নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবিষ্যৎ বড় করুণ হয়ে উঠছে...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

বাংলাদেশে যারা সুন্নী ত্বরিকার মানুষ আছেন তাদেরকে এ পর্যন্ত কোনরকম ধর্মীয় সংঘাতের দিকে যেতে দেখিনি।বাঙালি সাধারণ মুসলমান মানেই সু্ন্নী ত্বরিকার অনুসারী তারা সেটা মতাদর্শ বুঝে বা না বুঝে হোক ।এমনকি তারা যখন কোন বায়োডাটা লিখে সেখানে ইসলাম লেখার পর ব্র্যাকেটে সুন্নী লিখে দেয় ।আমাদের জানা মতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যত ধর্মীয় সংঘাত তৈরী হয়েছে বা করেছে তারা সবাই শিয়া বা ওহাবী বা কওমী ত্বরিকার অনুসারীরাই করেছে।যদি ও এসব ত্বরিকা বাংলাদেশে ব্যাপক বিস্তুৃতি লাভ করেছে উপমহাদেশে মুসলমানদের বিদ্রোহ বা বৃটিশ বিরোধী নানা প্রভাবের কারণে সেখানে ও বাংলায় ব্যাবসা করতে আসা বা রাজনীতি করতে আসা মধ্যপ্রাচ্য বলতে গেলে পারস্য,তুর্কি,আফগানী এদের হাত ধরে।কিন্তু এতসব মতবাদ বিস্তার হওয়ার পর সাধারণ বাঙালি মুসলমান তুলনামূলক শান্ত নম্র সুন্নী ত্বরিকার ও বেশি আস্থা রেখেছেন।স্বভাবতঃ বাঙালি ঝামেলা পছন্দ করেন না বা এড়িয়ে যান।কিন্তু ৭১ সালের পর আগে পাকিস্তানি প্রেক্ষাপটে এটা ভিন্ন মাজেজা পায়।মওদুদী বাদ এসে অন্যরকম রাজনীতী মিশ্রিত ত্বরিকা বাঙালি মুসলমানকে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে ।ধর্মের নামে মানুষ হত্যা,ধর্মের নামে পেশাদারী রাজনীতি,ধর্মের নামে প্রতারণা,মসজিদ,মন্দির,প্যাগোডাতে আক্রমণ ,ভিন্ন ধর্মীয় মানুষকে অবজ্ঞা ,ভন্ডামি ,সৃজনশীল মানুষের ওপর আক্রমণ চরমত্ব লাভ করে।তার ভয়াবহতা আমরা ৭১ ,৭৫,২০০১,২০১৩ সালে লক্ষ্য করেছি।যেহেতু বিশ্বরাজনীতে ও এ ত্বরিকা এখন আন্র্তজাতিক পট লাভ করায় এটা আর বিস্ততৃত পরিগ্রহ পেয়েছে।সুন্নী মতাদর্শীরা যেহেতু সহিংস ত্বরিকা নয় সেটার প্রমাণ আমাদের মাঝে আছে কিন্তু তারাও যে একদিন হাতে অস্ত্র তুলবে না সহিংস হবে না তার নিশ্বয়তা দেয়া যায় না।তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরাক এর আই এস আই এস।তারা কিন্তু সুন্নী ত্বরিকার অনুসারী তারা হিংস্র হলে সেটা কতটা কর্দয,ভয়াবহ,পাশবিক তার নমুনা তারা দেখিয়ে দিয়েছে।সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে এই জঘন্য জিগাংসা রিরংসা বিস্তার আমাদের মনের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে।যেহেতু বাংলাদেশে সুন্নী ত্বরিকার অনুসারীরা এখন সেরকম কিছু করেনি তাতে আমি তাদেরকে দোষারোপ করতে পারি না।তবে ভবিষ্যৎ অভয় পাব তাও ভাবতে পারি না।কিনতু তাদের মানুষরা ও মাজার কেন্দ্রিক ছোট খাট অপরাধে যে জড়িত নেই সেটা বলতে পারি না।চট্টগ্রামের অনেক বড় বড় আউলিয়ার নামে বা তাদের বংশধরেরা ভূমিদস্যু,মাজারের দান বক্স নিয়ে খুনোখুনি করতে দ্বিধা করেনি এ অপবাদ তো আছেই।তাই বিশ্বাসের ব্যাপ্তিটা ছোট হতে বাধ্য।মওদুদী বাদ বলুন আর সুন্নী বাদ বলুন তাদের দুই অনুসারীদের মধ্যে একজায়গায় প্রচন্ড মিল অর্থাৎ তাদের ধর্মীয় গুরু নামক চন্ডালদের শেকড় কিন্তু পাকিস্তানে মানে জাতে পাকিস্তানি।তাই ভয় অর্থ,অস্ত্র,প্রশিক্ষণ ত্বরিকা কখন যে কোন খান দিয়ে চালান হবে বা পাচার হবে তা বলা যায় না।তাই কোন ধর্মীয় ত্বরিকা বা গোষ্ঠীর কথা উঠলে বড় ভয় লাগে।আবার যদি কোন কিছু হয়।আবার যদি মৃতু্্য পাশ ফিরে আসে নানা নামে নানা ধামে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.