নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট্ট জীবনে অনেক ভাঙ্গাগড়া দেখেছি । আমার সৃষ্টিকর্তা ,অস্তিত্ব রক্ষাকারী আল্লাহ্‌ কে ছাড়া কাউকে ভয় করিনা। বর্তমানের মানুষ ও দেশকে নিয়ে অনেক চিন্তা মাথায় ঘুরে। দেখা যাক, কিছু করা যায় কিনা ?

তাসিন , সবার থেকে আলাদা

আমি অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই আলাদা

তাসিন , সবার থেকে আলাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

>>> দুরন্ত প্রপোজ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

**লিখাটা ২০১৩ সালে লিখেছিলাম। পোষ্ট করা হয়নি। অনেকদিন পর দেখলাম। হয়তবা ভালো হয়নি, তবুও ছেলেবেলার স্মৃতি বলে কথা**

দুরন্তপনা ও আমি যেন একই আত্নার দুইটি বন্ধু । জীবনে এতো দুর্দান্ত কান্ড ঘটিয়েছি , তার হিসাব করার মতো ক্যালকুলেটর এখনও আবিষ্কার হয়নি । তার মধ্যে একটা নিচে বর্ণনা করেছি ...............>>>>>>

তখন সময়টা বসন্তকাল । চারিদিকে আমের মুকুলে ভরপুর আম গাছগুলো সবুজ থেকে হলুদ রং ধারণ করেছে । ফুলেফুলে মৌমাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে । হালকা উষ্ঞ হাওয়া বয়ছে । অনকটা রোমান্টিক পরিবেশ। এমনই এক দিনে, আমার বন্ধু জয় জানালো, "আমরা এতদিন কলেজের কলা গাছের, যে কলা গুলোর দিকে নজর রাখছিলাম, তা পেকেছে "। আমরা খুশি হয়ে কলা চুরির পরিকল্পনা করলাম । যদিও সেগুলো আমাদের হকের, কিন্তু পিওন ব্যাটা আমাদের দেয় না , তাই লুকিয়ে খাওয়া । পরিকল্পনা মতো একেবারেই ভর দুপুরে গেলাম কলা পাড়তে । ভর দুপুরে পিওন ব্যাটা থাকেনা । মই গাছে লাগিয়ে, আমি মই এ উঠলাম । মইটা ভাঙ্গা ছিল । তাই, ইমনকে ভালোকরে মইটা ধরতে বললাম। কলার ছড়ি কেটে নিয়ে যখন চাকুটা মাটিতে ফেলেছি , তখনি দেখি, ইমন অন্য মনোষ্কো হয়ে একটা সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছে । মইটাও বেশ নড়বড় নড়বড় করছে । নামতে গিয়ে যা হওয়ার কথা ছিল, তাই হলো । মই থেকে পড়ে গেলাম । পড়ে যাওয়া দেখে , জয় দৌড়িয়ে এলো । আমি কোমরে ভালোই ব্যাথা পেলাম । মাটিতে থাকা অবস্হায় দেখলাম, মেয়েটি মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেল । আমি ভালোই লজ্জা পেলাম । কিছুক্ষন পর উঠে ইমন কে সবাই মিলে কিছুটা উওম-মধ্যম দিলাম । কিছুক্ষন পর, দূরে দেখলাম পিওন ব্যাটাকে । তখনি সবাই মিলে চম্পট ।

ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো , কিন্তু ইমন হতে দিলনা । ২-৩ দিন পর আমি এবং ইমন সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছি । হঠাৎ ইমন বললো , "দোস্ত ঐ মেয়েটা "। শুনে মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেলো । কারণ, ওর জন্য আমি ব্যাথা পেয়েছিলাম । মেজাজ টা আরও খারাপ হলো, যখন ইমন বললো , " ওকে নাকি প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছে "। তখন তো , মাথার উপর পুরা বাজ পরলো । কি আর করা ? মেয়েটির পিছু পিছু যেতে হলো , বাসা চিনার জন্য। আমি সাইকেল চালাচ্ছিলাম, ইমন বসে ছিল । দেখি মেয়েটা , বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে । আমি বললাম , "তোর আর হবেনা । কারণ, সে বাসে যাবে "। ইমন বলে ," না , সে অটোতে যাবে , আমার জন্য "। আমি ইয়ার্কি করে বললাম ," তুমি তার বয়ফ্রেন্ড হও তো , যে তোমার কথা শুনবে "।ইমন বলে, "এখনও হইনি , ভবিষৎ এ হবো ।তবে, যদি অটোতে যায় , তাহলে তোকে সাইকেল চালিয়ে , মেয়েকে ফলো করতে হবে । আর যদি না যায় , তবে আমি তাকে পটানোর চেষ্টা করবো না । রাজি ??? "। আমি হাসতে হাসতে রাজি হয়ে গেলাম । লাও ঠেলা ..... মেয়েটি আমাকে অবাক করে দিয়ে অটোতে উঠলো । আমি মনে মনে পস্তালাম । কি আর করা ? অটো রওনা দিতেই , আমিও সাইকেল চালানো শুরু করলাম । অটো প্রাই ২০-২৫ কি.মি. বেগে চলছে । আমিও যতো দ্রুত পারছি , সাইকেল চালাচ্ছি । অবশেষে ৭ কি.মি. যাওয়ার পর সে অটো হতে নামলো । আমার নায়ক বন্ধু , আমাকে কোন কিছু না বলে , মেয়েটার সাথে কথা বলতে চলে গেল । কি বললো বুঝলাম না , কিন্তু একটু পরে , এক ছেলে এসে তাকে তার কলার ধরে থ্রেট দিল । পরে জানলাম , সে তার ভাই । বেশ কয়েকদিন পিছু পিছু গেলাম । কখনও বাসের পিছু , কখনও অটোর পিছু । এর মাঝে একদিন বৃষ্টিতে ভিজে , বাসের পিছু পিছু গেলাম ।
একদিন নায়কের (ইমন) জন্যে মেয়েটার স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো । ছুটির পর সেখানেই মেয়েটার সাথে ইমন কথা বললো । নায়ক বাবাজি তাকে প্রপোজ করাই , নায়কের ভালোবাসার প্রমাণ চেয়েছে । প্রমাণ হলো : "তার স্কুলের টিফিন টাইমে স্কুলে গিয়ে , গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করতে হবে (যা অসম্ভব , মহিলা স্কুল , তাই ১০ ফুট উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা । ধরা পরলে খবর আছে )। কিভাবে করবে সেটা নায়কের ব্যাপার "। আমরা বললাম, বাদ দে । কিন্তু , দেখি নায়ক সিরিয়াস । কি আর করা ? আবারো প্ল্যান ।

প্ল্যান অনুযায়ী, আমি আমার আপুর বোরখা নিলাম । জয় টার বোনের বোরখা এনে দিল আমাদের নায়ক বাবাজিকে । ১১ টার দিকে টিফিন । ১০.৫০ এ গার্লস স্কুলের পিছন সাইডে গেলাম । জয় কে বললাম , সমস্যা হলে কুকুরের ডাক দিতে । প্রাচীর টপকে নায়ক এবং আমি ভিতরের দিকে স্কুলের প্রাচীর এর পাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম । যখন টিফিনের ঘন্টা দিল , আমরা বোরখা পরে নিলাম । স্কুলের মাঠে নায়িকাকে পেলাম । আমি কাছে গিয়ে ডাক দিলাম । ছেলে মানুষের কন্ঠ শুনে প্রথমে তো চিৎকার দিয়ে উঠলো । পরে বুঝতে পেরে থেমে গেল । ততক্ষনে যা ঘটার, তা ঘটে গেছে । আশে পাশে হতে আরো ছাএী ও গার্ড চলে এসেছে । আমার হৃৎপিন্ড তো , সেকেন্ডে ১০ বার লাফাচ্ছিল । নায়িকা চালাক ছিল । সে বললো , তেলাপোকা দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়েছিল । তখন, তার বান্ধবী ছাড়া সবাই চলে গেল । তারা , আসল ব্যাপার বুঝে গেছে । নায়িকা এভাবে আমাদের দেখে পুরো থ । সে এটা কল্পনাও করেনি । নায়িকাকে স্কুলের পিছন সাইডে নিয়ে গেলাম । তার বান্ধবীদের গোল হয়ে দাঁড়াতে বললাম , যেন কেউ আমাদের না দেখতে পায় । ইমন বোরখা খুলে প্রপোজ করলো । নায়িকা এক রাশ হাসি দিয়ে তা গ্রহন করলো । হঠাৎ বাইরে আমার বন্ধু জয় এর সাথে আর এক জন লোকের তর্ক শুনলাম । বুঝলাম ধরা খেয়েছে । তখন সাথে সাথে নায়ক কে বোরখা পরে নিতে বললাম । কিছুক্ষন পর তর্ক থেমে গেল । জয় উুঁচু গলায় বললো , "আসি "। মানে জয় লোকটিকে বোকা বানাতে পেরেছে এবং আমরাও নিরাপদে ফিরতে পারি । ততক্ষনে স্কুলের ঘন্টা বেজে গেছে । আমরাও প্রাচীর টপকে পালিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হলো না। প্রাচীর টপকানোর ঠিক আগের মুহুর্তে ধরা খেলাম, স্কুলের গার্ডের কাছে । তারপরের অবস্থাটা কি হতে পারে, সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.