![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"মৃত্যু ভয় যেদিন কেটেছে সেদিনই আমার মরণ হয়েছে"
আপনার ইমান কি এতই দুর্বল?
আপনি এতই বর্বর?
রক্তমাখা মুখ,গলা কাটা একটি দেহ আপনাকে একটুও কাঁদায় না?
আপনি কি করে মেতে উঠেন খুনিদের পক্ষে?
আমার কাছে আমার ধর্ম।পৃথিবীতে শুধু একটি ধর্ম নয়,অনেক ধর্ম আছে।তাই তর্ক বিতর্ক থাকবে।লেখার জবাব লেখা দিয়ে দিতে হয়।রাজিবের লেখাগুলিকে আপনি ভুল প্রমাণিত করতে পারলে কিন্তু আপনারই জয় হতো।আর রাজীবেরও জন্ম হতনা।কিন্তু না আপনি চাপাতি নীতিতে বিশ্বাসী।এখন আপনার নীতি কে মানবে?
ইসলাম শান্তির ধর্ম।আজ মহানবী থাকলেও তিনি তার সমালোচককে হত্যার কথা বলতে পারতেন না।আল্লাহ্ পাপীদের বিচার দুনিয়াতেও করেন পরকালেও করেন।আপনি আমি বিচার করার কেউ না।আত্মহত্যা,হত্যার পথ বেছে নিলে তার শাস্তি আরও ভয়াবহ হয় সবাই জানেন।আমরা চাই জামাত শিবির নিষিদ্ধ হোক।ধর্ম ভিত্তিক সব রকমের রাজনীতি বন্ধ হোক।ধর্ম থাকবে আমার প্রিয় ঘর মসজিদে।পল্টনের রাস্তায় ইট নিয়ে হামলাতে নয়।এই আন্দোলন বাঙালীর আন্দোলন।একাত্তরে আল্লাহ্ আমাদের সাথে ছিলেন এখনও থাকবেন।দেশের ইস্যুতে আমরা সবাই এক।তাই প্লিজ কেউ একটা ইস্যুকে বড় করে নিজেদের বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন না।আপনার ঘাড়েই নিশ্বাস নিচ্ছে কোন হায়ানা,আপনি জানতেও পারছেন না।মনে রাখবেন জামাত এই দেশ চায়নি।এই দেশে তাদের দুষিত রক্ত প্রবাহিত করেছে শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে।এই আন্দোলন এক রাজিব করেনি।এখানে ছিল শত শত মেহনতি বাঙালীর কষ্টের ফল।দিন রাত নির্ঘুম থেকে ব্লগে কত রাত কেটেছে এই বাংলার সেনাদের তা অনেকেই জানবেন না।একদিনে আজ সবাই এক হয়নি।৪২ বছর জাতি যা ভুল করেছে তা যাতে আজও না করে।ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা ছিল এতবছর।আর কত বছর খোলা থাকবে?আর আমরা কতবার খোলা ম্যানহোলে পা দিয়ে নিজেকে ডুবিয়ে দিবো?
একটু ভাবুন।
শাহবাগের মানুষগুলির মুখের দিকে চেয়ে দেখুন তাদেরকে কি আপনার শত্রু মনে হয়?
মা বোন ভাই বাবা সবাইকে কি নাস্তিক মনে হয়?
এতগুলি মানুষ যখন জানাজার কাতারে দাড়ায় তখনও কি তাদের নাস্তিক মনে হয়?
তারা ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে গিয়ে দেশের জন্য নেমেছে।তারা এখনও কাউকে জবাই করতে পারেনি।কিভাবে পারবে?
তারা যে এখনও আইনি ভাবেই জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে চায়,কাদের মোল্লার ফাঁসি চায়।তারা পাশের হাসপাতালে অবস্থান নেয়া গোলাম আজমকে গিয়ে মেরে ফেলতে যায়না।
এখানেই পার্থক্য।
ভাবুন,জানুন,নিজেকে চিনুন।আপনার ভাবনা একান্তই আপনার।
তানভীর মাহমুদুল হাসান
১৬/০২/২০১৩
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১
আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন: ।।ইসলাম শান্তি আর সত্যের র্ধম।।
ইসলাম শান্তি আর সত্যর র্ধম এখানে হিংসার জায়গা নেই।মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ, একজন মানুষকে হত্যা করা আর সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করা সমান কথা আর এটাই সত্যিকার অর্থের ইসলামের কথা।ইসলামের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধের ময়দানে হাতিয়ার ধরে তখন নিজেদের জীবন আর সজাতিকে রক্ষায় হত্যা বৈধ হয় তবে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে নয়।ভিন্ন র্ধমের বা মতের লোকেরা ইসলাম নিয়ে নানা কথা বলবে তাই বলে তাদেরকে হত্যার কথা ইসলামের কোথাও নেই। বরং ইসলাম বলে যারা তোমার রবকে গালি দেয় তোমরা তাদের রবকে গালি দিওনা তাহলে তারা প্রকান্তরে আমাকেই গালি দিবে। ভিন্ন মতের বা র্দশনের মানুষদের সত্য ও সুন্দরে আহবান জানানোই হলো ইসলামের মূল মন্ত্র। হিকমতের সহিত ইসলামের পথে ডাকতে হবে নাস্তিকদের তাদের ভূল যুক্তিকে ইসলামের ধারালো যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে হবে আর এর নামই হল ইসলাম। এই পৃথিবীর বুকে রক্ত প্রবাহ বইয়ে দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি আমাদের নবী ও তার সাহাবীরা শ্রমের বিনিময়ে আর সত্যর ধারক ও বাহক হয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুতরাং যারা সত্যিকার অর্থে ইসলামের সেবক তারা মানুষ হত্যার মধ্যেদিয়ে ইসলামের সর্বনাষ করছেন। ভারত বর্ষে ইসলাম রক্তের হলি খেলে ছড়িয়ে পড়েনি বরং মিথ্যার সামনে সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই ইসলামকে রক্ষার নামে কোন নাস্তিক বা ভিন্ন মতের মানুষকে হত্যা করা( যুদ্ধের ময়দান বাদ দিয়ে) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল।
।। বাকস্বাধীনতার দোহাই।।
ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে অন্যের র্ধমীয় অনুভূতিতে আঘাতহানা বা অসত্য তথ্যকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো, এটা সকল ধর্মের জন্যই প্রযোজ্য। যুক্তি যেখানে থাকেনা সেখানে ভর করে তর্ক আর তর্কের উপর আসীন থাকে শয়তান। ইসলাম ধর্ম বা মহানবী কে নিয়ে যেকোন ধরনের কুমন্ত্যবের প্রতিবাদ আমরা মুসলাম মাএই করবো এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব কিন্তু এটা ভুললে চলবেনা যে প্রতিবাদের ভাষা যেন হয় ধর্মের পথ অবলম্বনে।
।। অপরাধীর শাস্তি ধর্মের বিধান।।
ইসলাম ধর্মে অপরাধী যেই হোক তার বিধান অনুসারে সাজা হওয়া আবশ্যক কারণ ধর্ম অন্যায়ের সাথে আপোস করে না। আমরা যারা যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার চাই তারা শুধু মাএ সংগঠিত অন্যায়ের বিচার চাই এটা ন্যায্য দাবি এখানে ভিন্ন মতের কোন স্থান নেই। কেউ যদি ধর্মে দিক দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন কিন্তু যুদ্ধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন তবে ধর্মের দোহাই দিয়ে তার পক্ষ নেওয়ার অর্থ হলো অন্যায়কে সমথর্ন জানানো। আবার অপরাধীর সাজার আড়ালে ধর্মকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা সমর্থন যোগ্য নয়। শুধু মাএ অপরাধী ও অপরাধ সংগঠনকারী ব্যক্তি বা দলকে আইনের আওতায় শাস্তি ও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্থাতেই ধর্ম ভিওিক রাজনীতিকে নয়। কমিউনিস্টরা যদি দল করার অধিকার পায় তবে সত্যিকার অর্থের ধর্মভিওিক রাজনৈতিক দল গুলো কেন নয়।জামায়িতি ইসলামি তার অপরাধের দায় এড়াতে পারেনা কিন্তু যারা নতুন প্রজম্মের তারা সত্যিকার অর্থের ধর্ম ভিওিক দল কে বেছে নেওয়া উচিত।
।। ধর্মের অপ-প্রয়োগ।।
ধর্মকে ভিওি করে যারা রাজনীতি করে তারা ভূল পথে ধাবিত হলে তার দায় ইসলামের নয় বরং কর্মীদের এই ব্যাপারে সজাগ হওয়া উচিত। জামায়াত যদি আওয়ামীলিগকে প্রগতিশীল ভাবে তবে বি এন পি কতটুকু ধর্মভিওিক দল যে অন্যন্য ধর্মভিওিক দল গুলোকে এলোমেলো রেখে শুধু মাএ ক্ষমতাকে আপন করে পাবার জন্য জোট গঠন করে। স্বার্থ আছে উপরের মাথা ওয়ালাদের কিন্তু মাঠ পযায়ে কর্মীরা শুধুই ধর্মকে আপন করে জীবন উৎসর্গ করে তাতে ধর্মের উপকার হোক বা না হোক ক্ষমতার স্বাদ কিন্তু পায় নিজামী বা মুজাহিদরা । তাই ধর্মের প্রচার প্রসারে সত্যিকার ইসলামের পথে চলা উচিত সকল মুসলমানের আর সহনশীল আচরণ দেখানো উচিত সকলের প্রতি সকলের । ধর্ম ভিওিক দল হতে হবে গনতন্তমনা না হলে এই দেশ হবে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইরান ধর্ম আর গনতন্তের চর্চা করে বলেই তারা এখনো সার্থক দেশ হিসাবে টিকে আছে অন্যে দিকে সেীদি আরব ধর্মের চর্চা করে ঠিক কিন্তু গনতন্তের অভাবে সেখানে বাসা বেধেছে আমেরিকার ভূত। আমার এই মতামত শুধুই আমার নিজস্ব চিন্তা হয়তো ভিন্ন মত ও থাকতে পারে কিন্তু যদি যুক্তি হয় ধারালো তবে তা সাদরে গ্রহনযোগ্য, হত্য-খুন আর রাহাজানি দিয়ে মতামত প্রতিষ্ঠা করা যায় না তবে হে, এই বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।।