নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
৩রা নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিয়ে শুরু নারকীয় হত্যাকান্ড!!! মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস !!! সিপাহী ও জনতার বিপ্লব !!!
***বাংলাদেশে ৭ নভেম্বর তারিখটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৭৫ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর ৩ দিনের সরকারের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন। কোন কোন সময়ে ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়েছে।।
কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতার নেপথ্যে ছিলেন ১৫ই অগাষ্টের ঘটনার মুল নায়কেরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি। তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩রা নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থানটি প্রাথমিক ভাবে সফলও হয়। কিন্তু তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ দিন। বস্তুতঃ খালেদ মোশাররফ রক্তপাত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন ক্যু করতে গিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করেন। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের সে সময় নারায়ণগঞ্জ অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাংখী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক-অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক।
জিয়া তাঁর বাসভবনে বন্দী হয়ে থাকেন। খালেদ মোশারফের নির্দেশে তাঁকে বন্দী করে রাখেন তরুণ ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ। জিয়ার বাসার টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ একটি ভুল করেন। তিনি ভুলে যান বেডরুমেও একটি টেলিফোন আছে। জিয়া কৌশলে বেডরুম থেকে ফোন করেন তাহেরকে। খুব সংক্ষেপে বলেন "সেভ মাই লাইফ"।
তাহের জিয়ার আহ্বানে সাড়া দেন। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার নির্দেশ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া থেকে ঢাকা রওনা হন, এ সময় তার সফর সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের, জিয়াউর রহমানকে বন্দী দশা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। ঐ দিনই পাল্টা অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।
কথা ছিল, জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে আনা হবে। তারপর জাসদের অফিসে তাঁকে এনে তাহেরদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হবে। পরে সিপাহী-জনতার এক সমাবেশ হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন জিয়া আর তাহের। কিন্তু মুক্ত হওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হতে সম্মত হন না। উর্ধ্বতন সামরিক অফিসাররা তাঁকে পরামর্শ দিতে থাকেন। তাহের জিয়াকে ভাষণ দিতে বলেন। জিয়া ভাষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তাহের বুঝতে পারেন জিয়া তাঁদের সাথে আর থাকছেন না। তিনি পুনরায় সংগঠিত হতে থাকেন। কিন্তু জিয়া বুঝতে পারেন ক্ষমতায় টিকতে হলে তাহের সহ জাসদকে সরাতে হবে। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হতে থাকেন জাসদের সব নেতারা। তাহেরও গ্রেফতার হন। শুরু হয় এক প্রহসনের এক বিচার। গোপন আদালতে চলতে থাকে সেই বিচার
১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের জেল হয়। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন তাহের। আর তার ফলে ক্ষমতায় বসেন জিয়া।
"বিপ্লব ও সংহতি" -শব্দটি সাধারণত সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে দিনটিকে মূলত জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল বিএনপি "জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস" হিসেবে পালন করে।
তথ্য ও সুত্র:
দৈনিক ইত্তেফাক
উইকিপিডিয়া
বিবিসি
রক্তঝরা নভেম্বর, রক্তে লেখা নভেম্বর - চলবে
কৃতজ্ঞতা: - “রক্তঝরা নভেম্বর, রক্তে লেখা নভেম্বর” সামহোয়ারইন ব্লগে নির্বাচিত পোষ্টে স্থান পাওয়ায় কতৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।
বনানী, ঢাকা
তারিখ: ০৭-১১-২০১৮
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে বিএনপি জামাত গংদের নাম থাকবে না, জামাত মাতা বেগম জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হবে ।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৮
নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: স্যার, আপনাকে চিনি ২০০০ সন থেকে ১৮ বছর অনেক দিন হলো, আপনি সাহসী মানুষ ছিলেন এখনো তেমনি তেজদিপ্ত আছেন, ব্লগে মাঝে মাঝে গাধা গর্ধভ আপনার ব্লগে বা অন্য ব্লগে আপনাকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেন, ইচ্ছে করে আপনার কিছু পরিচয় দেই, কিন্তু আপনার অনুমতি ছাড়া কিভাবে দিতে পারি ? স্যার দোয়া দরখাস্ত ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়, ব্যাবহার বংশের পরিচয় । যারা আবোল তাবোল বলে, কি আসে যায় তাতে । ইগনোর দ্যাম । ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৯
রাফা বলেছেন: আজ ইতিহাসের কলংকিত মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস।খল-নায়কেরা নায়কে পরিনত হন কালো সাতই নভেম্বর।এই দিবসটি একটি কালো দিবস হিসেবেই থাকবে প্রকৃত স্বাধিনচেতা বাঙালীদের অন্তরে।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাহেরের ফাঁদে পা না দিয়ে জিয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। যদিও বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতিদান স্বরূপ তাহেরের ফাঁসি ঠেকাতেও পারতেন তিনি। তবে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য হয়তো এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা জরুরী ছিল...
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কমিউনিষ্ট তাহের তার উপযুক্ত সাজা পেয়েছে - এটা তার প্রাপ্তি ছিলো ।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
বেশ গোছানো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, ধন্যবাদ - আপনি ছোট্ট একটি বাক্য লিখে জানান দিয়ে যান পাশে আছেন, ভালো লাগে । ভালো থাকুন ।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
ফেনা বলেছেন: খালেদ আর তাহের যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে ত জিয়া ও সম অপরাধী ছিল। খালেদ আর তাহেরের বিচার হল, কিন্তু জিয়ার!!!??
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তাহের জিয়া গং অপরাধী, খালেদ মোশাররফ অপরাধী নন - তিনি বাংলার বীর সন্তান ।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
ফেনা বলেছেন: লেখাটা জানাও ডট কম পুন প্রকাশের অনুমতি চাইছি। জানাবেন।
শুভকামনা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই ফেনা, অত্যন্ত আনন্দের সাথে আপনাকে অনুমতি দেওয়া হলো, আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামীলীগ কে বিলুপ্ত করা উচিত।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিএনপি জামাত গংকে সমূলে ছিড়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া উচিত ।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
নীল আকাশ বলেছেন: ঠাকুর ভাই, পোষ্ট টা পড়েছি। আজকে ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে নিয়ে একটা পোষ্ট দিব ভেবেছিলাম, কাজের ব্যস্ততায় দেয়া হয় নি। তাই আপনার টাই এসে পড়ে গেলাম। ব্যক্তি জিয়াউর রহমান মানুষ হিসাবে আমার কাছে অনেক, অনেক সম্মানিত একজন। কেন সেটা আমি এখানেই লিখে দিয়েছি, কষ্ট করে পড়ে দেখবেন:- Click This Link
তিনি যে কত টা দেশের মানুষের কাছের লোক ছিলেন সেটা তার মৃত্যুর পর তার জানাজায় লোকজনের অংশ গ্রহন দেখেই বুঝা যায়। এটা লিখে প্রমান করার দরকার নেই। ইতিহাস এদেশে বার বার লেখা হয়েছে, বার বার বদল হয়েছে। আজকে এই দিনে বসে সেই ১৯৭৫ সালে কি হয়েছিল সেটা ব্যাখ্যা করা মনে হয় কিছুটা ভুল, কারন আসলে সত্যই কি হয়েছিল সেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে বলেছে..। ১০০% সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করাও কঠিন।
সব কিছুর উপরে, তার স্বাধীনতার সময়ে অবদান কেন এই জাতী ভুলে যায়? বিস্মৃত হয়! আমরা আসলেই বেইমান জাতী সেজন্যই আমাদের ভালো কিছুই হয় না! এই দেশে, যিনি বাকশালের মতো জঘন্য একটা স্বৈরাতান্ত্রিক প্রথা বিলোপ করে বহু-দলীয় গনতন্ত্র এনেছিলেন, তাকেও আজ আমরা দল কানারা এক চোখা শিয়ালের মতোও গালি গালাজ করি.....।
হায় দেশ, হায় জনগন আর হায় এই গনতন্ত্র!
শুভ কামনা রইল!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নীলআকা৩৯ ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । জিয়াউর রহমানের অনেকগুলো অধ্যায় তার মধ্য নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করছি :
১। সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া
২। মেজর জিয়া
৩। মেজর জিয়া এন্ড ক্যু
৪। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান
৫। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
৬। মেজর জেনারেল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যা
৭। শহীদ জিয়া
এখানে ১। সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া ৫। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ৬। মেজর জেনারেল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যা এই তিনটি অধ্যায় যেকোনো মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার শক্ত দাবী রাখে, এবং তিনি সেই ভালোবাসা পেয়েছেন । বর্তমানে যারা ভালোবাসেন তারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেখেননি তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ভালোবাসেন ।
একটি মানুষের জীবনে অস্যংখ ছোটবড় গল্প থাকে জিয়াউর রহমান একজন কিংবদন্তি পুরুষ। তার জীবনে সব কঠিন উপন্যাস প্রবন্ধ আর প্রতিকুল সাগরে পাড়ি দেওয়ার চিত্র ।
১০০% সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করা কঠিন। আসলেই কঠিন । একজন সাধারণ মানুষের জীবনের দিনলিপি ও ১০০% যাচাই করা সম্ভব না, আর জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি পুরুষ - তার যাচাই কিভাবে সম্ভব । এই সত্যি প্রবল সত্যি যে “জিয়াউর রহমান দেশে সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষ ছিলেন” ।
ধন্যবাদ নীলআকা৩৯ ভাই, ধন্যবাদ ।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
ওমেরা বলেছেন: দেশের রাজনীতির এসব ইতিহাস সম্পর্কে আমি তেমন জানি না, কিছু জেনে ভাল লাগল । লিখতে থাকুন আমি পড়ব। ইনশা আল্লাহ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ওমেরা আপু কিছু মানুষের কমেন্ট ব্লগে পেলে ভালো লাগে তার মধ্য আপনি একজন, আপনার নাম ওমেরা এটিই ভালো লাগার কারণ । আমাদের একজন পূর্বসুরী দাদীজান যার নাম ছিলো “ওমরাহ আমাল” তিনি সিরিয়ান যোদ্ধা ছিলেন এবং আমাদের পূর্বসুরী দাদাজান রাজা ধর্মরঞ্জণ রায় ঠাকুরের দ্বিতিয় ও ছোট স্ত্রী, কথিত আছে ওমরাহ আমাল তালোয়ার যুদ্ধে দশজন যোদ্ধার সাথেও ভারী পরতেন তার সাথে তালোয়ার না থাকলেও তার হাত তালোয়ার বরাবর ছিলো।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: সুন্দর ।
ভালো লাগলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্বপ্নীল ফিরোজ ভাই, ধন্যবাদ ।
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সব কিছুই ইতিহাস। এই ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিলে আমাদের কে আগামী দিনে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সব কিছুই ইতিহাস। এই ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিলে আমাদের কে আগামী দিনে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। - ধন্যবাদ ।
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
ফেনা বলেছেন: জানও ডট কম এ আপমনাকে স্বাগতম -
রক্তঝরা নভেম্বর, রক্তে লেখা নভেম্বর – জেল হত্যা, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস !!! সিপাহী ও জনতার বিপ্লব !!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লেখাটি পাওয়া যাচ্ছে না জানাও ডট কমে
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
রাসেল ০০৭ বলেছেন: নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহকে খালেদ মোশারফ এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের একটি ফলাফল হিসেবে দেখছেন কে এম শফিউল্লাহ- "ভবিষ্যৎ অন্ধকার মনে করে খালেদ মোশারফ জিয়াউর রহমানকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাকে সরিয়ে দিয়ে হাউজ এরেস্টও করে ফেলেছিল এবং নিজেই চিফ অফ স্টাফের র্যাংক পরলো।
===========
এদিকে সেই রাতেই কেন্দ্রীয় কারাগারে চলে একটি হত্যাকাণ্ড।
কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে খুন হন ১৯৭১ সালের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, তৎকালীন সরকারের অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেলার আমিনুর রহমান বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাত একটা থেকে দেড়টার দিকে একটি পিকআপে করে কিছু সেনাসদস্য জেলগেটে উপস্থিত হন। এসময় আইজি প্রিজনের ফোন পেয়ে তিনিও সেখানে যান। এর কিছুক্ষণ পর তার কার্যালয়ের টেলিফোনটি বেজে ওঠে।
"টেলিফোন ধরলেই বললো যে প্রেসিডেন্ট কথা বলবে আইজি সাহেবের সাথে। কথা শেষ করার পরই আইজি সাহেব বললেন যে প্রেসিডেন্ট ফোন করেছিলো। বললো যে আর্মি অফিসাররা যা চায় সেটা তোমরা করো"।
এরপর কারা মহাপরিদর্শক আমিনুর রহমানের হাতে চারজনের নাম লেখা একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বলেন এদেরকে এক জায়গায় করো।
"সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন সাহেব ছিলেন এক রুমে আর অন্য দুজন ছিলেন অন্য রুমে। তো অন্য রুম খুলে আনলাম"।
"আমি ভাবলাম কথাবার্তা বলবে তো পরিচয় করিয়ে দিই। মনসুর আলী সাহেব ছিলেন সর্বদক্ষিণে। তাকে পরিচয় করানোর জন্য মাত্র ম.. বলা শুরু করার সাথে সাথেই গুলি করে দিলো ।
গুলি করেই তারা খোলা গেট দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলো"।
সূত্রঃ আজকের বিবিসি বাংলা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনুগ্রহ করে বিবিসি লিংকটি দিন ।
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এ.এম.হাসানুজ্জামান বলেছেন: দুঃখ এটাই যারা ক্ষমতার লোভে দেশে প্রতিহিংসার জন্মদিল আজ আমরাই ক্ষমতার লোভে তাদেকে কাঁধে নিয়ে জয়কৃর্ত্তন করছি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশের ক্রান্তিকাল এখনো শেষ হয়নি ।
১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬
কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: এখানে ১। সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া ৫। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ৬। মেজর জেনারেল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যা এই তিনটি অধ্যায় যেকোনো মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার শক্ত দাবী রাখে, এবং তিনি সেই ভালোবাসা পেয়েছেন । বর্তমানে যারা ভালোবাসেন তারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেখেননি তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ভালোবাসেন । - সহমত গুরু
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বর্তমান বিএনপ ‘র নেতা কর্মী তারা জিয়া সম্পর্কিত গাল গল্প করে বেড়ান এটা তাদের কাছে এক ধরনের মজা বলতে পারেন, তারা জিয়াকে দেখেননি, অধিকাংশ ছিলো ভারতে পলাতক, জিয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া গং নিয়ে তারা রাজনীতি শুরু করে, তারা জিয়া গল্প যখন বলে সেসব শুধুই গালগল্প । - ধন্যবাদ কাজী ভাই ।
১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
জাসদের উথ্থান পতন পড়েছি অনেক বার, এখনো মাঝে মাঝে পড়ি আর আপনাদের লেখা অতি বড় ইতিহাস থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জাতীয় পার্টির কোন নেতা যেনো জিয়া সম্পর্কিত গল্প লেখেন ??? !!! - তার ধারণা জাতীয় পার্টিতে সে যেহেতু ডালভাত পাচ্ছে না বিএনপি হয়তো কিছু একটা শেষ খেল খেলবে তখন সেখানে ডালভাত পাবে !!! গাধা টা জানে না হয়তোবা ভুলে গিয়ে থাকবে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক পার্টি কারো সঙ্গে কোয়ালিশন করে টিকে থাকে না, প্রমাণ এরশাদ হটাও আন্দোলোনে বিএনপি+জামাত+আওয়ামিলীগ = একটি দল ছিলো ।
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
নজসু বলেছেন:
এক সময় ৭ নভেম্বর সরকারী ছুটির দিন ছিল।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই, এক সময় ১৫ই আগষ্ট কেক কাটা দিবস ছিলো !
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই ৩রা নভেম্বর এলে আমার খুব কষ্ট হয়। আমার বাবা কামরুজ্জামান সাহেবের জনপদ দৈনিক পত্রিকায় সেইসময় কর্মরত ছিলেন। আমি উনাকেসহ অপর ৩ নেতাকে খুব কাছাকাছি দেখেছি। এই ৪ নেতা ছিলেন আমার অনেক পছন্দের মানুষ। আর কিছু বলতে চাচ্ছি না এব্যাপারে। মন্তব্বে একজনকে বললেন কম্যুনিস্ট হবার জন্য তাহের হত্যা ঠিক আছে এটা সমর্থন করলাম না। একজন কম্যুনিস্ট, নাস্তিক, আস্তিক, এলজিবিটি যাই হউক তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা কখনও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। শুভ কামনা।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অন্তরন্তর ভাই, বলতে পারেন রাজা ও রাজ্যর জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশে কি পরিমান রক্তপাত হয়েছে ? কতো শিশু অনাথ হয়েছে ? কতো স্ত্রী বিধবা হয়েছেন, কতো মা তার ছেলেমেয়ে হারিয়েছেন ? কতো ভাই তার ভাই - বোন হারিয়েছেন ? কতো বাবা নিঃস হয়েছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাহাকার করেছেন তার হারানো ছেলের জন্য ? - রাজা আসে রাজা যায় কিন্তু রক্তপাত থেমে থাকে না চলে নিরন্তর - চলবে অনন্তকাল ।
২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
ল বলেছেন: ১০০% সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করা কঠিন। আসলেই কঠিন । একজন সাধারণ মানুষের জীবনের দিনলিপি ও ১০০% যাচাই করা সম্ভব না,
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ১০০% সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করা কঠিন। আসলেই কঠিন । একজন সাধারণ মানুষের জীবনের দিনলিপি ও ১০০% যাচাই করা সম্ভব না। - সহমত গুরু
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রবীণ রাজনীতিকেরা এখনো যারা বেঁচে বর্ত্যে আছেন, এবং প্রবীণ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা যারা সে সময়ের ঘটনাপ্রবাহের চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন এবং কেউ কেউ সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্তও ছিলেন, তাদের উচিত হবে লোকান্তরিত হবার আগেই নির্মোহ, নিরপেক্ষভাবে সত্য ঘটনা লিখে যাওয়া। প্রয়োজন হলে তারা তাদের লেখায় ভারতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মত তাদের মৃত্যু পর্যন্ত এম্বার্গো দিয়ে যেতে পারেন। এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার সাহেব তার বিবেচনায় কিছু সত্য ঘটনার কথা লিখে বেশ হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন, তাই হয়তো আর কেউ সহজে এ পথে পা মাড়াবেন না।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার সাহেব তার বিবেচনায় কিছু সত্য ঘটনার কথা লিখে বেশ হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন, তাই হয়তো আর কেউ সহজে এ পথে পা মাড়াবেন না। - এটি চরম সত্য, এই দেশে এটি চিরন্তন সত্য আকারে আছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাজুদ্দিন ছিলেন আমাদের কষ্টের দিনের সাথী, আমাদের শক্তি; উনার হত্যার বিচার না করার জন্য বিএনপি'কে বিলুপ্ত করা সঠিক কাজ হবে।