে অস্ত্রের

মুখে জিম্মি করে ফেলে তোেল টেরই পায়নি ।তার

ইউনিট ফায়ার বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

মিলিশায়ারা তাকে অস্ত্রের

মুখে জিম্মি করে গাড়িতে নিয়ে উঠে গাড়ি স্টার্ট

করে। দু হাত, চোখ বাধা হাসান শুনতে পায় তার

প্লাটুন পাগলের মত গাড়ির টায়ারে পিছন

থেকে গুলি ছুড়ে যাচ্ছে !কিন্ত কোন লাভ হল

না ।নিজের বোকামির কথা চিন্তা করে প্রচন্ড

রাগ লাগছে তার

তার মনে হচ্ছিল অনন্ত কাল ধরে গাড়ি চলছে।

শুধু বাতাসের শো শো শব্দ আর

মিলিশিয়া লোকগুলোর স্থানীয় লিঙ্গালা ভাষায়

দু একটি শব্দ আর কুৎসিত হাসি ভেসে আসছে।

কিছুক্ষন পরে সব কোলাহল থেমে গেল !শান্ত

নিশ্চুপ প্রকৃতি! চোখ খুলে দেওয়া ইল হাসানের!

হঠাৎ সূর্যের আলোয় চোখে অন্ধকার

দেখতে লাগল হাসান! ভিজুয়াল থ্রেশলড লেভেল

স্বাভাবিক হতে সময় লাগল তার ।চোখ

মেলে ভালভাবে চারদিকে তাকাল হাসান।বিশাল

জঙ্গলের মাঝে সে। বুঝতে পারলো কঙ্গোর

সবচেয়ে বড় এবং দুর্গম সোয়াম্প

ফরেস্টে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।

কালো পাহাড়ের মত শরীরের দুজন লোক

তাকে ধরে নিয়ে একটি ছোট কাঠের

ঘরে নিয়ে তালা মেরে দেয় দরজায় ।

রাতে কালো সেই দুই লোকের একজন

তাকে দুইটি গমের রুটি আর কঙ্গোর

অধিবাসী দের খাদ্য এক ধরনের সবজি যাকে লুসাই

বলে তা খেতে দেয়। হাসান ইশারায়

লোকটাকে বোঝায় যে সে পানি খেতে চায়।এটাই

তার শেষ সুযোগ ।যা করার এখনই করতে হবে ।

তার টাইপ 92 পিস্তল টা তখন ই

মিলিশিয়ারা সার্চ করে রেখে দিয়েছিল। যেটার

খোজ তারা পায়নি সেটা হল তার বাম

পায়ে বেধে রাখে কমান্ডো নাইফ !

পিছনে বাধা হাত দুটোকে পায়ের

কাছে এনে ধারালো ছুরির ফলার উপর রেখে দড়ির

মাঝখান টা প্রায় কেটে ফেলেছিল হাসান এমন

সময় ঐ লোকটি এসে পড়েছিল রুটি নিয়ে! তাই

তাকে পানি আনতে পাঠিয়ে প্রানপনে হাত

চালাতে লাগল ।একসময় দড়ি খুলে গেল। লোকটার

পায়ের শব্দ শোনা গেল।

লোকটা ভিতরে ঢুকে দেখল কেউ নেই! হঠাৎ

পিছন থেকে শক্ত একটি হাত তার মুখ চেপে ধরল।

কিছু বুঝার আগেই লোকটার গলার

ধমনী থেকে রক্তের ফোয়ারা ছুটলো ।বিশাল

শরীর টা নিশ্চুপ হয়ে একপাশে পড়ে রইল!

কতক্ষণ ছুটেছিল মনে নেই হাসানের ।যখন এ গাছ

টার কাছে এসে পড়েছিল তখন ভোর প্রায় !গাছের

সাথে ঘষা লেগে লেগে তার জলপাই রঙের

ইউনিফর্মের বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে গিয়ে রক্ত

ঝড়ছে ।তারপর নিরাপদ ভেবে এই গাছটির উচু

ডালে উঠে নিজেকে শক্ত করে বেধে রেখেছে ।

ক্ষুধায় তৃষ্ণায়আর ব্যথায় অসহ্য লাগছে হাসানের

।সে জানে তার ব্যাটেলিয়ন তাকে খুজতে পুরো বন

চোষে ফেলবে ।কিন্ত ,এই ঘন, বিশাল

জঙ্গলে খোজা টা দুরুহ ব্যাপার। এখন

আশা করা আর সৃষ্টিকর্তার উপর

ভরসা করা ছাড়া তার আর কিছুই করার নেই।

নিচে নেমে এল হাসান। জঙ্গলের ভিতর পথ

খুজে পাওয়া কঠিন ব্যাপার ।গোলকধাঁধার মত

একই জায়গায় বারবার ফিরে আসতে হয় !

সবচেয়ে ভাল হল যদি কোন নদী খুজে পাওয়া যায়

।নদীর পথ ধরে চললে লোকালয়ের খোজ

পাওয়া যায় ।ভাবতে ভাবতে জঙ্গলের ভিতর

দিয়ে চলতে লাগল হাসান ।

হঠাৎ ভয়ঙ্কর গর্জন শুনতে পেল। ভয়ঙ্কর সব

প্রানীর বাস এই জঙ্গলে। এখানে আসার

আগে সে এএডভেঞ্চার ইন কঙ্গো ফরেস্ট

নামে একটা বই এ পড়েছিল

জনশ্রুতি আছে মেকেলে এম্বে নামক পৃথিবীর শেষ

ডাইনোসর এখানকার অধিবাসীরা প্রায়

দেখতে পায় ফরেস্টে ।সবই শোনা কথা!

উল্টো পাল্টা ভাবছেে সে! নিজেকে বোঝালো,

ভয় পাওয়া যাবে না ।

কমান্ডো ট্রেইনিং থেকে সে শিখেছে,

সারভাইভাল এর মূল মন্ত্র হল, মনোবল

না হারিয়ে নতুন নতুন

আইডিয়া চিন্তা করা এস্কেপ করার জন্য।

হঠাৎ কিছু মানুষের কথার আওয়াজ শুনতেই হাসান

ঘন সবুজ ঝোপের পিছনে লুকালো!

ক্যামোফ্লেজিং করে হাসানের জলপাই কালারের

ইউনিফর্ম মিশে গেল সবুজের মাঝে ।হাসান

দেখলো দশ জন লোক

কোথা থেকে একটা মেয়েকে ধরে এনেছে !

মেয়েটা ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য

কাকুতি মিনতি করছে ।একটা লোক কে হাসান

চিনতে পারল।তাকে বন্দী করেছিল যে দুই জন

কাল পাহাড়ের মত লোক ,তাদের ই একজন ।

লোকটা মেয়েটার শরীরে হাত দিতেই ঝোপের

ভেতর থেকে উঠে ঝাপিয়ে পড়ল হাসান ।ভূত

দেখার মত করে পিছনে সরে গেল সবাই। হাসান

লোকটাকে ছুড়ি মারলেও অল্পের জন্য গলা মিস

করে গাল কেটে গেল !লোকটা ব্যথা পেয়ে চিৎকার

করে উঠল !আর একজন খাটো মত লোক

এগিয়ে আসতেই হাসান তার

পেটে ছুড়ি ঢুকিয়ে দিল ।পিছন থেকে আর ও

একজন লম্বা চুল ওয়ালা ওকে লাথি দিলে হাসান

পড়ে যায়। শুয়ে পা দিয়ে লোকটার পায়ে স্লাইড

কিক দিলে পড়ে যায় লম্বা চুলওয়ালা!হাসান হাত

দিয়ে গলা চেপে ধরে লোকটার ।নিঃশ্বাস নেওয়ার

জন্য আসফাস করতে থাকে লোকটা।হঠাৎ পিছন

থেকে মাথায় প্রচন্ড বাড়ি খায় হাসান !সেই

কালো লোকটাকে ঝাপসা দেখতে পায় হাসান ।

আস্তে আস্তে সেন্স হারিয়ে ফেলে হাসান।

ওঠ হাসান! ওঠ! গেট আপ ম্যান!হাসানের

কানে তার কোম্পানি মেটদের চিৎকার বিক্ষিপ্ত

ভাবে ভেসে আসছে। প্রথম রাউন্ডের ব্রেক এর

ঘন্টা বাজছে! একাডেমীর সবচেয়ে বয়স্ক একজন

স্টাফ প্রশিক্ষক হাসানের কাছে আসল। সাহেব,

ভয় পাইছেন! ভয় পাইয়েন না! এটা বি.এম.এর

মাটি ।এইখানে জিততে মাসল না, কইলজা লাগে ।

বাঘের কইলজা!আমার বিশ বছরের অভিঞ্জতা ।

সাহেব, নিজের শক্তি টাকে জানেন ,ওই

টাকে কাজে লাগান!

কোম্পানী মেট রা এসে হাসানের ঘাম মুছে দিল

।পানি খাইয়ে প্লাস্টিকের টুথগারড পড়িয়ে দিল.।

সেকেন্ড রাউন্ড শুরু ইয়ে গেল ।প্যালেস্টাইনের

ক্যাডেট সামির প্রথম কয়েকটি নক গার্ড করল

হাসান। হঠাৎ প্রচন্ড এক পান্চ লেগে ঠোট

ফেটে রক্ত বের হতে লাগল হাসানের!

মুখে জমে থাকা রক্ত গুলো ফেলে সামির চোখের

দিকে তাকাল হাসান। হাসান এ মূহুরতে অন্য

মানুষ। কি যেন ভর করেছে তাকে! তার

কানে বাজছে," সাহেব, আপনার নিজের

শক্তি কে কাজে লাগান। হ্যাঁ! হাসান জানে তার

শক্তি কি!স্পিড !এটাই তার শক্তি। হাসান

কে পান্চ করতে হবে ।প্রত্যেকটি পান্চ

সেকেন্ডের ও ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে ।হাসান

পান্চ করে যাচ্ছে। এতই দ্রুত যে সে হাত কেউ

দেখতে পাচ্ছে না! !হঠাৎ মট করে শব্দ হল!

সামির ডান সোলডার ছুটে গিয়ে ঝুলে আছে।

ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে বাম হাত

দিয়ে প্রতিরোধ করার বৃথা চেষ্টা করল সামি।

কিছুটা নুয়ে পেটে জোরে পান্চ করতেই

বিশালদেহী সামি চিৎ হয়ে পড়ে গেল! সামি আর

লড়তে পারবে না ।সে হার মেনে নিলো ।

রেফারী হাসানের হাত

তুলে তাকে জয়ী ঘোযণা করল! সামি কে ডাক্তার

রেস্ট এ থাকতে বলায় তাকে বিএমএর কোর্স

বাতিল করে দেশে ফিরতে হয়। তার সোল্ডার

পুরো ডিসলোকেট হয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার

আগে হাসান কে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, ব্রারাদার

ইউ আর দি বেস্ট এমোন্গ আই হেভি ফাইট

এভার!এর কিছুদিন পরে হাসান খবর পায়

মোসাদের গোয়েন্দারা সামিকে মেরে ফেলেছে!

সেই থেকে হাসান নিজেকে অপরাধী ভাবছে ।হয়ত

আঘাত না পেলে সামি দেশে যেত না, আর

তাকে এভাবে মরতে হত না! হঠাৎ হেলিকপ্টারের

শব্দে হাসানের সেন্স ফিরে আসে।

চারপাশে তাকিয়ে দেখে। একটা ঘরে সে আর সেই

মেয়েটা বন্দী।মেয়েটা কাঁদছে ।

হঠাৎ দরজা খুলে গেল! হাসানের বন্ধু ক্যাপ্টেন

খসরু ঘরে ঢুকে হাসান

কে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেলল! বাইরে এসে হাসান

দেখল ঝাকে ঝাকে বাংলাদেশী ব্যানবেট 1/11 এর

সৈন্য রা নেমে এসে পুরো ক্যাম্প ঘিরে ফেলেছে।

মিলিশিয়াদের দলনেতা ধরা পড়েছে।

হেলিকপ্টারের ভিতর সেই মেয়েটি ও আছে।

কালো বর্ণের মায়াবী চেহারার একটা মেয়ে।

হাসান লিঙ্গুলা ভাষায় মেয়েটির নাম জিজ্ঞেস

করল ।মেয়েটি তার নাম বলল, ইজা।হাসান ভাবল,

এই ইজা নামের মেয়েটিকে উদ্ধার

করতে সৃষ্টিকর্তা তাকে এখানে পাঠিয়েছেন ।

কিংবা তার সেই প্যালেস্টাইনি বন্ধুর ঋন শোধ

করতে কিছু মানুষ কে বাচানোর মাঝে !এই পৃথিবীর

বিশাল রহস্যের আমরা কতটুকুই বা

বুঝি!হাসান .হেলিকপ্টার থেকে বাইরে তাকাল

পিছনে বিশাল সোয়াম্প ফরেস্ট যেন তাকে হাত

নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে!!!

গল্পটি উৎসর্গঃ জাতিসংঘ মিশনে নিহত

হওয়া 86 জন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর

সদস্য দের কে

অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা ঃআমার বাল্য বন্ধু

Lt:Rafat Limon (বি.এম.এ

বক্সিং চ্যাম্পিয়ন! )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

মোঃ ইয়াহিয়া বারী বলেছেন: ++++ :!> :#>

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

তানভীর এফ আখতার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.