কনফেস!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

পাপ ঘৃণাযোগ্য, সবসময় শোনা। তার অপকর্মকে জায়েজ করার কোনো ইচ্ছে ছিল না, নেই- থাকবেও না।
মানুষের বিশ্বাস বা আস্থা বিনষ্ট হলে, সেই জায়গা পুনরুদ্ধার অসম্ভব। বরং দিনের পর দিন-কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা মতই জ্বলবে।
অপরাধ হয়েছে। বিশ্বাসের জায়গা ভেঙে খান খান হয়েছে। নিশ্চিত পাপী; স্বীকার করতে বাধা নেই।
কোনো এক কষ্টকর মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে কিছু সুবিধে নেওয়ার মানসিকতায় প্রথম অপরাধ। মানুষের সফট কর্নারে আঘাত করে, তার সরলতার সুযোগ নিয়ে বেশ সওদা হয়েছে। এটি এমন যে, কোনোভাবেই শুধরানো যায় না। শুধরে নিয়ে এগুনো সম্ভবও নয়।
একজন মানুষ, যিনি তার সর্বোচ্চ বিশ্বাস নিয়ে তার আমানত জমা রেখেছেন, সেগুলো দলে-পিষে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
একজন মানুষের কাছে এরচে’ বড় অপমান আর কিছু হতে পারে না।
সেই মানুষটার যে বড় ক্ষতি হবে- পরিকল্পিতভাবে যে করা হয়েছে-ঠিক তা নয়। এরমধ্যে কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল না।
স্রেফ নিজের মনোবাঞ্ছনা পরিপূর্ণ করার মানসে এক কথায় সবকিছু ছেড়ে আসা একজন মানুষকে তার জীবনের সর্বোচ্চ ক্ষতির নায়ক হতে দ্বিধা করা হয়নি।
একজন লম্পটের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মানুষকে কখনোই ক্ষমা নয়।
প্রতারণার আশ্রয়, ছলনার মধ্যে প্রতিক্ষণ ঠকানো হয়েছে মানুষটাকে। কত বিশ্বাসে তিনি বুক বেঁধেছিলেন। এক মুহূর্তে তা শেষ হয়ে গেল।
সুন্দর চেহারার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই মানুষরূপী জানোয়ারকে কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ ক্ষমা করতে পারেন না।
নিজের সুখের জন্যে, শান্তির জন্যে, স্বস্তির জন্যে অপেক্ষাকৃত সরল একটা অবলম্বনকে পুঁজি করে হীনমানসিকতা- বিবেকবর্জিত লোভী কুলাঙ্গারটি এখন দোষ স্বীকার করছে।
কনফেস!

০ টি +০/-০