নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাব্যগ্রন্থ : ট্রাফিক সিগন্যালে প্রজাপতি, না গৃহী না সন্ন্যাসী; \nরম্যগল্পগ্রন্থ : কান্না হাসি রম্য রাশি। \nছোটদের বই : রহস্যে ঘেরা রেইনফরেস্ট \nইতিহাস গ্রন্থ: শেরে বাংলা ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিছু দুষ্প্রাপ্য দলিল

তরুন ইউসুফ

ভিজলে বলিস ই্চ্ছেমত তোর শরীরে স্নান হবো

তরুন ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ বনাম প্রকৃতি

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮


কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যেদিন গিয়েছি সেদিনের ঘটনা। বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তা গেছে তার এক জায়গায় প্রায় শ-পাচেক মানুষের ভির। উৎসাহিত হয়ে আমিও গেলাম ঘটনা দেখতে। ঘটনা হল কোথা থেকে এক হনুমান এসেছে দলছুট হয়ে। সেটা দেখতে এত ভির। শুধু দেখলে সমস্যা ছিল না, অনেকে হনুমানকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ছে। দুএকজন তো প্রায় গাছেই ওঠে হনুমান ধরার জন্য। একটু পর ভিড় পাতলা হলে বেচারা কোনমতে পালিয়ে পাশের এক গোরিস্তানে ঢুকে প্রাণ বাচাল। বিকেলে বাজারের উদ্দেশ্য বের হয়েছি। দেখি রাস্তা দিয়ে কয়েকজন জাল হাতে ঘুরছে। রাস্তার পাশে এমন কোন জলাধার ছিল না যে মাছ ধরবে। কৌতূহল চাপতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম জাল নিয়ে ঘোরাঘুরি করার কারন কি?
উত্তর শুনে বেকুব হয়ে গেলাম।
জাল নিয়ে ঘুরছে হনুমান ধরার জন্য।
কারন?
এক লোক নাকি হনুমান কিনতে চেয়েছে তাই।
ধরতে পারলে বিক্রি করলে কিছু ইনকাম হবে এই আর কি। হাসব, কাদব নাকি চিতকার করব বুঝতে পারলাম না। চিন্তা করে দেখেন এরা মানুষ না অন্য কিছু। বিপদে পড়া একটা প্রাণীকে কিসের কি উদ্ধার করবে, তা না করে ব্যবসার চিন্তা। আসলে মানুষের লোভ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গতকাল ঝালকাঠিতে বাবুই পাখির বাসা পুড়িয়ে দিয়ে ৩৩ টি ছানা মেরে ফেলার ঘটনা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে অনেকেই আগুন দেয়া সেই কৃষকের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। অথচ চাইলে পাখিগুলো অন্যভাবে তাড়ানো যেত। আসলে মানুষ নৃশংস হতে হতে এমন পর্যায়ে গেছে যে নৃশংসতাই তাকে আনন্দ দেয়। আর যেহেতু পাখি কিংবা হনুমান কিংবা বানর হত্যা করলে কোন বিচার নেই তাই এগুলো হত্যা করেই আনন্দ নেয়। আর নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের কথা নাহয় বাদই দিলাম। পাখির ঘরে আগুন দিচ্ছেন দেন, কিন্তু প্রকৃতি যখন আপনার ঘরে আগুন দেবে তখন কোথায় পালাবেন?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৩

ফড়িং-অনু বলেছেন: বাহ দারুন লিখা তো।

২৩ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

তরুন ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৪

সাসুম বলেছেন: দুনিয়াতে মানব সভ্যতা যাত্রা শুরু করে হোমো সেপিয়েন্স হিসেবে ৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়াতে।

তবে অস্ট্রালিয়া আর নিউজিলেন্ড ছিল অজেয়। যার কারনে দুনিয়ার সবচেয়ে অদ্ভুত সব ফ্লোরা আর ফনা ছিল এই দুই যায়গায়। ৪৫ হাজার বছর আগে সমুদ্রগামী প্রথম সেপিয়েন্স এর দল পা রাখে অস্ট্রালিয়ায়। মাত্র ১০ হাজার বছরে ৯৫% ন্যটিভ লাইফ শেষ করে ফেলে। এখনো যা কিছু অদ্ভুত টিকে আছে তা সারভাইবাল এর কারনেই।

নিউজিলেন্ড এ প্রথম মানুষ পা রাখে ১৪০০ সালে। এর আগে মানুষ এর পা পড়ে নাই সেখানে। মাত্র ৭০০ বছরে সেখানকার জীব বৈচিত্র ৮৫% নাই হয়ে গেছে। ১৫ পাউন্ড এর উপর পাখি ছিল ২৪ প্রজাতির সেখানে। এখন মাত্র ১ টা প্রজাতি বেঁচে আছে।

মানুষ কে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয় । এটা একটা ভুল কথা। মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জেনোসাইডার বা জানোয়ার। মানুষের মত এত খুনী আর টেরোর এই মহাবিশ্বে আর ২য় টা নেই।

যেখানেই যাবে সেখানেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিবে।

২৩ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

তরুন ইউসুফ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন

৩| ২২ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের বিবেক কে জাগ্রত করতে হবে।মানুষকে হতে হবে মানবিক।

২৩ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

তরুন ইউসুফ বলেছেন: খুব সত্য কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.