নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

মি.সিজার(হতভাগা নাগরিক)…

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২




মি.সিজার(হতভাগা নাগরিক)…..

উনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি জঙ্গিবাদের কারখানা![তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমতি কি কোন বেসরকারী ব্যক্তি দিয়েছিল?তাছাড়া রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়তো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শুনেছি এখানে গবেষণা করলে[অসংখ্য রবীন্দ্রনাথ পয়দা হবে]!! যাই হোক….সম্প্রতি তিনি ”বিশ্বে জঙ্গিবাদ ও বাংলাদেশে প্রেক্ষিত” উনার থিসিসের মুল বিষয়টা হুবহু জানি না তবু ভাবার্থটা এইরকমই দাঁড়ায়।যাক,এইরকম গবেষণা করতে গিয়ে যদি সরকারের মনে হয় তিনি জঙ্গিবাদের প্রচারে প্রসারে সহায়ক ব্যক্তি।ওকে,ঠিক আছে। ধরলাম তিনি জঙ্গিবাদের প্রচারক। তাহলেতো বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়গুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত।এখানে অর্নাস মাস্টার্স কোর্স আছে।এখানকার অনেক শিক্ষকইতো ইসলামী গবেষণা করেই শিক্ষক হয়েছেন।এটা না থাকলে তিনিতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাচা শিক্ষক। গবেষণা তাকে করতেই হবে।এইজন্য এটার নাম বিশ্ববিদ্যালয়। এইসব বিষয়ে যারা ড. নিয়েছেন তাদের কোথা থেকে পিএইচডি করেছেন জানেন? তাদের গবেষণার বিষয় নিশ্চয় -সাপ ব্যাঙ,ইলেকট্রনিক্স,আমার প্রেম তোমার প্রেম নিয়ে নয়!

আজকাল মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে অনেকে বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ড.ডিগ্রি নিয়ে আসছেন। তাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো –সৌদিআরব,মিশর,তুরষ্ক,মালেশিয়া,কাতার,ইরান,তিউনিশিয় এসব দেশের।তাদের গবেষণার বিষয় কি থাকে?নিশ্চয়—”চিল্লা কাইট্টা লবণ লাগায় দিমু” এই টাইপের কিছুই থাকে না!!নিশ্চয় তারা কোন না কোন ইসলামী টার্ম নিয়ে গবেষণা করে।তাহলে শুধুমাত্র এইরকম ঠুনকো বিষয় নিয়ে একজন নাগরিককে গুম করে ফেলবেন!কেউ কিছু জানবে না।

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা চরম পর্যায়ে রয়েছে।ব্যক্তির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কি মুসলিম,কি হিন্দু,কি বৌদ্ধ সবাই উগ্রতার ভেতর বসবাস করছে।সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই শুধু এখানকার মুসলমানের মনোভাব বুঝাযায়। হিন্দু,বৌদ্ধদের ব্যক্তি পর্যায়ের ধর্মান্ধতা বোঝা যায় না!!

বিসমিল্লাহ বলে এখানে চোর চুরি করে, খোদা সহায় বলে এখানে ঘুষ খায়, আল্লাহ যেহেতু ক্ষমাশীল তাই কুথায়(অনেক) অপরাধ কর কোন সমস্যা নাই!!

কিন্তু আপনি আপনারা সরকার যখন নাগরিক বিবেচনায় কাউকে বিচার করবেন তখন আপনার ভূমিকা গরু ছাগলের মতোন হতে পারবেনা।তাছাড়া গলা ফাটিয়ে যখন বলছেন আপনি রোল মডেল!তো মডেলের মতোন কাজ করুন,র্যা ম্পে হাঁটুন।মডেল বলছেন কাম করতেছেন খোদকের মতোন তা কেমনে হয়? সরকারের প্রশাসকের কর্তাব্যক্তিরা যেখানে বলছেন, গুম ঐতিহ্যের অংশ!সংস্কৃতির অংশ! একসময় শুনছিলাম ”আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে” এখন শুনছি ”আল্লাহর মাল নিরাপত্তায় খাইছে”!!




মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

Bangladesh420 বলেছেন: সত্যি কথা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: রাজনীতির খেলা পাল্টায় না,খেলোয়াড় পাল্টায়। ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুবই হতাশার খবর। এভাবে যদি গুম হতে থাকে সাধারণ নাগরিকরা কোথায় বিচার পাবে?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: সরকারের উচিত সত্যিটা সামনে আনা.........তারা ভুলে যায় নাগরিকের ট্যাক্সের টাকায় তাদের পরিবার চলে। ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কয়েক হাজার বাংগালী সিরিয়াতে গেছিল। আইএস পতনের পর অনেকেই ফিরেছে। ডা ইকবালও ফিরেছিল। সাকার পুত হুকাও ফিরেছে। সালাউদ্দিনকেও পাওয়া গেছে আসামে। আর ফরহাদ মাঝহার স্টোরি তো.....

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: যারা গেছে তাদের সাথে আপনার কোন পার্থক্য দেখি না।লো-ক্লাস দলবাজদের চেতনা এই পর্যন্তই।রাষ্ট্র বোঝেন,সরকার বোঝেন,রাজনীতির সততা বোঝেন? ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.