নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন ভীরু মানুষ...

একজন ভীরু মানুষ...

তানজিমস্‌

একজন ভীরু মানুষ...

তানজিমস্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেটের স্ত্রীর অর্ন্তবাস গোছানো কি একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর কাজের অর্ন্তভূক্ত?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

ঘটনা কি তা নিশ্চয় বিজ্ঞ পাঠক মহল এতক্ষনে খানিকটা বুঝে নিয়েছেন; তারপরও বলি কিছুটা। নাম বলছি না সঙ্গত কারণে, কিন্তু ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় না দিলেই নয়। বেচারা একজন সদালাপি হাসি মুখের ধর্মের প্রতি অনুরাগী উঁচু বর্ণের সনাতন ধর্মী মানুষ। হালকা পাতলা গড়নের, কাঁচা হলুদের মত গায়ের রঙ। অর্থ কষ্ট অনেক কিছু কেড়ে নিলেও কেড়ে নিতে পারেনি স্বভাবজাত ভদ্রতা। পরিবারের দৈন্যদশায় লেখাপড়ার চাকা উচ্চমাধ্যমিকের পরে আর চলতে পারেনি। সীমিত যোগ্যতা নিয়ে যোগালদারি থেকে শুরু করে প্রাইভেট টিউশনি সবই করেছেন। অবশেষে তিনি একটি জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেটের অধীনে ফরাশ পদে সরকারি চাকরি পান। পরিবারের বৃদ্ধা মা, ছোট বোন আর দুই ভাইয়ের চোখে জ্বলে উঠে আশার আলো।

আমার বিশেষ প্রয়োজনে আইন ও তার প্রয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের দফতরে যেতে হয়েছিল। সেখানে আমার এক ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সাথে পরিচয় হয় যে পুরো অফিসে সৎ ও বিশ্বাসী হিসেবে পরিচিত। তারপর বিভিন্ন সময় তার সাথে বিভিন্ন সময় আমার দেখা হয় এবং এই সহজ সরল মানুষটার সাথে আমার সুসর্ম্পক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েক মাস পরে গত শুক্রবার তার সাথে আমার দেখা হয়। তাকে দেখে মনে হলো বেশ অসুস্থ। তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সে জানালো সে মূত্রনালি সংক্রান্ত সমস্যাই ভুগছে। ডাক্তার তাকে বলেছে বিশ্রামে থাকতে, ভারি কিছু না উঠাতে আর প্রচুর পানি পান করতে। কিন্তু এবার যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট এসেছে সে বেশ নির্দয় প্রকৃতির। এর আগেও তারা সাহেবদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া, বাজার করে দেওয়া, ছুটির দিনে তার সাহেব-এর ফরমাইশ খাটা এমন সব বাসার কাজ করে দিয়েছে। কিন্তু এই সাহেব ও তার স্ত্রী তার মত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া, বাজার করে দেওয়া্র মত কাজতো করায় সাথে সাথে ঘর মোছা, থালা-বাসন ধোয়া, টয়লেট পরিস্কার করা, সাহেব ও ম্যাডামদের খুলে রাখা ময়লা কাপড় কাচা, পানি টানা, বাটনা বাটা, তরকারি কুটা ও রান্না করার মত কাজও করিয়ে নিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সে কিছু মেয়েলি কাজে অপটু এবং সে কথাটি ম্যাডামকে বলাতে তার উপর নেমে আসে আযাব। সে লজ্জায় মুখটা নামিয়ে বলে, একদিন তাকে কাপড় আয়রন করে আলমারিতে গুছিয়ে রাখতে বলা হয় যেখানে মেয়েদের অর্ন্তবাসও ছিল। সে সনাতন ধর্মী জেনেও তাকে কুরবানির ঈদের দিন তাকে সাহেবের বাসায় যেতে বলা হয় যেখানে গরু কুরবানি হয়েছিল। সে মুখ বুজে সব কাজ করে গেছে কিন্তু এবার বাঁধ সেধেছে তার অসুস্থ শরীরটা; সেই কথাটা সাহেবকে বলাতে তিনি মুখ খিঁচিয়ে কাজ চোর উপাধি দেয় আর বাড়িয়ে দেয় কাজের পরিমান। মানুষ কতটা খারাপ হলে এমন করতে পারে? সে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী বলে কি মানুষ না? বিভিন্ন সময় দেখেছি আর জেনেছি এই বিচারক শ্রেণীর কিছু মানুষের নানা অপকর্ম, ঘুষ নেওয়া, ফেন্সিডিলের ব্যবসা ইত্যাদি কুকর্মের কথা । এইরকম যাদের বিবেচনা বোধ তারা কি করে বিবেচনা করবে কে অপরাধী আর কে নিরাপরাধ?

এখন আমার প্রশ্ন কিসের ভিত্তিতে বা কোন এখতিয়ারে কোন সরকারী কর্মচারীকে দিয়ে কোন কর্মকর্তা তার স্ত্রীর নোংরা মাখানো কাপড় পরিস্কার করাতে পারে? কোন আইনের বলে একজন অসুস্থ কর্মচারীকে কাজচোর আখ্যা দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করাতে পারে?

আমি সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির একজন নেতার সাথে কথা বলে বুঝেছি তারা এমন কোন ব্যাপারে নাক গলাইনা যেখানে তাদের বিক্তিগত লাভ নাই। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবির সাথে কথা বলেছি, তিনি বলছেন লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর কথা। কিন্তু তিনি একথাও বলেছেন যে কা-কে কা-কের মাংস খাই না ফলে বেচারি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী উলটা বিপদে পড়তে পারে।

এই সমস্যাটি শুধু একজনের নয়। একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভেতরের সর্ম্পকটা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কলোনালিজমের সেই প্রভু আর দাসের মতই রয়ে গেছে।



বেচারা এখন না পারছে সইতে না পারছে চাকুরি ছেড়ে দিতে কারণ তার পরিবারটা চলে তার বেতনের টাকার ঊপর। কেউ কি এই মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষটাকে বাঁচানোর জন্য কোন সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: আহাহা হি কুড টেক দা চান্স :P

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

তানজিমস্‌ বলেছেন: ভাই যার কষ্ট সেই বোঝে আর বোঝে যার বোধ-বুদ্ধি আছে...

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

মদন বলেছেন: দু:খজনক

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

তানজিমস্‌ বলেছেন: ঠিক কথা ভাই দুঃখজনক... কিন্তু কোন ব্যবস্থা কি নেওয়া যাইনা এই ঘৃণ্য অপরাধের।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

আহলান বলেছেন: কাকে কাকের মাংস খায় না .... হাচা কথা ....

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

তানজিমস্‌ বলেছেন: কাকেরা কাক-ই থাক মানুষগুলো বাচানোর বুদ্ধি কি?

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:( :( :( :( :( :( :(

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

তানজিমস্‌ বলেছেন: কোন ব্যবস্থা কি নেওয়া যাইনা এই ঘৃণ্য অপরাধের।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

আলোকন বলেছেন: :( :( :(

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

তানজিমস্‌ বলেছেন: ভাই খালি মন খারাপ না করে কেউ একটা সঠিক বুদ্ধি দেন যেন অসুস্থ মানুষটাকে একটু সাহায্য করতে পারি।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

রুমি চৌধুরী বলেছেন: নিকৃষ্ট প্রজাতির .............

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

তানজিমস্‌ বলেছেন: এই নিকৃষ্ট প্রজাতি গুলোকে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসালো কারা? আর এদের উচিত শিক্ষা দেবার উপায় কি?

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: এসব আর কতদিন সহ্য করা যায়। X( X( X(

আসলে , মানুষের বিবেক না থাকলে--- তাকে মানুষ বলাই উচিত না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

তানজিমস্‌ বলেছেন: সহ্য করার প্রশ্নই আসে না কারণ ছোট চাকরি করলেও সে মানুষ, তার প্রাপ্য সন্মান তাকে দিতেই হবে। এই বিবেকহীন কি করে আইনের বিবেক হতে পারে?

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

শিপু ভাই বলেছেন: মানুষের বিবেক না থাকলে--- তাকে মানুষ বলাই উচিত না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

তানজিমস্‌ বলেছেন: এই বিবেকহীনরা কি করে আইনের বিবেক হতে পারে? কেউ একটা সঠিক বুদ্ধি দেন যেন অসুস্থ মানুষটাকে একটু সাহায্য করতে পারি।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: এরা ম্যজিসট্টেট না বৃটিশ বড় লাট। আর দেশের জনগন ব্লাডি ন্যাটিভ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

তানজিমস্‌ বলেছেন: এদের উচিত শিক্ষা দেবার উপায় কি?

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

নট ডিফাইন বলেছেন: দুঃখ লাগে.......... এরাই নাকি বিচারক???

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

তানজিমস্‌ বলেছেন: এই বিবেকহীনরা কি করে আইনের বিবেক হতে পারে?

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

শিপু ভাই বলেছেন: সাংবাদিক নিয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটের একটা ইন্টারভ্যুর ব্যবস্থা করেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫

তানজিমস্‌ বলেছেন: শিপু ভাই আপনার পরামর্শের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ... আমি কালই সাংবাদিক ভাইদের কাছে যাব।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২

আল ইফরান বলেছেন: পশুটা কোন জেলার CJM সেইটা বলেন । X(( X(( X((
দেখি কোনো উপকার করতে পারি কি না ?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪১

তানজিমস্‌ বলেছেন: ভাই আপনার ই-মেইল আইডি-টা দিলে জেলার নামটা পাঠানো আমার জন্য সুবিধা হয়... সেই কর্মচারী বর্তমানে মেডিক্যাল লিভ নিয়ে জীবনটা বাঁচানোর চেষ্টা করছে , কিন্তু এভাবে কতদিন? দেখেন ভাই যদি কিছু করা যায়... ধন্যবাদ আপনাকে...

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫২

আহসান২২ বলেছেন: sothvabe esob CJM niyog taile ei somossa hoito na . Sobto rajnitikvabe niyog hoi.

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আমার মনে হয় লেখাটা খুবই একপেশে, একটা লিখে দিলেই অনেক সহানুভুতি পাওয়া যায়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৬

তানজিমস্‌ বলেছেন: ভাই লেখাটা একপেশে হইতেই পারে কারণ এখানে একজন সাধারন নিরীহ গরীব মানুষের উপর একজন বিচারক নামধারী মানুষরূপি পশুর একপেশে অত্যাচারের সত্যি ঘটনা লিখা হয়েছে। কিন্তু আপনি বোধহয় সহানুভূতি পাবার জায়গাটায় ভুল করছেন; আমি এই পোষ্ট দিয়ে সহানুভূতির ব্যবসা করতে বসি নাই। যার কষ্ট সেই বোঝে আর বোঝে যার বোধ-বুদ্ধি আছে; বোধ-বুদ্ধি মানুষের অনেক কারণেই লোপ পেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.