![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইনডেমনিটি শব্দটির সাথে আমরা পরিচিতি লাভ করি মূলতঃ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তখনকার মোশতাক আর জিয়ার পুষ্ট দাতা সরকারের মদদে যাতে তার বিচার রোধ করা যায়।এটা কতবড় অন্যায় সেটা রাষ্ট্র যেমন বুঝেছে তেমনি তার গ্লানি জনগণকে ও টানতে হয়েছে।কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল যারা কিনা এই ইনডেমনিটির অত্যাচার আর দহনে দগ্ধ হয়েছিল তারাই আজ সেই ইনডেমনিটি লালন করছে সযত্নে।এটা কি চরম দূর্বুদ্ধিতা নয়!বলতে গেলে যে আওয়ামীলীগ সরকারকে এই ইনডেমনিটি ভাঙতে ক্ষমতায় আসতে হয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেই আওয়ামীলীগই এখন নানা খাতে ইনডেমনিটি প্রয়োগ করছে।ইনডেমনিটি অবশ্যই একটা খারাপ শব্দ এই অর্থে যে যেখানে সুশাসন নেই,যেখানে অপরাধ শীর্ষ পর্যায়ে বাস করে,যেখানে দূণীর্তিকে রাষ্ট্রিয়ভাবে প্রশ্রয় দেয়া হয় সেখানে -ইনডেমনিটি পোলাও কোর্মা খায়!! ২০১৩সালে বিএনপির শীর্ষনেত্রি বলেছিলেন ,বিদ ্যৎ খাতে অবাধ দূর্ণীতির ব্যবস্থা করেছে সরকার,আমরা আবার কোন এক সময় ক্ষমতায় গেলে তাদের বিচার করব।" যেই কথা সেই কাজ-মাত্র কদিনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী সরকার তাড়াহুড়ো করে এ ব্যাপারে জড়িতদের সুরক্ষার জন্য সংসদের মাধ্যমে হ্যাঁ -না ভোট যাকে অনেকটা সামরিক আদলের সরকারের স্টাইলে ইনডেমনিটিটা করিয়ে নিল!! এটা কি তাদের জন্য লজ্জাষ্কর নয়।হয়ত মোটেও না।তা না হলে যে ইনডেমনিটি নামক এ শব্দটি আওয়ামীলীগ ফিরিয়ে আনল কেন? সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে সেটাকে অপব্যবহার করতে হবে কেন?যদিও সামরিক সরকার নেই কিন্তু আদতে সামরিক প্রশাসকরাই তো দেশ চালায়।তা না হলে সরকারী এত প্রতিষ্ঠানে সামরিক কর্মকর্তা ,রাজনৈতিক সরকার গুলো নিয়োগ দেবে কেন? এই ইনডেমনিটি কথাটি নিয়ে আসার প্রকৃত কারণ হল ,বর্তমানে চট্টগ্রাম ব্ন্দরে নাকি পরিচালনা করতে গিয়ে কিছু গোষ্ঠী নানারকম অবশ্যই সরকার সংশ্লিষ্ট তারা নাকি নানা অসুবিধার সম্মুখীণ হচ্ছে।তাদেরকে নাকি এই ইনডেমনিটি না দিলে যত্রতত্র অপর গোষ্ঠীরা নাকি মামলা করে তাদের, আসলে বন্দরের নয় কাজের অসুবিধার মুখোমুখি হতে পারে এই ভয়ে তারা নাকি এই বিশেষ সুবিধা চাচ্ছে।আসল কথাটি তারা বলেননি তারা বলতে পারত আমরা চুরি করব,নানা অবৈধ মালামাল পাচার করব,ঘুষ খাব,ডাকাতি করব অথচ কেউ বাধা দিতে পারবে না।এমনিতে বন্দর কেন্দ্রিক যারা ব্যবসা পরিচালনা করেন তারা ভালই জানেন ঘুষ কত প্রকার ও কি কি এবং কিভাবে ঘুষ দিতে হয়!! একটা উদাহরণ দিই,আমাদের এক বড় ভাইকে দীর্ঘদিন ঘুষের জন্য প্যানপ্যান করছিল ঘুষ না দিলে তিনি তো কাজ পাবেন না যদি ও বৈধ ভাবে যে কাজ ঘুষ ছাড়া হওয়ার কথা ।যা হোক ঘুষের টাকা দিয়েছিলেন এরকম করে। ভদ্রলোক নাকি তখন আসরের নামাজ পড়ার জন্য বন্দর মসজিদে ওযু করছিল।এমন সময় তিনি গেলেন।তো ওই স্যারের পাশে গিয়ে তিনি দাঁড়ালেন তদুপরি ওনার ওযু করা তখন ও শেষ হয়নি।তিনি ইশারা করে বললেন, পকেটে দিয়ে দাও।পরে উনি পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে তিনি ওইস্থান ত্যাগ করলেন।এই ঘটনা তিনি আজও বলে থাকেন কেননা ভাবেন ,এটা কি করে সম্ভব? এখন ভাবুন এই ভাবে যত্রত্ত্র ইনডেমনিটির প্রয়োগ ভবিষ্যতের বাংলাদেশ যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এটা একবার অনুমান করতে পারেন!! আওয়ামীলীগ সরকারকে নানা কারণে এদেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে তাই বলে এভাবে বিশ্বাসের মর্যাদা যদি ভঙ্গ করতে থাকে মানুষ তাহলে যাবে কোথায়।সরকারগুলো কি সাধারণ মানুষের কথা ভাববে না।আহমেদ ছফা একটা কথা বলেছিলেন,"আওয়ামীলীগ হারলে শুধু দল হারে না পুরো দেশটাই হারে আর জিতলে শুধু আওয়ামীলীগই জিতে"।এভাবে তারা দেশ চালাচ্ছে বড্ড ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে।তার ওপর রয়েছে "আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বচন"!!! দু-একদিন আগে নাকি প্রথম আলোয় এক রির্পোট বেরিয়েছিল,আমদানি-রপ্তানি কর্মকর্তা নাকি গুনে গুনে ঘুষ খান।এইরকম জলজ্যান্ত ভিডিও দেখার পর তার নাকি শাস্তি হয়েছে বদলি!!! কোথায় চাকরি যাবে ,জেল হবে তার শেষ জীবনের ঠিকানা।আর তার নাকি এই হাল । দুই বিদেশেী খুন হল-অথচ কি আজে বাজে কথা পরস্পর পরস্পরের ওপর চলছে,সত্যিই ভীষণ লজ্জাবোধ করছি। মানুষ হিসেবে আমাদের রুচিবোধ কোন জায়গায় নেমেছে।আজকাল টয়লেট ও এরচে সুন্দর হয়!!! প্রকৃত কথা হল,সরকার যাদেরকে লাই দিচ্ছেন তাদের পদাঘাতে তার পতন অনির্বায!! কারণ তারা শূধুই খেতে জানে। ...........এইজন্য বলা যায় তুমি অধম হলে আমি উত্তম হব না কেন।এই ইনডেমনিটি বাতিল করুন।আর কেউ করতে চাইলে তাকে ও চাটাই করুন।নিজে বাঁচুন আর অন্যকে ও বাঁচতে সহায়তা দিন !!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: হ্যাঁ তাই. কাউকে আর বিশ্বাস করা যায় না।ভরসা রাখার মত কেউ নাই। ধন্যবাদ "নতুন ভাই"।ভাল থাকবেন।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০
তিক্তভাষী বলেছেন: বাংলাদেশের আইনে ইনডেমনিটির মতো সংবিধানবিরোধী বিষয় ঢোকানো হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে । জাতীয় রক্ষীবাহিনী আইন, ১৯৭২ সংশোধন করে ঐ বাহিনীর সদস্যদের কৃতকর্মের জন্য ইনডেমনিটি দেয়া হয় তখন। কাজেই বুঝতেই পারছেন এ পথের অগ্রপথিক কে? খন্দকার মুশতাক তো অনুসরণ করেছে মাত্র!
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: তিক্তভাষী বলেছেন ভাই... সংবিধান উল্টানোর কাজ ও বঙ্গবন্ধু নিজেই শিখিয়েছেন । যাই হোক কমেন্টস এর জন্য ভাললাগা ।ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
নতুন বলেছেন: এখন যারা রাজনিতি করে তারা দেশের জন্য করেনা। করে ব্যবসা হিসেবে।
দলের ক্ষমতায় থাকার জন্য... মানে ব্যবসা ভাল হবার জন্য এরা সবকিছুই করতে পারে।
আর ঘুষের ভিডিও থাকার পরেও তার শুধু বদলী হয়েছে শুনে অবাক হোলাম... এই সবের বিচার না হলে দূনিতি বন্ধ হবে কিভাবে?