নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাগী পুত্র এবং আই.এস ও প্রো ইসলামী ভাবনা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮




একটা কিশোর যার বয়স কিনা ১৪-১৫ তার টি শার্টের গায়ে আই.এস লেখা আছে বলে তাকে আই.এসের সমর্থক বলে গ্রেফতার করা হল আর মহান মিডিয়া ও সেই প্রচারে নেমেছে....। গ্রেফতার হওয়ার কথা তেঁতুল শফির,গ্রেফতার হওয়ার কথা কালো বিড়ালের থলেরকারবারীদের ,গ্রেফতার হওয়ার কথা সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ,গ্রেফতার হওয়ার কথা ত্বকীর মত অমায়িক ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের,এরকম আর উদাহরণ বলব !!! তারা শুধু গ্রেফতার করতে পারে ফেসবুকে কে লাইক দিয়েছে,কে পোস্ট দিয়েছে,তাতে আঁতে ঘা লেগেছে .....!!!! যে দেশের পুলিশ,গোয়েন্দা বাহিনী আর RAB ঘুষ ,দূর্নীতি,হত্যার সাথে জড়িত।যারা এদেশের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে না।যারা ধর্ষণকারীদের সাথে ঘুরে বেড়ায়,নিজেরাই র্ধষকের উদাহরণ হয়ে আছে তাদের কাছে এই ধরনের কান্ড তাদের একমাত্র সাফল্য হতে পারে !!যারা পহেলা বৈশাখের ঘটনাকে দুষ্টছেলের দলের কান্ড বলতে পারে তাদের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।শুধু তাই নয় নানা গোয়েন্দা বাহিনী আছে তাদের কথা তো নাই বা বললাম।যারা রাজনৈতিক সরকারের সাথে ভিড়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ করে তার নমুনা দশট্রাক অস্ত্র মামলায় আছে।

আই এস.
বাংলাদেশে আই.এস বলে কিছু নেই।সব আদিগোত্র-জামাতের প্রতিনিধি মাত্র।নানা রঙে,নামে,প্রতীকে তাদের আর্বিভাব হয় মাত্র।বাংলাদেশের কোন নাগরিক বৈশ্বিক সন্ত্রাসের সঙ্গে কতটা যুক্ত এটা অবশ্যই একটা প্রশ্নাসাপেক্ষ ব্যাপার। আই.এস এর কথা বলতে হলে বলা যায় এটা কোন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন নয় ।শুধু মাত্র সিরিয়ার আসাদ সরকারকে মার্কিন-ইউরোপ গোত্র উৎখাত করার সিরিয়ার আশেপাশে ১৫-২২টি বিদ্রোহী বা উপদল আছে তাদেরকে নিয়ে এটা তৈরি করেছিল।আবার তাদের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র আই.এস উল্টো আমেরিকার অস্ত্র বা ডলার বা পেট্রোডলার পেয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যদি ও পরোক্ষভাবে নিজগোত্রের মানুষকেই তারা মূলত হত্যা করছে।এমতবস্থায় আই.এস, আই.এস বলে চিৎকার না করে বরং জামাতের সাথে সখ্যতা পোষণ করা,হেফাজতের সাথে সখ্যতা পোষণ করা ,বল্গারদের হত্যার সাথে পরোক্ষ ইন্ধনতারা কখনো এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে না।মাঝে দেশটার সাধারণ মানুষের আর বিশ্বপ্রচারের নেতিবাচক ভূমিকাকেই তুলে ধরবে মাত্র।যত গোঁয়া মারা শুধু পাবলিকের !!! এখন তাতে বিদেশীরা ও যুক্ত হয়েছে।

ইসলামী রাজনীতি ও বাংলাদেশ:
বাংলাদেশের মত দেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র কখনো খাটে না ।এই অঞ্চলে নানা ভাবে সব শাসকরাই চেষ্টা করেছে ।পরবর্তীতে রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ও এই পুরনো ও বাসি পন্থায় নেমেছে কাজের কাজ কিছুই হয়নি মাঝখানে সমাজে দেশে ব্যক্তিতে কিছু অসন্তোষ তৈরী করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে নি ।এবং কখনো পারবে ও না।৭১ এর অভিজ্ঞতা আমাদেরকে চরম শিক্ষা দিয়েছে এই পন্থা কি নিমর্ম হতে পারে!!বর্তমানে ও বিশ্বপ্রচার ও বিশ্বরাজনীতে নানা অদল বদল হওয়ায় বিশ্বসমাজের অংশ হিসেবে কতিপয় বাঙালির মধ্যে ও প্রোইসলামিক ম্যাকনিজম মগজে ঘুরাফিরা করছে যাযাবরের মত।এর চরম প্রকাশ লক্ষ্য করেছি হেফাজতি আন্দলনে।এর ভেতরকার নোংরামি পরে তেঁতুল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে!! শিক্ষা,জ্ঞান,প্রগতি,বিজ্ঞান যেখানে প্রকাশিত হয় সেখানে এসব নৈরাজ্য মাত্রাগত ভাবে কম প্রকাশিত হবে এটাই বাস্তবতা।পশ্চাৎপদতা পিছনের দিকে ঠেলে দেয়-ধর্মী রাজনীতি একধরনের পশ্চাৎপদতার নিয়ামক।এটা কখনো সর্মথন যোগ্য নয়।পাকের ঘরের জিনিস যেমন ড্রইংরুমে শোভা পায় না তেমনি ধর্মীয় রাজনীতি ও পন্থা কোনটাই মূল ধারার সাথে যায় না ।সারা বিশ্ব বাসীর কাছে এর বাস্তব অভিজ্ঞান আছে।সেটা কতটা নির্দয় ও ভয়ানক ,অমানবিক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এটি বর্জনীয়।

তবে শ্রেণীবিভাজনের মধ্যে স্বজাতি হয়ে উঠা দুষ্কর।তাই যারা মধ্য পন্থা রাজনীতি করেন তাদের উচিত শ্রেণীশোষণ কমিয়ে আনা।শিক্ষা সবাই এক কাতারে এক ভাষায় লেখা পড়া করবে।স্বজাতিয় আর্দশে বড় হয়ে উঠবে।যাতে সে সমাজ,পরিবার সবার জন্য কল্যাণকামী হতে পারে।অনেক সমস্যা আছে থাকবে তবে আগ্রহ বা ইচ্ছা হল বড়।সেটা প্রকাশিত না হলে সামষ্টিক হওয়ার চেয়ে বিভাজন বড় হয়ে দাঁড়াবে আর তাতে সবার অকল্যাণ হবে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৫

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: ইসলামী রাজনীতি ও বাংলাদেশ:

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ.........পড়ার জন্য তো মতামত পেলাম না!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.