![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] www.fb.com/tasjid.ahmed.9
১। সাহিত্যিক আলি হাসান কে বাংলা কাব্যের জগতে এক অনবদ্য নাম বলে ধরা হয়। সত্যি কথা বলতে কি বাংলা সাহিত্য নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দর মাঝেই ঘোরাফেরা করছিল। আমরা ব্যতিক্রম কিছু পাচ্ছিলাম না। অথচ মানব মন সর্বদাই ভিন্ন কিছু খোঁজে। ভিন্ন কিছু চায়। এর মাঝে অন্যায় কিছু নেই। আমিতো তাকে বাংলার ফ্রয়েড বলবো।নিতু, আলি হাসান সম্পর্কে তোমার কি ধারণা?
না, মানে, ওনার কোন লেখা আমি পড়িনি।
ফ্রয়েড সম্পর্কে?
না, ওনারও কোন.........
অদ্ভুত! বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী, কিন্তু ফ্রয়েড সম্পর্কে জানো না। না, তোমাদের নিয়ে আর পারি না। ধ্রুপদী সাহিত্য সম্পর্কে তোমাদের কোন আগ্রহই নেই। তোমার পার শুধু হুমায়ুন পড়তে। যত্তসব রাবিশ। ওইসব সস্তা লেখা পড়ে কি হবে? কিছুই হবে না।
ফ্রয়েড দেখিয়েছেন যে, একজন মানব তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে যৌনতা দ্বারা তাড়িত হয়। দোলান থেকে কবর পর্যন্ত। মানুষের মানবিক আচার- আচরণকে যৌনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মতবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার তত্ত্ব অনুসারে মানুষের জন্ম-মৃত্যু, উঠাবসা, চলাফেরা, প্রেম-ভালোবাসা সবকিছুর মধ্যে কামের মারাত্মক ছড়াছড়ি। প্রেম বা ভালোবাসা যেনো কামেরই আরেক নাম বা কামেরই ফলাফল। আমার ত মনেহয়ে ভালবাসা বলতে কিছুই নেই। শরীর থেকেই ভালবাসা সৃষ্টি, তাতেই বিকাশ, তাতেই পরিপূর্ণতা।
নিতু তার উড়নাটা আরেকবার ঠিক করে নিলো। কারণ ডঃ মাহাবুব রহমান এখন তার দিকে লোভাতুর চোখে একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়েই ভালবাসার সৃষ্টি, বিকাশ ও পরিপূর্ণতা খুঁজছেন।
২। আরে নিতু যে। এখন যাওনি?
না, স্যার, রিকশা পাচ্ছি না। আর বাসে এও ভিড় ছিল যে উঠতে পারিনি।
দ্রুত গাড়িতে উঠে এসো। তুমি তো একদম ভিজে গেছো। এই বৃষ্টিতে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে?এই বৃষ্টির মাঝে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকলেও রিকশা পাবে না।উঠে এস, উঠে এস।
বৃষ্টির ফোটা গ্লাসে খুব অল্প সময়ের জন্য জমে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য ফোটা এসে তাকে সরিয়ে দেয়। এভাবেই চলতে থাকে। বারবার, অবিরাম।
যতটা সম্ভব একপাশে সরে বসেছে নিতু। কিন্তু ডঃ মাহাবুব রহমান সে পাশেই আসতে চায়। তবে দ্রুত না, আস্তে আস্তে। কিন্তু চোখ কে বেধে রাখা যায় না। তিনি চোখ দিয়ে নিতুর দিকে তাকায়। তার সে দৃষ্টি বুলেটের গতিতে সাত হাত উড়নার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে চায়।
তুমি এক কাজ কর। আমার বাসায় চল। একদম ভিজে গেছো তো। ফ্রেশ হয়ে চলে যেও।
স্যার, বামে নামবো।
কিন্তু তোমার বাসা তো আরও দূরে।
আমার মামার বাসা এখানে। ড্রাইভার সাহেব, বামে থামুন।
দ্রুত নেমে যায় নিতু। এক কামার্ত পশু কে পেছনে ফেলে।
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ মাহাবুব রহমান বারান্দায় পায়চারী করছেন। কিছুটা অস্থিরভাবে। ডান হাতে ধরা সিগারেট ঘন ঘন জ্বলছে নিভছে।
সন্দেহ নেই, নিতু মেয়েটা কঠিন স্বভাবের। তার এত ইঙ্গিত ইশারা বুঝেও না বোঝার ভান করছে।
তবে ডঃ মাহাবুব রহমান এত সহজে হার মানার পাত্র নয়। যেভাবেই হোক, তিনি একে তার কব্জায় আনবেন। ছলে, বলে কিংবা কৌশলে।
আরেকটি সিগারেট ধরালেন তিনি।
৪। জব্বারঃ বোঝতে পারছি না, নিতু কি করে মিডটার্ম এ ফেল করল?
ইমিঃ আরে পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। তাই ফেল করেছে। কেন নিতু কি ফেল করতে পারে না। সে কি মাদাম মেরি কুরি!
হামিদঃ কিন্তু আমি ত ওর পাশেই পরীক্ষা দিলাম। ওর পরীক্ষা তো বেশ ভালই হয়েছিল। কেও ফেল করল না, ফেল করল নিতু। আমার কিন্তু মাহাবুব স্যারকে সন্দেহ হয়। স্যার কি ইচ্ছে করে ফেল করালো।
ইমিঃ ইচ্ছে করে ফেল করালো, মানে কি?
জব্বারঃ আমারও কিন্তু তাই মনে হয়। স্যার ক্লাসের সময় কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকে নিতুর দিকে।
ইমিঃ তোদের মাথা কি খারাপ হয়েছে? স্যারের ক্যারেক্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলিস? আর নিতু কি সতী সাবিত্রী। কই সেদিন তো দেখলাম, লাফিয়ে লাফিয়ে স্যারের গাড়িতে উঠছে। আরে দুই জনের মাঝে অন্য কোন ব্যাপার সেপার আছে। কিছু নিয়ে হয়ত সমস্যা হয়েছে। তাই হয়ত.........।
হামিদঃ কি বলিস তুই? তলে তলে এতদূর। শেষ পর্যন্ত স্যারের সাথে ............।।
ইমিঃ বিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করা উচিৎ। মানে, সবার তো জানার অধিকার আছে, নাকি।
৫। আমার প্রপোজালটা ভেবে দেখ। ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখ। তোমাকে আমার ভাল লাগে। মানে তোমার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি তো অন্য কিছু চাই নি। তোমার কিছু সময় চেয়েছি। সামান্য কিছু সময়। বিনিময়ে তুমি কি পাবে, তা কি ভেবে দেখেছো। তোমার লাইফকে আমি সেট করে দিব। ইউনিভার্সিটির টিচার বানিয়ে দিতে পারি তোমাকে। অথবা বিসিএসে টিকিয়ে দিতে পারি। বিনিময়ে
আপনি আমার বাবার বয়সি।
কাম অন। এসব নৈতিকতার এক পয়সাও দাম নেই আমার কাছে। আমি ভালবাসায় বিশ্বাসী। আর আমার কাছে ভালবাসাই মানে শরীর। শরীর থেকেই ভালবাসা সৃষ্টি, তাতেই বিকাশ, তাতেই পরিপূর্ণতা। হা হা হা।
তোমার বাবা নাকি এক স্কুলের কেরানি। আচ্ছা, কয় টাকা বেতন পায়? খুব স্বপ্ন তোমাকে অনেক বড় করবে। অনেক বড় জব করবে তুমি।কি ঠিক?
হা।
তুমি চাইলেই তোমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পার। তাকে সুখ শান্তি দিতে পার। কেমন মেয়ে তুমি যে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাও না!
আমার কথা মত না চললে ফেল করবে, বার বার। সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতে পারবে না। অন্তত এই জনমে না।
আবারও বলছি, আমার প্রপোজালটা ভেবে দেখ। ঠাণ্ডা মাথায়।সময় নাও। তারপর ডিসিশন নাও। আমাকে আবার একটি টক শো তে যেতে হবে। খুব করে ধরেছে। বিষয়ঃ শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর যৌন হয়রানি।
ফানি সাবজেক্ট।
হা হা হা। রিয়েলি ফানি।
৬. বৃষ্টি পড়ছে তার ইচ্ছে মত। যেন জগতের যাবতীয় কালিমা মুছে ফেলবে। ধুয়ে মুছে দিবে সব অন্ধকার।
অজানা গন্তব্যে হাঁটছে নিতু। কোথায় যাচ্ছে, জানে না।
তার চোখেও জল। কিন্তু এই ব্যস্ত শহরে এ জল দেখার কে আছে?
---------------------------------------------------------
অনেক আগের কথা। তখন কেও একজন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ে। নানুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল সে।
এক দুপুরে এক মহিলা আসল। যে কথা কাওকে বলা যায় না, এমন কিছু কথা সে মহিলাদের সাথে শেয়ার করল। জানালো তার কষ্টের তীব্রতার কথা।
সে কষ্টগুলো আরও একজন শুনল, যে বোঝে না ফ্রয়েড কি, বা ফ্রয়েডস থিওরি। তবে কষ্ট বুঝত। কষ্টের তীব্রতাও বুঝত। যে কিনা পড়ার ভয়ে ঘুমের ভান ধরে শুয়েছিল।
কিছুক্ষণ পর তা মা আবিষ্কার করল, যে সে কাঁদছে। জানতে চাইল, আব্বু কাঁদছ কেন?
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
মশিকুর বলেছেন:
গল্পের প্রতিটি চরিত্রই ঠিকভাবে ক্লিক করেছে। বাস্তবতার ছোঁয়া পেয়েছে। মা, শিক্ষক, ডাক্তার এরা হল জাতি গড়ার কারিগর। এদের অন্তত হতে হয় নিখাঁদ। বর্তমানে শিক্ষক এবং ডাক্তারদের ভুমিকা দুর্ভাগ্যজনক। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।
শিক্ষক সমাজ হোক যাবতীয় লোভ লালসার ঊর্ধ্বে।।
শুভকামনা।।
***************
প্রথম কমেন্ট সম্পর্কে কিছু বলিঃ
আগের লেখাটি ভালোইতো ছিল!!! অসাধারন এবং ব্যতিক্রমী প্লট ছিল। সেই লেখার কারনেইতো অনুসরণ করেছি, লেখাটিও ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলাম। কিছু টাইপো ছিল সেটার ব্যাপারে অনেকে বলেছিল। বর্তমানে সে সমস্যারতো অনেক উন্নতি হয়েছে দেখছি। ব্লগে সাবাই আসলে আপন মনেকরে ভুলগুলো দেখিয়ে দেয়, এটা অনেক উপকারী। হাল ছেড়ে না দিয়ে দ্বিগুণ প্রত্যয়ের সাথে পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
তাসজিদ বলেছেন: আসলে সমাজে প্রতিটি কর্মজীবী চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। কারও অবদান কম নয়। তবে ডাক্তার, শিক্ষক এদের অবদান একটু বেশিই। তাদের স্খলন সমাজ কে কুলসিত করে।
এক ডাক্তারকে তার পেশা নিয়ে সত্য কথা বলায় দুইজন নারী ব্লগার আমাকে ব্লক মেরেছে। কি আর করা। কোন নারী ব্লগার ব্লক করলে নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে হয়।
আমিও বলতে চায়, শিক্ষক সমাজ হোক যাবতীয় লোভ লালসার ঊর্ধ্বে।
আগের লেখা নিয়ে কি কারণে জানি না অস্বস্তিতে ছিলাম। তাই মুছে দিয়েছি। তবে আপনি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জানলে আমি মুছে ফেলতাম না। সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আর আমি ত চাই যে ব্লগাররা আমার প্রতিটি ভুল ধরিয়ে দিক। কারণ ভুল না ধরিয়ে দিলে নিজেকে উন্নতি করা যায় না।
আসলে এ ধরনের কমেন্ট পেলে লেখার উৎসাহ কয়েক গুন বেড়ে যায়।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা খুব সুন্দর করে লিখেছেন । ইউনিভার্সিটির এটলিস্ট দুইটা ঘটনা আমি জানি যেখানে টিচার (উনি আবার ডিপার্টমেন্টের হেডও) ছাত্রিকে ফিজিক্যালি হ্যারাস করেছে । বাট আরো হয়ত কত ঘটনা আড়াল পরে গিয়েছে, কারণ ছাত্রী টিচারের ফাঁদে পড়ে কনভেন্স হয়ে গেলে সে ঘটনা আড়াল করা খুবই সহজ ।
শিরোনামে ক্ষোভ ঝরে পড়েছে, যেটা খুবই স্বাভাবিক । তবু শিরোনাম অন্যভাবে করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
তাসজিদ বলেছেন: আসলে এ ধরণের ঘটনা কিন্তু খুব একটা রেয়ার না। কিন্তু কেও sexual abuse র শিকার হলেও সে চেপে যায়। কারণ মান সম্মানের ভয়। কেও তো নিজের কিংবা পরিবারের মান সম্মান খোয়াতে চায় না।
আর আমাদের একটি কমন অভ্যাস হচ্ছে, সব কিছুর জন্য মেয়েকে দোষ দেয়া। এ ধরণের সকল ক্ষেত্রে সাধারণত নারীকেই দোষারোপ করা হয়।“ নিশ্চয়ই মেয়ের দোষ ছিল”। এ ধরণের ঘটনাই কিন্তু বেশি হয়।
আর এটাও সত্য যে অনেকেই আপোষ করে নেয়। সেটা হতে পারে, পারিবারিক অবস্থার কারণে, উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে কিংবা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
তাসজিদ বলেছেন: আসলে ডঃ মাহাবুব রহমান র মত শিক্ষক কিন্তু হাতে গোনা। আর আমি ডঃ মাহাবুব রহমান মত লোকদের ............বলেছি। এ কারণেই আমি লেখার নাম পরিবর্তন করবো না। কারণ তাদের জন্য এ নামেই সঠিক।
এ লেখা পড়ে সামুর টিচার ব্লগাররা আশা করি আমাকে ব্লক মারবে না। কারণ আমি টিচার নামধারী কিছু পশু কে গালি দিয়েছি।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অর্জিত জ্ঞানের নিকৃষ্টতম ব্যবহার।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৬
তাসজিদ বলেছেন: ভদ্রবেশী শইতান সমাজের জন্য ভয়ানক। কারণ এদের সহজে চেনা করা যায় না
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
মুনেম আহমেদ বলেছেন: দুঃখজনক।যুগে যুগে সবসময়ই পশুরা থাকে কিন্তু এর প্রতিকার কি?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
তাসজিদ বলেছেন: আসলে এই ধরণের পশুদের সহজে চিনহিত করা যায় না। কারণ তারা ভদ্রবেশী। সমাজে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বেশি।
এরা বড় বড় লেকচার দেয়।
কিন্তু যা বলে তা বিশ্বাস করে না, কখনোও।
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
শায়মা বলেছেন: মন খারাপের গল্প।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
তাসজিদ বলেছেন: না আপু, কঠিন বাস্তবতার গল্প
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৯
কালোপরী বলেছেন: বাস্তবতা
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
তাসজিদ বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
বেঈমান আমি. বলেছেন: ফ্রয়েড দেখিয়েছেন যে, একজন মানব তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে যৌনতা দ্বারা তাড়িত হয়। দোলান থেকে কবর পর্যন্ত। মানুষের মানবিক আচার- আচরণকে যৌনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মতবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার তত্ত্ব অনুসারে মানুষের জন্ম-মৃত্যু, উঠাবসা, চলাফেরা, প্রেম-ভালোবাসা সবকিছুর মধ্যে কামের মারাত্মক ছড়াছড়ি। প্রেম বা ভালোবাসা যেনো কামেরই আরেক নাম বা কামেরই ফলাফল। আমার ত মনেহয়ে ভালবাসা বলতে কিছুই নেই। শরীর থেকেই ভালবাসা সৃষ্টি, তাতেই বিকাশ, তাতেই পরিপূর্ণতা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২
তাসজিদ বলেছেন: সহমত নাকি ভিন্নমত?
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
উদাস কিশোর বলেছেন: কঠিন এক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ।
কিন্তু আমরা শুধু কিছু কথা আওড়েই চুপ হয়ে যাই ।
এর প্রতিকারে তো আমাদেরই এগিয়ে আসা উচিত্ !
তাই নয় কি ?
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
তাসজিদ বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি আমরা ফেসবুকে ব্লগে অনেক বড় বড় কথা বলি। কিন্তু বাস্তবে যখন সাহস নিয়ে কথা বলা উচিৎ তখন আমরা পিছিয়ে যাই। ভদ্র সেজে যাই। এমনকি কেও বিপদে পড়লেও পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই।
আমাদের এ দ্বৈত সত্তা আমাদের দিন দিন কাপুরুষ এ পরিনত করছে।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম কাহিনি ঘটে চলেছে...কিন্তু আমাদের প্রতিবাদ করা হয়ে ওঠে না। ঐক্যবদ্ধ কাপুরুষতা।
ভাল লিখেছেন তাসজিদ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০
তাসজিদ বলেছেন: এ ধরণের ঘটনা ঘটছে । অহরহ, প্রতিনিয়ত, আমাদেরেই চারপাশে।
আমরা সবই দেখি, সবই শুনি, সবই বুঝি। কিন্তু বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করিনা। আমার ভয় পাই।
কাপুরুষের মত পালিয়ে যাই। কিংবা চোখ বন্ধ করে রাখি।
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
গোর্কি বলেছেন:
বাস্তবতার নিরিখে ছুঁয়ে যাওয়া প্রকাশ। পঠনে মুগ্ধতা জানাই। শুভকামনা রইল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
তাসজিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি ভাই।
চেষ্টা করেছি বাস্তবতার নিরিখে লিখতে। কতটা পেরেছি জানি না।
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কিছু কিছু কুলাঙ্গারের জন্য পুরো প্রফেশনের বদনাম নয়, এসব কুকুরের বিরুদ্ধে ব্যাপক গন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।এই গুলো যাস্ট মানসিকভাবে সিক। চারপাশে এই সব হায়েনাদের সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম না। আমাদের সমাজিক কিছু দূ্র্বলতার কারনে সঠিক সংখ্যাটা হয়তো প্রকাশ পায় না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
তাসজিদ বলেছেন: এই সব হায়েনাদের সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম না। আমি আপনার সাথে একমত।
সমস্যা হচ্ছে এই পশুর দলকে আইডেন্টিফাই করা সহজ না। এরা ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকে। সমাজে প্রভাব, প্রতিপত্তি অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারে না যে এরা এই ধরনের কাজ করতে পারে।
আর এ সুযোগটাই নেই এরা।
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমাকে আবার একটি টক শো তে যেতে হবে। খুব করে ধরেছে। বিষয়ঃ শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর যৌন হয়রানি।
ফানি সাবজেক্ট।
হা হা হা। রিয়েলি ফানি।
পরিমলরা ছিল এবং আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
আপনার হাত খুব পরিণত।
একেকটা অংশের শুরুতে প্যারা নাম্বার না দিয়ে পর্ব নাম্বার দিলে ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
তাসজিদ বলেছেন: আসলে এ থেকে বাচার যে কি উপায় তা আসলে আমার জানা নেই। সবাই যেন ধরে নিচ্ছে এ অনাচার হচ্ছে এবং হবে।
আমাদের একটি জঘন্য অভ্যাস হচ্ছে যে আমরা নিজেরা কোন কিছুর শিকার না হলে তার গুরুত্ব বুঝিনা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
তাসজিদ বলেছেন: কিছুদিন আগে একটি লেখা লিখেছিলাম। পাঠকদের ভাল লাগেনি। সত্যি কথা বলতে কি আমারও ভাল লাগেনি।
সব খারাপের একটি ভাল দিক থাকে। ওই লেখাটি আমাকে একটি উপলব্ধি দিয়েছে। যে লেখা যদি নিজেকে তুষ্টি না করতে পারে, তাহলে তা কখন পাঠককে তুষ্টি দিতে পারে না।