একগুচ্ছ কবিতা............. তাজা!!!

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

১
পুরুষ:শোক ও শ্লোক//
”ভাই বড় রক্তের বাঁধন,যদিও ভাই পৃথক হয় নারীর কারণ”
গ্লাস করা ইঞ্চিমোটা ফ্রেম।রঙিন সুতায় অক্ষরগুলো উজ্জ্বল।যিনি তুলেছিলেন তিনি নারী।তাহার মনের বিব্রত অভিজ্ঞতা অথবা কেবল শখের বসে পুরাণ শ্লোক সুঁই দিয়ে তুলতেন।তিনি জানতেন ভাই পুরুষ,পুত্র পুরুষ।আসলে নারী এভাবেই শোক করতেন রক্ত পতনের ফোঁটায় ফোঁটায়।যদিও তিনি স্বগোত্রীয় নারী।
আত্মীয় অনাত্মীয় যারা মাথা নিচু করে সামনের কুলে ঢুকলেই এসব শ্লোক অনায়াসে পড়তে পারতেন।কেবল পড়তেন? কোথাও কি লুকানো ব্যথা,খোঁচা,আঘাত নড়েচড়ে যেতোনা,বিব্রত হতো না।
এই নারী শাশ্বত নারী,কলহ-কুটিল নারী,প্রেমময় নারী।হয়ত নিজেদের ব্যথা বলতেনে পুরুষের বুকে মাথা রেখে!ভাই ও পুত্র পুরুষ শোক তাহার।
নারী কেবলই অন্যের শ্লোক।তার নিজেরো।
ব্যবহারিক বিব্রত বোধ!
ক্রমবাহিক….।



২
বৃষ্টি-কুকুর-কাক//
দু’ভাগ হয়ে যার যার পথে ছুটে মানুষ।……..সব প্রাকৃতিক,এরকম পরম্পর।ঝুম ঝুম বৃষ্টি।রাস্তা ফাঁকা।কুঁই কুঁই করে বৃষ্টিতে ভিজছে কুকুর।
বৃষ্টি আর জল, জ্বলে জন্মপ্রাণ।
………কুকুর বিদ্যা।
জোড়া কাক…. নিংড়ে দিচ্ছে উসকে দিচ্ছে অন্তঃস্বত্তা।
সঙ্গম বাজনা…নীরবতা ভাঙার বিদ্যা।
কাকশালা…
কুকুরশালা….সব পাঠশালা।
দু’পা উঁচিয়ে ধরেছে কুকুর…..
আমি কেবল বৃষ্টিতে ভিজি।


৩
ফক্কত ফক্কত আর শব্দকল্প ব্যঞ্জনা//
আগেরকার মানুষ বলতো,কাঁদায় হাঁটতে গেলে ফক্কত ফক্কত শব্দ হয়
….. শব্দকল্প ব্যঞ্জনা।
আমি বলি,চোদচুদির সময় ও ফক্কত ফক্কত শব্দ হয়
…শব্দকল্প রচনা।


৪
দূরবর্তী ভয় আর কল্পিত সুন্দর//
সিফিলিস--- এখন বিলুপ্ত রোগ
তোমার সিফিলিস হলো কি করে…বললো ডাক্তার।
আপনিতো আপনার নারীকে চুদেন
আমার নারী আমাকে চুদে।
ডাক্তার, সিফিলিস আমার অহংকার
চলুন,
দু’কাপ চা খায়।

০ টি +০/-০