নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে থাকা মানে... সবখানে থাকা

বাঁচি বলেই আছি। নাচি বলেই বাঁচি। আছি বলেই যাচি। যাচি বলেই মাছি।-মানুষের দশ দশা কখনো হাতি কখনো মশা।

স্মার্ত স্বাতী

স্মার্ত স্বাতী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙ্গ-রসিক রবীন্দ্রনাথ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪১

‘মোটা মানুষ চৌকি ভাঙ্গিয়া পড়িয়া গেলে আমাদের কোন্ সুখের কারণ ঘটে, এ-কথা বলিতে পারি না; কিন্তু হাসির কারণ ঘটে’। -রবীন্দ্রনাথ
রঙ্গ ও হাস্যরসে রবীন্দ্রনাথ চেতনায় শিখরস্পর্শী। সাহিত্যে যেমন, ব্যক্তি জীবনেও তেমনি। রবীন্দ্রনাথ সর্বত্রই উইট, হিউমার, স্যাটায়ার, পান তথা রঙ্গরস সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথের হাস্য-কৌতুক তাঁর ব্যক্তিমানসের সৃষ্টি বলেই তা সাহিত্য তথা সাহিত্যের সামগ্রি। কারণ এ-গুলি ভাষা, সুর ও ছন্দে অন্য হৃদয়ে সতত আশ্রয় খোঁজে।
রবীন্দ্রনাথ শৈশব থেকে জীবনাবসান অবধি রঙ্গ ও হাস্যরসের আধার ছিলেন। তাঁর রঙ্গ ও হাস্য-রসের বিভিন্ন ও বিচিত্র মাত্রা রয়েছে। এমন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ রঙ্গরসের সৃষ্টি করেন নি। নিম্নে রবীন্দ্রনাথের রঙ্গ-রসের কিয়দংশ উপস্থাপন করা গেলো-
।১।
রবীন্দ্রনাথের জন্য পাত্রী দেখাদেখি চলছে। এক অ-বাঙালি পাত্রীর সন্ধান আসলো। আর রবীন্দ্রনাথ এটা নিয়ে কৌতুক করলেন। মেয়ের বাবা অনেক পয়সা-কড়ির মালিক। পাত্রী দেখার জন্য রবীন্দ্রনাথ সশরীরে উপস্থিত হলেন। দুটো অল্প বয়সী মেয়ে এসে অভ্যর্থনা জানালো। একটি মেয়ে নেহাৎ সাধাসিধে, জড়ভরতের মতো এক কোণে বসে রইলো। এবং অন্যটি যেমন সুন্দরী, তেমনি স্মার্ট। কোনো জড়তা নেই। সাবলীল বাচনভঙ্গি এবং কৃতকর্মা। রবীন্দ্র-মননে তখন.. এমন দিনে তারে বলা যায়...মনে হয় অনেক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ক্রান্তিকাল শেষে জাহাজ বুঝি তিরে ভিড়ল। কিন্তু না...। বাড়ির কর্তা তখন ঘরে ঢুকলেন। আর তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন...সুন্দরী, স্মার্ট মেয়েটিকে দেখিয়ে তিনি বললেন, এ আমার স্ত্রী। আর জড়ভরতটিকে দেখিয়ে বললেন, এ আমার কন্যা। আরো শোনা গেলো মেয়েটি নাকি বিধবা। রবীন্দ্রনাথ যদি বিয়ে করতেন তবে যৌতুক হিসেবে সাত লাখ টাকা পেতেন। পরে অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাট্টাচ্ছলে আফসোস করেছেন এই বলে যে, টাকাটা বিশ্বভারতীর কাজে ব্যয় করতে পারতেন।

।২।
একবার রবীন্দ্রনাথ-গান্ধীজী প্রাতঃরাশে। গান্ধী লুচি পছন্দ করতেন না। তাই তাঁকে ওট্স এর পরিজ খেতে দেওয়া হলো। রবীন্দ্রনাথ খাচ্ছেন গরম গরম লুচি। তাই দেখে গান্ধীজী বললেন, ‘গুরুদেব, তুমি জানো না, তুমি বিষ খাচ্ছ।’
উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বললেন,‘বিষই হবে। তবে এর কাজ খুব ধীরে। কারণ আমি গত ষাট বছর ধরে এই বিষ খাচ্ছি।

।৩।
সাহিত্যিক সত্যেন সেনের পিতৃব্য ক্ষিতিমোহন সেন রবীন্দ্রনাথের খুবই বিশ্বস্থ লোক ছিলেন। আর ‘রবিরশ্মি’র চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা
সবাই জানি। ক্ষিতিমোহনের কাছে চারুবাবু এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরে তিনি দেখা করতে গেলেন। তখন ক্ষিতিবাবু চারুকে ডাকতে যান। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘যখন রবি ও চন্দ্রের মাঝখানে ক্ষিতির উদয় হয় তখন রবির গ্রহণ তো লাগবেই।’

।৪।
আমরা জানি, ডি. এল. রায়ের সাথে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক সম্পর্কটা সু
ছিল না। তবুও দু জনের সাক্ষাতে অনেক হাস্যরস হতো। একবার এক দোলপূর্ণিমার দিন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের দেখা হয়। পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎ ডি. এল রায় জামার পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথকে বেশ রঞ্জিত করে দিলেন।
আবিররঞ্জিত কবি পরিহাস ভরে বললেন- ‘এতো নতুন পরিচয় বটে। এতদিন জানতাম দ্বিজেনবাবু ‘হাসির গান’ লিখে সকলের মনোরঞ্জনই করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব মজা পেলাম

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫১

স্মার্ত স্বাতী বলেছেন: ধন্যবাদ...

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০২

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মজা লেগেছে। ২নংটা বেশি হাস্যকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.