![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিঠাগলিতে কুকুর।পাঁচ পাঁচটি সরেস কুকুর।বেশ স্বাস্থ্যবান,রঙচটা ।প্রতিসকালে প্রতিবেশীরা খুব বিরক্ত হয় কমোডে না হেগে বিশ্রী করে রাস্তায় হেগে দ্যায় বলে। বাড়িওয়ালা তথাকথিত হাতলভাঙা জমিদার বা বাড়ির মালিক খুব রেগে যায়।দারোয়ানকে আইচ্ছামত সাইজ করে।তুই রাত জেগে কি করিস! আহা ,বেচারা দারোয়ান প্রতিসকালে হোসপাইপ দিয়ে কুত্তার গু পরিষ্কার করতে হয়! মালিকের মেয়ে হেব্বি সুন্দরী!দারোয়ানের কাম দ্যাখে সে হাসে ! সে আবদার করে বলে, বাবা তুমি একটা বিদেশী ডগস্কোয়াডের ডগ রাখ,তাহলে দেশী কুত্তগুলো ভয়ে আর আসবে না।প্রতিউত্তরে বাবা বলে, দেখি কি করা যায়।সিটি কর্পোরেশনরে খবর দিব, না অন্য ব্যবস্থা করব। আর এ নিয়ে প্রতিবেশি সবাই এ নিয়ে খুব বিরক্ত আবার খুব মজাও লোটে।একদিন মিনি ট্রাকে করে আস্ত একটা জার্মান শের্ফাড নিয়ে আসে! সবাই খুব উৎসুক,লাখটাকা দাম – এই কুকুরের।মেয়েটিতো যাচ্ছেতাই সুখী শের্ফাডকে নিয়ে।শের্ফাডের একটা গোপন নামও ঠিক করে ফেলেছে তার ছেলে বন্ধু প্রথম অক্ষরের সাথে মিলে রেখে। কি দারুণ না! শের্ফাডের নতুন নাম হবে—হিচাকদে! হি- ওর নামের প্রথম আর চাকদে- মানে চক্কর। চক্কর করে ডাকবে তো । এইভেবে সে উমপাচ্ছে যে, এবার শের্ফাডের এক ডাকে কুত্তগুলা যদি গলিতে সত্যিই সত্যিই না আসে।এই উত্তেজনায় তার ঘুম হয়না।একদিন দুইদিন সাতদিন নয়দিন তেরদিন গেলো কই শের্ফাডতো ডাকে না মানে হাঁকডাক করে না।আর এই শের্ফাড নিয়ে মালিক খুব জ্বালায় আছে।তার খাবার,শোবার জায়গা,টিকা,পশুডাক্তার আরও কত কি!যা হোক, সে একমাস দুমাস গেল। এরপর বাড়িওয়ালা প্রতিরাত বারটার পর গেইটের কাছে শিকল দিয়ে খাঁচা থেকে খুলে বাইরে রাখবে যাতে শের্ফাড হাঁকডাক করতে পারে।সত্যিই সত্যিই শের্ফাড রগউচিয়ে ঘেউঘেউ করা শুরু করল তার ডাকে দেশী কুত্তাগুলো অবাক।কিরে আমাদের প্রতিবেশী নাকি? নতুন আইচে মনে হয়?কিন্তু তারা শের্ফাডকে দেখতে পায় না।দেয়ালের আড়াল থেকে বাঘের মত গর্জন করে চলেছে শের্ফাড!কুকুরের নাক কিন্তু বেশ র্শাপ।দূর থেকেই গন্ধ আঁচ করতে । হোক ডিনামাইট আর হোক অর্গাজম !দেশী মাদি কুকুরের গন্ধে শের্ফাডের ডাক যেন বন্ধ হয় না। উফ্ এবার মালিক আর প্রতিবেশী উভয়েই বিরক্ত।এভাবে রাত বিরাতে ডগের চিল্লাফাল্লাই আর সহ্য করতে পারে না।কিন্তু মালিকের মেয়েটি এরমধ্যে আরেকটা শখ বেঁধে নিয়েছে – তার ইচ্ছে সে শের্ফাডকে নিয়ে পাড়াপড়শী,বন্ধু আর আত্মীয়দের বাসায় ঘুরতে যাবে!বাবা মেয়েকে বলে, তাহবে না,তুমি ওর সাথে পেড়ে উঠবে না।মেয়েটি বলে,কি বল বাবা! হি’ কিছু করতে পারেনি আর ও তো হিচাকদে! মেয়ের বাবা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না মেয়েটির বাবলটাইপ কথা।যাক সবআশা শেষ মনে করে বাড়ির মালিক হতাশ হয়। বলে, কি করলাম, এতো দেখছি মশা মারতে কামান দাগা!কুত্তগুলারে তো আর নিয়ন্ত্রণ করা গেল না।তাদের সবার ব্যর্থতাই খুব খুশি কুত্তগুলান।যাক তাদের হাগামুতার আর কোন সমস্যা রইল না।বেচারা দারোয়ান! নতুন হোসপাইপ কিনতে গেছে!মেয়েটির সব হিচাকদে হিসাবও গোল্লায় গেল।ইতমধ্যে টেন্ডার করে শের্ফাডকে বিক্রি করে দিয়েছে- গ্রাম সরকারের কাছে!!!
©somewhere in net ltd.