![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গরু মেরে জুতো দান!!
ইউরোপ নিজেদের খোঁড়া গর্তে নিজেরাই পড়েছে।কতক দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে নি:স্ব করে এখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করছে!এত বড় কলোনিয়াল র্দুবুদ্ধি নিয়ে ইউরোপ বড় হয়েছে,সে চরিত্র তা আজও ছাড়তে পারেনি!ইউরোপের ইতিহাস যেমন আলোক উজ্জ্বল তেমনি ১৫ শতকের ভয়াবহ অন্ধকার ও বটে। শরণার্থীর নামে ইউরোপ আর আমেরিকার যৌথ দাস ব্যবসা আবারো শুরু করেছে।লোভ আর অসঙ্গতি যে সহজে দূর করা যায় না প্রগতির আড়ালে ইউরোপ আবার নতুন করে উদাহরণ তৈরী করল।অর্থনীতির মন্দাভাব আর কমখরচে পণ্য উৎপাদনে এরাই তো ভরসা।কম জ্বালানি খরচ,কম শ্রমিক খরচ সবকিছু মিলিয়ে অন্য দেশ দখল করে মানুষকে নি:স্ব করে আজ ইউরোপ বাণিজ্যিক মানবিকতাকেই প্রর্দশণ করল।শরণার্থীদের জন্য যে তহবিল ঘোষণা করছে আসলে তা হল- বিনিয়োগ!আগে আফ্রিকা বা এশিয়া থেকে তারা শ্রমদাস সংগ্রহ করত।তখন তাদেরকে মজুরি না দিয়ে খাটিয়ে মারত।এখনকার র্পাথক্য হল, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আগে করে পরে বেতন আর সুযোগ সুবিধা কম দিয়ে পণ্য উৎপাদন বা শ্রম বিনিয়োগটা আগেভাগেই দখল করে রাখল এই যা,আর কিছু নয়। এর ফাঁকে জঙ্গী উৎপাদন আর তাদের নির্মূল না করে সমস্যার গোড়ায় হাত না দিয়ে হঠাৎ করে যে প্রেম ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মত উদগীরণ করল তার পেছনে যে স্বার্থ আছে তা সহজেই অনুমেয়।ইরাক,আফগানিস্তান,লিবিয়া,তিউনিসিয়া,মিশর,সিরিয়া সব দেশ আজ শেষ!যে তখাকথিত আইএস.বা তালেবান বা আলকায়েদা সব সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরী করে মানবিক পৃথিবী চর্চ্চার বদলে এক গোষ্ঠী বা জাতিকে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি করে তোলা সব তাদেরই কাজ।ধর্মীয় অনুশীলন ইউরোপ আর আমেরিকা বা পাশ্চাত্যরা তেমন একটা পাত্তা দেয় না।তাদের কাছে এসবের চেয়ে মানবিক গুণাবলী অনুশলীন আর কাজই বড়।অথচ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশীলনে বুঁদ করে রাখা,অন্য জাত গোষ্ঠী থেকে তাকে আলাদা করে রাখা,একদিকে জঙ্গি বলে মারা অপরদিকে অন্যকে হত্যার জন্য আবার তাদের পেছনে অর্থ আর অস্ত্র দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করা ও ইউরোপ আর আমেরিকার নব্য মানবিকতা!! অনেক সময় সরাসরি যুদ্ধে হয়ত ইউরোপ অংশগ্রহণ করে না কিন্তু পরোক্ষ অর্থযোগানদাতা হিসেবে বা জাতিসংঘে আইনগত সহায়তা দেয়ার জন্য ঠিকই আমেরিকার সাথে এক জোট হয়ে কাজ করে!আগেরকার যাদের উপনেবিশ ছিল তারাই পরবর্তীতে সেই উপনিবেশের ভালমন্দের দায়ভার তারা আজ গ্রহণ করে ছাড়ে। কমনওয়েলথ নামক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে এখন ইংল্যান্ডের রাণী দাঁড়িয়ে !! ভাগ্য ভাল যে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ার মত ভাড়া দিতে হয় না বাংলাদেশকে!! সারাবিশ্বের কলোনিয়াল দেশগুলো থেকে চুরি করা,লুটপাট করা অর্থ দিয়ে তারা আজ বড় হয়েছে আর এখন তৃতীয় বিশ্বের নাম দিয়ে শ্রেনীবিভাগ করে আবার তারা কিছু অর্থ সাহায্য দিয়ে তাদের পুরনো পাপকে কিছুটা হালকা করছে।কিন্তু স্বীকার করবে না যে আমরা আজ যে শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত নিয়ে যে দাঁড়িয়ে আছি তা তোমাদের কাছ থেকে লুটপাট করে ।সে টাকায় তারা বিজ্ঞান,প্রযুক্তি,বাণিজ্যিক উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে ।ঐ পরিমাণ অর্থ যদি সাবেক কলোনিয়াল দেশগুলোর থাকত তাহলে তারা ও আজ ইউরোপ আর আমেরিকার মত বিজ্ঞানী,চিকিৎসক,অর্থনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ তৈরী করতে পারত। তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তো তিনবেলা খাওয়া পাওয়ার জন্য জীবন শেষ করে দেয় এসব সৃষ্টিশীল কাজ করার তাদের সময় কোথায়।তারপরও তো পৃথিবী একবারেই যে কিছু দেয়নি তাতো নয় শিল্প, সাহিত্যিক, গণিতবিদ, পরমাণুবিদ, অর্থনীতিবিদ কি দেয়নি!! মাত্রাগত ভাবে ধরে নেয়া হয় অন্যান্যদের চেয়ে ইউরোপ একটু হলে ও প্রগতি বা মানবতাবাদি এটা অনেকই বিশ্বাস করে । হাজার অসঙ্গতির ভেতর এই মানবতাবাদী উদাহরণ তৈরী করতে শুধু ইউরোপই পারে এমন ধারণা ঊন ও অমূলক।।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ তবে বড় নির্মম হয়েছে এই দুএকটা কথা...... !শুধু হেয় করলে হেয় করা যায় ,তাতে ইতিহাসের কিছু যায় আসে না, বাস্তবাতার সাথে কমেন্টাও বাস্তবমুখি হলে ভাল লাগত।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আঁতেল সাহেব, আরবের যুদ্ধ সময়ের সাথে অনিবার্য হয়ে উঠেছিল; তেলের পয়সা কয়েক পরিবার ডাকাতী করছিল; সাথে যোগ দিয়েছিল মিলিটারী।
আবার শিয়া , সুন্নী, কুর্দী, ওয়াহাবীরা আরবকে নিজের দখলে নিতে যুগে যুগে চেয়েছিল, এখন তা হচ্ছে।