নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

থার্ড আই

তাপস কুমার দে

থার্ড আই

তাপস কুমার দে › বিস্তারিত পোস্টঃ

কান্নার করুণ আর্তনাদ আমার হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করল সকালে

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৮

পরের দিন সকালে আমি ঘুমে বিভোর।রাতের ক্লান্তিতে আমার সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেরী হয়।হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙ্গে।আমি তাকিয়ে দেখি আমার পাশে কেউ নাই।আমি একা ঘরে।আর আন্ধকার।চোখ মেলতে মেলতে আমার কান কেপে ওঠে বাহিরের থেকে কান্নার করুণ আর্তনাদে।আমি ঘরের মধ্যে এদিক ওদিক তাকাই আমার বোনকে খুজি কিন্তু নাই।মনের মধ্যে ঘুরে ফিরে আসল কালরাতের তা-ব।আমার বোনের নাক থেকে বের হওয়া তাজা রক্তের ধারা, কোলের ছোট্ট শিশু। আমি উঠতে পারছিলাম না,আমি হাটতে পারছিলাম না,কে যেন আমাকে টেনে ধরছিল,বুক ভারী হচ্ছিল।আমার হৃদয় বারবার কিসের ভয়ে ছিন্নভিন্ন হচ্ছিল।আমি যত বাহিরের দিকে যাই ততই কান্নার করুণ কণ্ঠ আমাকে চেপে ধরছিল।আমি খুজতে থাকি আমার বোনকে যেদিকে আমার চোখ যায় সেদিকে শুধু ঝড়ের লীলাখেলার তা-ব রূপ।আমাকে ভিতু করছিল সে বিভৎস্য চেহারায়। মনের ভিতর কি যেন বাসা বাধছিল তখন। আর সেই করুণ কান্নার আর্তনাদ কোথা থেকে আসছিল আমি তা খুজছিলাম।যত সামনে যাই তত আমার কান ভারী হয়ে হৃদয় ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হচ্ছিল। কেপে উঠছিল আমার বুক। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি সামনের এক স্থান থেকে কালো ধুয়া বের হচ্ছে কান্নার সুরের উৎসও সেখানে বুঝতে পারি দ্রুত আমি এগিয়ে যাই। যে ঘরে রাতে আশ্রয় নিয়েছিলাম তাদের চিংড়ির ঘেরের ঘরে বেধে রাখা ছাগল ছয়টা পানিতে ডুবে মারা গেছে দুটা মরা মরা ভাব ওদু’টাকে গরম স্যাক্যা দিচ্ছিল মহিলা। নিজেকে একটু স্বান্তনা দিই। জোরে শ্বাস নিই আবার দ্রুত পায়ে সামনের দিকে যাই তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস হলো না আমার। তার নিজের পোষা ছাগল মারা গেছে তাই এত করুণ আর্তনাদ নিজ কানে না শুনলে বিশ্বাস করা কষ্টকর।তার পরের দৃর্শ্য মায়ের কোলে মৃত সন্তানের নিথর দেহ। র্যার কোলের সন্তান মারা গেছিল সেদিন তার কি কষ্ট ছিল ??? এটা ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর সিডরের পরের দিন সকালের কথা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার ধরনটা বিরক্তিকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.