কিছু

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

তার কথা শুনে বা সামনাসামনি দেখে বিশ্বাস করতে খুব বেগ পেতে হবে- মানুষটার ভেতর এত কান্না!
তার একটা নাম দেয়া দরকার, কী নাম দেয়া যায়- ভাবছি। নাম দিলাম, নীলু।
ব্যথায়, কষ্টে জর্জরিত মানুষটার নাম নীলই বেশি মানায়। তাই নীল থেকে একটু বেশি মমতা দিয়ে তার নাম রাখছি নীলু।
খুলনাতেই তার বাড়ি। পার্শ্ববর্তী দেশে অনেক আয়-উপার্জন হবে- এই ভাবনাটা তার মাথায় দিয়ে দেয় ফুফুবাড়ির পাশে আরেক নারী!
মাকে জানানো হলে তিনি সরাসরি নাকচ করে দেন। কিন্তু অভাব অনটন সেই না শব্দটা খুব দ্রুত হা তে পরিণত হয়ে যায়।
নীলু সেই মানুষটার কথানুযায়ী খুলনা ছাড়েন। সীমান্ত পার হয়ে কলকাতা- মুম্বাই!
বলা হয়েছিল বাসায় কাজ- কিন্তু সেই বাসা কেমন করে যেন পাল্টে যায়!
একটা বড় বাড়িতে তাকে রাখা হয়। সেখানে তার মত, তার চেয়ে বা তার চেয়ে বেশি বয়সী বেশ কয়েকজন নারী ছিলেন!
খুব বেশি কষ্ট হয়নি তার কী কাজ করতে হবে!
সেখানে থাকা অন্যরা তাকে অবহিত করে- কী কাজ, কীভাবে করতে হবে!
নীলু বাড়ি রেখে গেছেন তার ৬ বছর আর চার মাস বয়সী দু' শিশুকে।
‌'কাজ' শুরু করেন দিন সাতেক পরেই।
মানুষ বিশেষ করে মেয়েদের বিক্রি করা হয় ঠিক গরু-ছাগলের মতই।
প্রথম দফায় কাজের যে শর্ত, তাতে ৭৫ শতাংশ যে তাকে কিনেছে অার বাকি অংশ তিনি পাবেন!
কিন্তু সে চুক্তি দালাল মানে না।
তার মুখ থেকে শুনতে পা্ওয়া শব্দগুলো কানের ভেতর যেন গরম সীসা ঢেলে দেবার মত!
১০ দিনের কাজ করে ফিরে এলাম। দালালে কয়, তোরে যে দামে কিনছি সেই টাকা কেটে আর বাকি নাই!
এইভাবে তিন মাস চলে। তারাই খা্ওয়া পরার খরচ দেয়, কাপড় নিজের পছন্দে কেনা হয় না। অার পোশাক মানে থ্রি কোয়ার্টার জিনস আর টপ!
নীলু জানান, ইনজেকশন দিয়ে বুকের দুধ বেরুনো বন্ধ করে দেয় তারা।
এভাবে চলতে চলতে দালাল পরিবর্তন হয়।
নতুন দালাল তার কাজের ৫০ শতাংশ দিতে সম্মত হয়। নীলু ঘর বদল করেন।
মাস চারেক ঠিকমত টাকা দিলেও পরে টালবাহানা শুরু করে।
এতদিনে এলঅকার নাড়িনক্ষত্র তার দেখা হয়ে গেছে। চেনা হয়েছে ক্লায়েন্ট

০ টি +১/-০