নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাব্যগ্রন্থ : ট্রাফিক সিগন্যালে প্রজাপতি, না গৃহী না সন্ন্যাসী; \nরম্যগল্পগ্রন্থ : কান্না হাসি রম্য রাশি। \nছোটদের বই : রহস্যে ঘেরা রেইনফরেস্ট \nইতিহাস গ্রন্থ: শেরে বাংলা ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিছু দুষ্প্রাপ্য দলিল

তরুন ইউসুফ

ভিজলে বলিস ই্চ্ছেমত তোর শরীরে স্নান হবো

তরুন ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদ বানানো মহান ভিক্ষুক এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে দারুন সাদৃশ্য! কিভাবে এবং কোথায়?

১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

শিরোনাম দেখে অনেকেই আশ্চর্য হবেন যে মসজিদ বানানো ভিক্ষুক এবং ঋষি সুনাকের মধ্যে কিভাবে সাদৃশ্য থাকতে পারে। অন্য কেউ হলে না হয় ভেবে দেখা যেত, তাই বলে ভিক্ষুক! কোন দিক দিয়েই তো মিলানো যাচ্ছে না। আর কোন ভিক্ষুক যে মসজিদ বানিয়েছে তাও তো জানা নেই। তাহলে এটা কি স্টান্ট্যবাজি নাকি। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা।
আসলে বিষয়টি একদমই স্টান্টবাজি নয়। ভিক্ষার টাকা দিয়ে মসজিদ বানানো একজন মহান ভিক্ষুকের সাথে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দারুন মিল আছে। মিল তাদের চিন্তা এবং মতাদর্শে। কিভাবে? সেটাই আসলে আজকের আলোচ্য বিষয়।
আমরা যারা খানিকটা পেপার পত্রিকা পড়ি এবং টুকটাক খোঁজ খবর রাখি তারা সকলেই ঋষি সুনাক-কে চিনি। ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যিনি ২৫ অক্টোবর ২০২২ এ অনেক নাটকীয়তার পর কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ক্ষেত্রে তিনি ব্রেক্সিটপন্থী ও অভিবাসনবিরোধী হিসেবে সুপরিচিত। মজাটা আসলে এখানেই। বিশেষ করে তার অভিবাসনবিরোধী মতাদর্শের ক্ষেত্রে। অথচ তার তো অভিবাসনবিরোধী হওয়ার কথা ছিল না!
সুনাকই যুক্তরাজ্যের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয় তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থাৎ তার পিতৃপুরুষের বাড়ি ভারতে। তাহলে তিনিও কি অভিবাসি? পুরোটা না হলেও খানিকটা। তিনি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন বটে কিন্তু তার বাবা মা ছিলেন পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত আফ্রিকান হিন্দু। আর তার পিতামহ (দাদা) রামদাস সুনাক ছিলেন ভারতে জন্মগ্রহণকারী খাঁটি ভারতীয় যিনি পরিবারসহ ১৯৩৫ সালে ক্লার্ক হিসাবে কাজ করার জন্য নাইরোবিতে চলে আসেন। আর তার নানা রঘুবীর, যিনি লুধিয়ানায় (বর্তমানে ভারতে অবস্থিত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তান্জানিয়ার কর কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে এনারা সবাই মিলে ব্রিটেনে চলে আসেন। পরবর্তীতে তারা বিট্রেনের নাগরিকত্ব পান। নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কি অভিবাসী ছিলেন না? অবশ্যই। কারন অভিবাসী সাধারণত এমন কাউকে বলা হয়, যে উন্নত জীবনযাত্রা বা কর্মসংস্থানের খোঁজে স্থান পরিবর্তন করে থাকেন। তাহলে আমরা বলতে পারি যে ঋষি সুনাক বিট্রেনে ভারতীয় অভিবসীর ঘরে জন্ম নেয়া খাঁটি বিট্রিশ। অথচ তিনি অভিবাসনবিরোধী! এখানেই শিরোনামের সেই ভিক্ষুকের সাথে ঋষি সুনাকের সাদৃশ্য।
এখন চলুন আমরা মসজিদ বানানো সেই মহান ভিক্ষুকের পরিচয় জানার চেষ্টা করি। বাস্তবে এই ধরনের ভিক্ষুক আছে কিনা জানি না তবে এই ভিক্ষুক গল্পের ভিক্ষুক। গল্পটা জানা যাক।
ধরুন এক দেশে এক ভিক্ষুক ছিল। সে প্রতিদিন ভিক্ষা করার পর যা পেত তার খানিকটা অংশ জমা করত। এভাবে জমা করতে করতে তার বেশ কিছু টাকা জমে গেল। সেই বেশ কিছু টাকার পরিমান এত যে তা দিয়ে ছোটখাট একটা মসজিদ বানানো যায় (সে হয়ত ঢাকা শহরে ভিক্ষা করত তাই এত টাকা জমাইতে পারছে)। এবং তার ইচ্ছা ছিল সে একটা মসজিদ বানাবে। যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ। সে একটা মসজিদ বানিয়ে ফেলল। তার এই মহান কাজে তো সবাই খুশি। তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য একটা সভার আয়োজন করা হলো। সেখানেই একজন তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি এত কষ্ট করে মসজিদ বানালেন কেন?
মহান ভিক্ষুক উত্তর দিলেন ” আমি মসজিদ বানিয়েছি এই জন্য যে ওই মসজিদের সামনে আমি একাই ভিক্ষা করমু আর কাউরে ভিক্ষা করতে দিমু না।”
তার চিন্তাধারা অনেকটা ঋষি সুনাকের মতই যিনি অভিবাসি হয়েও অভিবাসনবিরোধী। সম্প্রতি তিনি শরণার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তল্পিতল্পা-সহ বাড়ি পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোসহ নানা ধরনের অভিবাসনবিরোধী কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তিনি ডানপন্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
অভিবাসিদের বিরুদ্ধে তিনি কেন এতটা কঠোর? এই কঠোরতা কি তার পূর্বপুরুষেদের অভিবাসি হওয়ার গ্লানি থেকে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

বিটপি বলেছেন: মোটেও তা নয়। অভিবাসীর নাতি হলেও তিনি রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত একজন খাঁটি ব্রিটিশ। সেই হিসেবে তিনি সবার আগে নিজের দেশের স্বার্থ দেখবেন - এটাই স্বাভাবিক। দেশের এখন খুব খারাপ অবস্থা চলছে - নিজেরাই যেখানে বাতি জ্বালানোর বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা - সেখানে অভিবাসীদের প্রতি দরদ দেখানোর কোন মানে হয়না। তাই তাদেরকে তল্পি তল্পা গুটাতে বলছে।

আর ঋষি সুনাক ভিক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়নি। দেশের অর্থনীতি সামাল দিতে তিন তিন জন সাদা চামড়ার প্রধানমন্ত্রী দারুণভাবে ব্যর্থ হবার পর এই দায়িত্ব তার ঘাড়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত সে টিকে আছে। এখন অর্থনীতির সুদিন ফেরানোর জন্য একজন দায়িত্ববান ব্রিটিশ হিসেবে সে যে কোন ব্যবস্থা নিতেই পারে। এতে আমাদের বলার কি আছে?

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

তরুন ইউসুফ বলেছেন: বিটপি ভাইজান আমি কিন্তু বলি নাই যে উনি ভিক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী হইছেন। আমি বিষয়টার মধ্যে বেশ খানিকটা সাদৃশ্য খুঁজে পাইছি। আর দায়িত্ববান বৃটিশ দায়িত্ব নিয়া পুরা পৃথিবীর পেছন যখন মারছে তখনতো এই দায়িত্বও তাদের নেয়াই উচিৎ

২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এতো দিন জানতাম কুকুরের মাংস কুকুর খায় না এতো দেখছি ঠিক তার উল্টা । নিজেকে খাটি ব্রিটিশ প্রমানের অযৌক্তিক চেষ্টা ।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

তরুন ইউসুফ বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

দারাশিকো বলেছেন: ব্যাপারটা আমার কাছে অন্যরকম মনে হয়। এইটা এক ধরণের মার্কেটিং পলিসি। কাস্টমার কি চাচ্ছে সেটা আগে বুঝেছে এবং তারপর সে অনুযায়ী ক্যাম্পেইন গোলস সেট করেছে। অভিবাসন বিরোধিতা করে সে বেশি কাস্টমারের মন জয় করতে পেরেছে। ভারতে যেমন হিন্দুত্ববাদীতার মাধ্যমে মোদি ভোটারের মন জয় করেছে।

সুনাক ভারতীয় বংশোদ্ভুত সেটা ঠিক, কিন্তু কত প্রজন্ম পর্যন্ত এই উৎসকে ঔন করতে হবে বা করা যাবে? আমাদের অনেকে আছে না যাদের বাবা-দাদার বাড়ি এক জেলায় কিন্তু কোন এক কারণে জন্ম থেকে বেড় ওঠা পর্যন্তু সবই ঘটেছে দূরের আরেক জেলায়। তাদের অনেকেই বাবা-মায়ের জেলাকে বেশি ঔন করেন না, বরং নিজের জন্মস্থান জেলাকেই বেশি ভালোবাসেন। সেটা কি তার দোষ হবে?

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

তরুন ইউসুফ বলেছেন: কোন দেশকে ভালবাসার মানে এই নয় যে তাকে প্রতিক্রিয়াশীল অমানবিক হতে হবে।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
কিন্তু মন্তব্য থেকে বিরত থাকলাম। কারন এসব বিষয় আমি একদমই বুঝি না।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

তরুন ইউসুফ বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ চেষ্টা করলে অবশ্যই বুঝবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.