![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মীম (ছোটবোন) যখন ক্লাস নাইনে উঠলো, বাবা বলল ওর আর পড়ার দরকার নেই। আমরা রীতিমতো হতাশ। অনেক যুক্তিখণ্ডন, নারী শিক্ষার সুফল নানান কথা বার্তা বলে ও অনেক রিকুয়েস্ট করে সেবার বাবাকে বুঝানো গেলেও এবার আর কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা। এবার মীম এস এস সি পাশ করেছে। বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ওর পড়াশুনা এখানেই সমাপ্ত। মাদ্রাসায় হলে না হয় একটা কথা ছিল, কিন্তু জেনারেল!! কলেজে পড়ালে যে বাবার মান ইজ্জত ধুলায় লুটে যাবে। চরমোনাই পীর সাহেবের ভক্ত বলে কথা। যে ব্যাক্তি প্রতি বৃহস্পতিবার মসজিদে হালকা জিকিরের (সমস্বরে আল্লাহ্ আল্লাহ্ ডাকা) আসর করে, মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়, সবসময় ভালো কাজ করে, অবসরে কুরআন কিতাব পড়ায় ব্যাস্ত থাকে তার মেয়ে যদি কলেজে পড়ে তাহলে এর থেকে আর বড় লজ্জা কি হতে পারে? সমাজে মুখ দেখানোই যে দায়!
বাবার কথার উপরে আমাদের কথা বলার স্পর্ধা নেই। তারপরও কম বলিনি। অনেক যুক্তি, অনেক উদাহরণ, অনেক শর্ত কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। বাবার একটাই কথা মেয়েকে সে কলেজে পড়াবে না। এটা তার মীমের জন্মের পর থেকেই প্রতিজ্ঞা। মীমের প্রচণ্ড কলেজে পড়ার ইচ্ছে। পড়াশুনা শেষ করে ব্যাংকার হওয়ারও স্বপ্ন ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছে। কিন্তু স্বপ্নের শেষ এখানেই। বাড়িতে নিরবে কাঁদছে। আমারও রীতিমতো ঘুম নেই। টেনশনে অস্থির। এর মধ্যে শুনেছি পাত্র দেখা শুরু হয়ে গেছে। জানিনা কি হয়। ধার্মিক আর ধর্মান্ধতা কখনো কি এক হতে পারে?
©somewhere in net ltd.