নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগ ও আমার ভবিতব্য সংকট

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

আমরা সবাই জানি আওয়ামীলীগ মানে শেখ হাসিনা।বাকি সব নেতাদের ও সবাই একইভাবে বিশ্বাস করে না।কোন কোন নেতা নানা সময়ে নানাভাবে প্রভাবিত হয় কিনতু দলের কান্ডারি হিসেবে এই একজন আছেন যার হাত ধরে এই দলটি আবার ক্ষমতায় ।৭৫ পরবর্তী প্রেক্ষাপট মাথায় থেকে যে বির্পযয় তা সামলে ২বার এবার সহ ৩ বার তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব এর স্বাদ ও পেলেন।বর্তমানে যে সংকট বা রাজনৈতিক সংকট চলছে তার প্রধান ত্রাতা বা বিত্রাতা ও তিনি।গ্রীক সময় থেকে অথবা সভ্যতার যাত্রা থেকে যত দেশ স্বাধীনতা ভোগ করেছে তাদের কাছে একটা উদাহরণ জাজ্বল্যমান আর তা হল কোন যুগে কোন কালে স্বাধীনতাকামী বা জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কোন দেশে তার বিরোধীতাকারীদের স্থান দেয না ।বঙ্গবন্ধু ও দেই নি কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে হত্যার পর সব দল যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশকে আর্দশ ও বিচারহীনতার দিকে নিয়ে গেছেন এবং তাদের উত্তরাধীকারীদের ও সেই সংস্কুতি শিখিয়েছেন ও সাথে সাথে চোর -ডাকাত -সুবিধাভোগী-মালপোয়াভোগী শ্রেণী গোষ্ঠী তৈরী করেছেন ।তারপর দীর্ঘসময় পর বা ২১ বৎসর পর দলটি ক্ষমতায় আসলে ও দলটি তার আর্দশ ও নৈতিকতা বির্বজিত রাজণীতি র্চচা করেছে বাস্তবতার দোহায় দিয়ে তবে এতটুকু করা ছাড়া ও উপায় ছিলনা এই কারণে রাজনীতি যেহেতু ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে আর্বতিত হয় সেহেতু তা ঠিক ছিল।আমরা নানা দশকে অস্ত্র ও পেশিশক্তি নিভর রাজনীতর যে তালিম তা ও মাথায় রাখতে হবে।তা ও মেনে নেয়া যায় ।২০০৮ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের পর দলটি কিছু মৌলিক সমস্যা সমাধানের উপর আলোকপাত করে ক্ষমতায় আসে যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ অন্যতম।তারপর কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে জামাতের সন্ত্রাস ও গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান এক অনন্য ঘটনা।কিন্তু আওয়ামীলীগ একক ভাবে পরাজিত হতে শুরু করল তার কারণ সাহস আর দৃঢ়মনোবলের অভাব।এভাবে ও বলা যায় য়ে,সুবিধাভোগী-মালপোয়াভোগী রাজনীতি থেকে এই দলটির যেহেতু ২য়বার উত্থান সেহেতু ঐ একটা ইসু্য ছাড়া উন্নয়নের যে সংকট ,সুশাসনের যে সংকট ,শাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন নানা ষড়যনত্র ও অদক্ষতা এই দলটিকে বিপযর্য়ের মধ্যে গেছে।তবে শুধু এ দোষ এককভাবে্ এই দলটিকে দেয়া যায় না তার কারণ এক বাংলাদেশী হিসেবে এদেশের বেশিরভাগ মানুষের কুসংসস্কার মনস্কতা,অতি আবেগের বাহুল্য ,ভুলে যাওয়া মানসিকতা,অতি ধর্মীয় মানসিকতা যে অন্য মানুষকে মৃতুূ্যর মুখে ঠেলে দিলেও তা দেখে নির্বিকার থাকা এইসব উপাদান ও দায়ী।তারপর দলটি ভাল করেছে বলে আৃমার ও বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস ।এই প্রথম আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করলাম উন্নয়ন দিয়ে শুধু ভোট যুদ্ধে জেতা যায় না তার সাথে ধর্ম ও যোগ হয়েছে।বলতে পারি কর্মের চেয়ে র্ধম বড় !!!!! ২০১৪ সালে যে ভোট ভোট খেলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে অনেকেই কথা ও বলেনি তারও কারণ একটাই সত্যিকারের মৌলিকত্ব অর্জনের প্রচেষ্টা আর তা হল জামাত নিধন। ২০১৪সালে আওয়ামীলীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছে তা অবাক হবার মত তাতে জামাত বধ বা মানবতাঅপরাধীদের সাজা কার্যকরের কেন রোডম্যাপ দেয়া হয়নি।নির্বাচন পরবর্তী যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাতে ও এভেবে হতাশ য়ে জামাত এর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কান্ডরির মুখে তেমন কিছু দেখতে পাইনি।আমি উদ্বিগ্ন এইজন্যেযে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামাত বধ ও সব চিহ্নিত মানতবাঅপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে ।তার পাশাপাশি উন্নয়ন ও সুশাসন এবং রাজনৈতিক সংকটের ও সমাধান করতে হবে।এই নানামুখী সংকটে জিততে হলে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চাই কিন্তু সরকারের কাছে এই ধরনের কোন পরিকল্পনা আমরা জানতে পারিনি।জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য তাদের অর্থনৈতিক ভিত ভেঙে দেয়ার জন্য কোন পরিকল্পনা যদি নাই থাকে তাহলে আমরা আর গভীর সঙ্কটে নিপতিত হব।তখন অবস্থা হবে এমন জামাতিদের হাত থেকে এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বন্ধকরা যাবে না ।কথন মানুষ বিরক্ত হয়ে যদি এমন কান্ড করে ফেলে বা আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে বা বিএনপি মানে বিএনপি নয় জামাত ক্ষমতায় আসা সেক্ষ্রত্রে বিপদগ্রস্থ জনগণ ও শুভাকাঙ্কিদের আওয়ামীলীগ কি তখন রক্ষা করতে পারবে?? এইএকজন শেখ হাসিনার ওপর যে হামলা হয়েছে এই দেশে আর কার ওপর তা হয়নি তারও কারণ অজানা নয়।শেখ হাসিনা তিনি ও ভালো-মন্দ গুণ নিয়ে মানুষ তথাপি প্রধানমন্ত্রী ।তবু ও শত খারাপের মাঝেও আজ ও তিনি এই বাঙালি জাতির প্রতীক। যেহেতু আগামীর বাংলাদেশের যে সংকট তাও সামলতে হবে তাকে সেক্ষেত্রে ৭১ এর অনুসারীদের দিকে তাকে সহযোগীতার আর আর আর বাড়াতে হবে।এইবার যদি না হয় তাহলে এই দৈত্য নামক বাঙালির ঘাড়ে যে জামাত আছে তাকে আর নিবৃত্ত করা যাবে না ।তাই এখনই সময় একটা রোডম্যাপ দেন জামাতকে নিষিদ্ধ করেন আর রাজনৈতিক সঙকট উত্তরণের জন্য ফলদায়ক উদ্যোগ নেন। সবাই খাওয়ার বেলায় থাকে বিপদের সময় থাকে না ।এই সংকট থেকে দ্রুত মুক্ত হতে না পারলে হিতে বিপরীত হতে পারে গরীবের দেশে গরীর মারার মানুষের অভাব নেই কিন্তু পেটে যদি ভাত না থাকে কিসের খোদা,আর কিসের আর্দশ!!!বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে এত সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই আর এই সংকট থেকে মুক্তি যদি আপনি আমাদেরকে দিতে পারেন তাহলে আপনিই হবেন পুরো ও আগামীর বাংলাদেশের একমাত্র সফল রাষ্ট্রনেতা ও ইতিহাসের পুনঃজনমের আর্বিভাবক।আপনার চারপাশ হোক সুবিধাভোগী মুক্ত ।আগামীর বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সমৃদ্ধময় ।ধন্যবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.