নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রামে কিশোর খুনের ব্যাপারে আঞ্চলিক সমাজবিজ্ঞানীরা,তথাকথিত মিডিয়া দুষছেন-পরিবারকে?!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭




চট্টগ্রামে কিশোর খুনের ব্যাপারে আঞ্চলিক সমাজবিজ্ঞানীরা,তথাকথিত মিডিয়া দুষছেন-পরিবারকে?!!
পরিবারের অনুশাসনই নাকি কিশোরদের দমায় রাখতে সাহায্যকরে।অর্থাৎ তাদের কথা অনুযায়ী তারা সবরকম ইনস্টিটিউশনের মধ্যে পরিবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।সববিপদের ত্রাতা পরিবার!সব ভালর কৃতিত্বও পরিবার!সব খারাপের ভাগিদারও পরিবারের।

এরা সত্যিকারের ”আঞ্চলিক” সমাজবিজ্ঞানী এরা কোনদিন জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক মাপের সমাজবিজ্ঞানী হতে পারবেন না।যে সমাজে রাষ্ট্রে কাউন্সিলিং হয় একরকম পরিবারে কাউন্সিলিং হয় আরেকরকম সেটা বুঝতে না পেরেই তারা মূলত পরিবারকে দোষ দিয়ে নিজেদের কর্তব্য নিজেদের দলান্ধতা নিজেদের স্বার্থবাদীতা নিজেদের বেনিফিশিয়ারী ভূমিকাকেই আড়াল করছেন।যে কিশোর গ্যাংরা খারাপ বলছেন এইসব সমাজআঞ্চলিক বিজ্ঞানীরা তিনিও সেই অর্থে গ্যাংভূক্ত।তারা সবছিুকে গ্যাংগ্রিন আকারে মূল্যায়ন করে বলে সমাজ আর রাষ্ট্রের মতোন ইনস্টিটিউশনগুলারে রিফমিং আকারে নিতে ব্যর্থ হয়।

শুধু কিশোর গ্যাং নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।বাংলাদেশের রাষ্ট্রে আর সমাজে প্রতিটা গোষ্ঠী আজ এক একটা গ্যাং।গ্যাং যারা করে তারা সবসময় অন্যকে দোষারোপ করে।তাদের ভাষাও গ্যাংদের মতোন।রাষ্ট্র একটা গ্যাং।সমাজ একটা গ্যাং।সবাই সমাজ (বড় জায়গা) থেকে বের হয়ে ছোট ছোট গ্যাং আকারে ছড়িয়ে পড়েছেন সবখানে।সত্যি খুব বেদনাদায়ক,খুবই হাস্যকর,খুবই পীড়িত করে যখন আপনারা শুধু মাত্র পরিবাররে দুষছেন!

মা-বাপরে দুষছেন!হেন কোন মা-বাপ নাই সন্তানদের জন্য সবোর্চ্চ চেষ্টাটা করে না যার যার সাধ্যমতোন।ববং পরিবারের একনিষ্ঠতা,সাধ্যমতোন যোগান দেয়া অর্থ,পরমস্নেহ মমতা,ধর্ম ও নৈয়ায়িক অনুশাসন,শৃঙ্খলা সব চুরি করছে সামাজিক ও রাষ্ট্রের নামে গজে উঠা যত্রতত্র ইনস্টিটিউশন বা গ্যাংচালকরা।মানুষের বেড়ে উঠার সমস্ত স্বাভাবিক স্বাদ চুরি করেছেন আপনারা আপনাদের মাধ্যমে পরিচালিত নানা ইনস্টিটিউশন অথচ সবাই মিলে দুষছেন পরিবারকে!

একটা পরিবার একজন সন্তানকে চব্বিশঘন্টা পাহারা দিয়ে রাখতে পারে না।পরিবার মানে তো কারাগার না।বড় কারাগারে সে যখন যায় সমাজের নামে রাষ্ট্রের নামে তারে নানারকম মগজধোলাই করে তারে কুপথে নেয়ার সবোর্চ্চ চেষ্টা করছে বড় গ্যাং সমাজ আর রাষ্ট্র মিলে।হাতে হাত মিলিয়ে।অথচ সবাই দুষছেন পরিবারকে!

শুধু একপক্ষরে দোষারোপ করে এ পর্যন্ত যারা অভ্যস্ত হয়েছেন তাদেরকে বলছি এইযে চৌর্যবৃত্তি সেটা সামষ্টিক।সুতরাং কাউকে একা দোষারোপ করবেন না।এইরকম দোষারোপ করতে করতে সবকিছু হারায় যাচ্ছে।মানুষের বিলাপ বাড়ছে।হাহাকার বাড়ছে।সেখানে আপনারা ত্রাতার ভূমিকা পালন না করে একতরফা পরিবারের উপর দোষচাপাচ্ছেন।যখন পরিবার কোন কিছু হারায় তার পরম কিছু হারায় তা শুধু পরিবারের আর কারো নয়।আপনারা যা করেন তা বেতনভূক্ত বা অভূক্ত পরার্মশ ভুমিকা পালন করেন।তার দ্বারা পরিবারের কিছু আসে যায়? যায় না।যা যায় পরিবারের যায়।আর কারো কোনকিছুতে কিছু যায় আসে না।পরিবার একটা এককমাত্র।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.