নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন ভীরু মানুষ...

একজন ভীরু মানুষ...

তানজিমস্‌

একজন ভীরু মানুষ...

তানজিমস্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়’ বিষয়ক কাল্পনিক গল্প

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

২৪২০ বঙ্গাব্দ। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একজন অতি মেধাবী ছাত্র তার থিসিসের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করলো সহস্র বছর পূর্বের দেশীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নব-বর্ষের শুভেচ্ছা চিঠি ও তাদের প্রমিত ভাষা চয়ন। সে অনেক পরিশ্রম ও কষ্ট শিকার করে ১৪২০ বঙ্গাদবের আগমন উপলক্ষে সেই সময়ের সরকার প্রধান ও প্রধান বিরোধী নেতার মধ্যে যে নব-বর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় হয়েছিল তা যোগার করলো। সে খুব অবাক হলো এই দেখে যে দু’জনের কার্ডে ১৪২০ বঙ্গাব্দ লিখার সময় ৪২০ অক্ষর তিনটি বোল্ড অক্ষরে মানে গাড় কালিতে লিখা হয়েছে। সে আরো অবাক হয়ে দেখলো সে সময় সরকার প্রধান ও প্রধান বিরোধী নেতা দু’জনেই ছিলেন মহিলা এবং তাদের রুচি প্রায় একই ধরনের হওয়ায় নববর্ষের কার্ডের প্রচ্ছদে দু’জনই গ্রাম বাংলার প্রতিকৃতি তুলে ধরতে গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত বেদেনি ও সাপ খেলার ছবি সম্বলিত কার্ড উপহার দিয়েছেন। এরপর সে কার্ড দুটো একে একে খুললো এবং অবাক বিস্ময় নিয়ে পড়তে শুরু করলো। তার পাঠকৃত কার্ডের চুম্বক অংশ নীচে তুলে ধরা হলোঃ





১ম শুভেচ্ছা কার্ড-

সরকার প্রধানঃ



খালে পড়া - আপা,

সময়ের পরিক্রমায় এসেছে নতুন বছর। এই নববর্ষ আপনার চেতনায় ফিরিয়ে আনুক চির-ভাস্বর আনন্দবার্তা। ব্লা ব্লা ব্লা...

ফাউল কথা অনেক হইছে এবার লাইনে আসো। বেশি ফালাফালি আর এ্যাবর-ড্যাবর কইরো না... যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচার তুমি কিছুতেই ঠেকাইতে পারবা না। আসল কথা দেশের যাই হোক একদিন আগেও ক্ষমতা ছাড়বো না আর তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুইলা যাও, নাইলে কইলাম বৈশাখের পান্তার বদলে রাঁজহাঁসের ডিম খাইতে হইবে [তোমার টিমের ওপেনিং বোলার আর ব্যাটসম্যান সহ অনেকেই এর স্বাদ জানে এখন (জিব চালানির ইমোম হবে)]।

যাহোক, ধুয়ে যাক গ্লানি মুছে যাক জড়া (তোমার বিউটিশিয়ান চেঞ্জ করো,আজকাল তোমারে বড় বেশি বুড়ী দেখায়)।

(অ)শুভ নববর্ষ।



২য় শুভেচ্ছা কার্ড-

প্রধান বিরোধী নেতাঃ

আমি আর হাসি না- বু,

নতুন বছরের নতুন দিনে আপনার প্রতি রইল সংগ্রামমুখি ফুলেল শুভেচ্ছা। ব্লা ব্লা ব্লা...

একটা কথা আগেই বলে নিতে চাই সংগ্রাম চলছে আর চলবেই। আমি আমার পোলা দুইটার দিকে তাকাইতে পারি না, খালি পানি আসে চোখে। দেশের যা হয় হোক কিন্তু গদি আর প্রতিশোধ আমার চাই-ই চাই। রাঁজহাঁসের ডিম তখন... ব্লা ব্লা ব্লা (নানান উত্তেযক কথাবার্তা)।

আমার বিউটিশিয়ান নিয়া চিন্তা না কইরা নিজে কানের ডাক্তার দেখাও, সেদিন সাপ খেলা নিয়ে সিরাম একটা কথা কইছিলাম তুমি মিস কইরা গেলা, কোন জবাব দিলা না তখনই বুঝছি কান-ডা আবার গেছে(চোখ মারার ইমো হবে)।

(অ)শুভ হোক নতুন বছর।



চিঠি পড়ার এই পর্যায়ে ধপ করে মানব দেহ পতনের শব্দ হয় এবং পরদিন দৈনিক পত্রিকায় একটি বক্স রিপোর্ট প্রকাশ পায় তার শিরোনাম ছিল নিম্নরূপঃ

‘পুরানো চিঠি পড়ে বাক ও দৃষ্টি শক্তি হারালো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র’।



বিঃদ্রঃ ইহা একটি সম্পূর্ণ ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়’ বিষয়ক কাল্পনিক গল্প। বাস্তবের সাথে কেউ এর কোন মিল খুঁজে পেলে তা কাকতালীয় ব্যাপার বলে বিবেচিত হইবে।



কার্ড দুইটির প্রচ্ছদের কিছুটা অংশ নীচে দেয়া হলোঃ











সবাইকে বিদায়ী বছরের শুভেচ্ছা রইলো...।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: জটিল হইছে বস :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.