নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুটিকয়েক গডফাদার ও আওয়ামীলীগের দুঃখ...

২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

স্বাধীনতার পূর্বে জন্ম হওয়া এই দলটি অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গেছে ।এ পথ কখনো মসৃন ছিল না।দীর্ঘ র্চচা ও একতা ও নির্যাতনের ক্যালেন্ডার সয়ে সয়ে এই দলটি বেড়ে উঠেছে।নানা বদল ,আর্দশিক চিন্তা চেতনা,রাজনৈতিক অর্ন্তনীহিত দর্শন দিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে আসতে পেরেছিল।এই দলের নেতৃত্বের মাধ্যমে এই দেশে সম্মিলিত প্রয়াসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে বিশ্ববিবেক আরেকবার জানিয়ে দিতে পেরেছিল মানুষের অর্থনৈতিক ,সামাজিক,আর্দশিক,শোষণ মুক্তি মানেই মানবতার মুক্তি।দলটি স্বাধীনতার পরপরই রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ সফলতার সাথে এগিয়ে নিতে পেরেছিল কিন্তু নিজদেশের বিভাজমান অমানুষের দল ও নেতৃত্বজ্ঝান হীনতা ,রাষ্ট্রপর্চিালনায় ভুল সিদ্ধান্ত ও কতিপয় দেশী বিদেশী শত্রু মিলে বাংলার শেষ সর্বনাশটা করেছিল ১৯৭৫ সালে ।এরপর যা দেখেছি তা হল সামরিকায়ন,দুবৃত্তায়নের রাজনীতি,টাকা,অস্ত্র,সামাজ্রবাদীদের হস্তক্ষেপ,আর্দশ বিলুপ্তি,ধর্মীয় গোঁডামির ও রাজাকার বাহিনীর পুর্নবাসন পুরোদেশকে পিছিয়ে দেবার নগ্নখেলা চলে।কি জিয়া,কি এরশাদ সবাই শকুনের বাহিনীরমত দেশ শাসন করেছে।মনে হয়েছিল ৯০ দশকের পর দেশের রাজনিতি আবার আর্দশিক জায়গা খুজেঁ পাবে কিন্তু সে আশার গুড়েঁবালি।ততদিনে বাংলার ভ্রুণে গজে গেছে উল্টে যাওয়া নীতি,পচে যাওয়া স্মৃতি আর হন্তারকের বটবৃক্ষ। এই পাশার দানের খেলায় সব উল্টে যাওয়া বাম-ডান-ঘাতক বিএনপি-জামাত মিলেমিশে একাকার। সেই খেলায় নতুন করে অংশগ্রহণ করে আওয়ামীলীগ ও। উপায় ও ছিল না।অস্তিত্ব রক্ষার চেয়ে বড় আর কিছু থাকতে পারে না সব মহোৗষধ ও বেচেঁ থাকার মধ্যে। অস্ত্রের বিপরীতে অস্ত্র,টাকার বিপরীতে টাকা নষে্টর খেলায় সবকিছু নষ্ট হতে থাকল। তথাপি এখনো বেশির ভাগ মানুষের মনে এক আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কার কাছে এই দেশের রাজনীতির শেষ আশ্রয় নেই ।এজন্যই তো বলে "এক আওয়ামীলীগ হারলে গোটা দেশ হারে আর আওয়ামীলীগ জিতলে সে একাই জিতে" ।২০০০ সালের নির্বাচনে গুটিকয়েক গডফাদারের কথা আমরা জানতে পারি রারায়ণ গজ্ঝের শামিম ওসমান,লক্ষীপুরের আবু তাহের ,ফেনীর হাজারী সবমিলিয়ে আমরা সেই সময় ৫ জনের নাম জেনেছিলাম। কিন্তু এই পাঁচজনের খারাপ কাজের জন্য এই দলটির ফল বির্পযয় হয়েছে সেই সময় এক অসচেতন মানুষ ছাড়া আর কেউ এ কথায় বিশ্বাস করবে না।এত ভাল কাজ করার পর ও এ ভাবে নির্বাচনে হেরে যাওয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া য়ায় না। তারপর বিএনপি জামাতের নৃশংস কর্মকান্ড ২০০০ সালের নির্বাচনের পর।সবাই বলেছিল ৭১ সালে পাকিস্তনিরা এই রকম সাহস পায়নি।এখানে বলে রাখা ভাল এই আওয়ামীলীগ দলটি যে পরিমাণ নেতাকর্মী হারিয়ে ছিল,যে বিরুপ প্রচাররে শিকার হয়েছিল,রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের বলি হয়েছিল অন্য দল হলে আপনা আপনিই বিলুপ্ হয়ে যেত তাহয়নি এই দলের ত্যাগি নেতাকর্মী যারা দলের না খেয়ে ও দলের জন্য নিজের প্রাণ অকাতরে দান করেছে তা করেছে যত না দলের জন্য তার চেয়ে আদর্শ আর দেশচেতনার জনে্য ।বাংলাদেশেরগড়ে উঠা পাকিস্তানি ধাঁচের আমলা,সামরিক বাহিনী ও অন্যন্য গোষ্ঠী তন্ত্রের বিরুদ্ধে জেগে উঠা খুব মুশকিল ছিল কিন্তু দমে যায় নি।২১ বছর পর হলেও এই দলটি আবার বাংলার মানুষের কাছে আসার সুযোগ পায়।কিন্তু নিজদল ও কুচক্দ্রি দের সামলানো অত সোজা নয় এবং শেষ মেষ হাবারও হার। এই হার যতটা না দলের তারচেয়ে দেশের কি র্ুঃসহ দিন পার করেছিল এই দেশ ২০০০-২০০৫ সালে ।এত কিছুর করার পর ও খায়েশ মিটল না আবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য যা যা কিছু করা দরকার তার করার কোন ত্রুটি রাখলনা বিএনপি -জামাত।কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।আবার ঘায়েল হল সেই চ্ক্রটি।কিন্তু আরেক নবচেতনা তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে বেড়ে উঠেছিল ।আসলে যত সমস্যা্ আসুক না কেন --শেকড়ের কথা কেউ ভুলে যায় না।৭১ এর সেই সব ঘাতকদের নিমূর্লএর প্রতিজ্ঝা নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনল।কিন্তু কোন কিছুর জয় এত সহজ পথে আসে না।এদশের মানুষ বিশেষ করে ক্ষমতাবাহীরা,তথাপি শিক্ষতজনরা যারা মনে করে এই দেশ ,এই সমাজ,এই রাষ্ট্রীয় কাঠামো আমার তাদেরহাত থেকে সমাজে নতুন কিছু করা এত সহজ নয়।হয়েছে ও তাই ।এক প্রধান মাঝি কি করবেন যদি দেশের মানুষ বা তারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রা যদি নৌকা ডুবিযে দিতে চাই। ২০১৩ সালের নির্বাচনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সর্মথন করি সেটা যে প্রক্রিয়া হোক না কেন। পৃথিবীর কোন দেশে একেবারে উল্টোচলা রাজনৈতিক আর্দেশর দল থাকে না বাংলাদেশে আছে।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা ও তাই।বিএনপি আর জামাত ছাড়া বাংলাদেশকে কেমন দেখাবে সে কথায় একবার যদি কল্পনা করেন তাহলে আমি বলব সে কল্পনাটা অবশ্যই সুন্দর.মার্জিত ও রুচিবোধের পরিচয় আপনার।হ্যাঁ একথা স্বীকার করছি বাংলাদেশের অন্যান্য দলগুলা বিশেষ করে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তিগুলো যদি আওয়ামীলীগ কে টেক্কা দিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে অবশ্যই সেটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু এটা হতেই হবে।আর কোন বিকল্প নেই ।সেই বিকল্পের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি তবে তার মানে বিএনপি জামাত নয়। বিএনপি জামাত আর সত্যিকারের রাজনৈতিক চেহারা হতে পারে না।তা বিশ্রি ,লজ্জার আর হীনতার।বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক অসচেতনতার মানুষ আছে তার সাথে আছে স্বার্থানদ্ধ মানুষ সব মিলিয়ে খুব ভাল অবস্থায় নেই।তাই গুটিকয়েক গডফাদার এর জন্য আওয়ামীলীগ হেরে যেতে পারে না।ওদেরকে ধরে ক্বজা করুন যে হাজারি ,যে তাহের হারিয়ে গেছে তার মত শামীম ওসমানদের হারিয়ে দিতে হবে।যারা সাধারণ মানুষের ধ্বনি শুনে নিজ দলের কর্মীদের ফাঁসি দিতে পারে তারা একাজ করতে পারবে না । দল এবং সাধারণ মানুষের কথা কাজে লাগাতে পারলে আওয়ামীলীগ শুধু নিজেকে সামলাবে না বাংলাদেশকে ও বিশ্বের দরবারে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।একুশ শতকের যে অগ্রজ চেতনা এদেশের তরুণ প্রাণ বিজয় মশাল উড়াচ্ছে,তাকে ব্যর্থহতে দেয়া যাবে না।কর্ম,শিক্ষা,প্রযুক্তি,ডাল-ভাতের নিশ্চয়তা দাও এ দেশকে রুধিবে এমন সাধ্য কার।যাদেরকে কাজের জন্য বলতে হয় না তাদের হাতে বাংলার সম্বাভনা।এক কোন রাজনৈতকি দলের কাছে নিজ স্বার্থের কাছে বির্সজন দেয়া যাবে না। আওয়ামীলীগ সেই রাষ্ট্রের সূতিকাগার।আওয়ামীলীগকে বুঝতে হবে এদেশের সেইসব খেটে খাওয়া মানুষ কি চাই।গুটি কয়েক বখে যাওয়া কর্মী ,গড়ফাদার,আমলা,দূর্নীতি আর জামতিদের উচ্্ছেদের পণ বাস্তবায়ন করেন ।এই সংকট অচিরেই দূর হয়ে যাবে। জয় বাংলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.