![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক.
দেহ //
শর্ত একটাই নীলট্রে’তে কাটতে হবে
কাটুক মেডিকেলের ছেলে-মেয়েরা
ময়নাতদন্ত ছাড়াই
দেহ,
ওদের সাহসী হাতের ছোঁয়ায় মানুষ পাক সুস্থতার হাসি।
বির্বণ বুড়ি’র ক্রন্দন-ব্যাথা-ক্ষোভ-শোক
ড্রেসকোড পড়ে কাটিয়ে উঠুক ডায়াগনোসিসে
দেহ দান করতে আমার পয়সা লাগে না।।
দুই.
ভোরের থালায় স্বস্তা পান্তাভাত //
এই শহরে তুমি আরেকবার এসো
ভোরভোর করে প্রলাপ করি ফুটপাতে বসে
এখানে স্ব-অধীনতা কিরুপে ঔজ্জল হয় দেখো
যখন এসেছিল বহুযুগ আগে
মিউনিসিপালের ঘুম,শান্ত্রি’র প্রপস,পরিচ্ছন্নতা কর্মী
অগণিত রিকুইজিশনের গাড়ি ভরে গিয়েছিল স্টেডিয়ামের মাঠ!
রাস্তাগুলো চুলের মত মসৃণ
চুষ্য হকার
বড় বড় ছাতারা রঙ মিছিল করে!
ফুটপাত আমাদের ঘর বাড়ি
ভীড় ঠেলে এখানে স্বাধীনতা বড় হয়
মোড়ে মোড়ে ঠেসে উঠে
লালঠোঁটে জাগে নরম রাত
তুমি এক আশ্চর্য্য বিহার… এই শহরে আরেকবার এসো।
প্রতিদিন চায়ের কাপে
চিমনির ধোঁয়ায়
পর্যটন কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে ক্লোসেটের ওপর তোমার ছবি
ঝুলে আছ
ঝুলে আছ
স্বাধীনতা!
ছিঁড়া কাপড়ে- ভাঙা বাসনে -নীল প্লাস্টিকের বড় ছাউনিতে…।
হকার চুষে খাওয়ার জিনিস
স্বাধীনতা-
স্বস্তা পান্তাভাত
ভোরের থালাতে ফুটে উঠে।
তিন.
পালাবি কোথায় : গম ছড়ানো শহর ছেড়ে //
আকাশ ঘুঙুর পরে নৃত্যেমেতে উঠলে বৃষ্টিনামে প্রেমাতুর শহরে
এই বৃষ্টি তোর
এই শহর তোর।
পাহাড়ে উঠতে উঠতে কত চোরকাঁটা জামায় লেগে যায়
কাঁটাগুলো দেখতে বৃষ্টি দানা- তাই না ?
বেছে দিই!
গম ছড়াতে ভাল লাগে তোর
চড়ুই,কবুতর,মুকুট পরা শালিক জোড়ায় জোড়ায় খেতে আসে।
সমূহ সুকীর্তি---
হাওয়া বাড়ি জানে,
বুকভরা সুখের গীত মার্বেলের মত খেলা করে
ঘাসের তালুতে।
এই শহরে সদ্য জন্মনেয়া প্রজাপতি
হকারের বেলুন,
চোখ লাল করা হকার।
ঢালুতে জল স্রোত, বালিশ চাপা সুখের অসুখ --
সব পারিস
তুই সব পারিস না।
এই গীতাজ্ঞলি ব্যর্থতা
শহরে তুই
আমি ও আছি।
---- রাতের আলো
নিরবতার জ্বালানি।
সমুদ্র তীর এই বালিয়াড়ি এই নদীভরা পাল
সব তোর
তোর নিকটনামা।
পাহাড়ের ছবি একেঁ হকার দাম বুঝে নেবে
এমন সময়
উটকো ঝামেলা
সমঝদার সেজে বললি,
ছবিতে কিসের যেন ঘাটতি আছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: হুম ধন্যবাদ......... পড়ার জন্য আরো ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
তিনটেই দারুণ। +