নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ২১শে আগষ্ট রক্তাক্ত কলঙ্কময় গ্রেনেড হামলা দিবস

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩৬



রক্তাক্ত ও কলঙ্কময় সেই ২১শে আগষ্টের ১৫তম বার্ষিকী আজ।

২১ আগষ্ট, ২০০৪। রোজ শনিবার বিকাল, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে চলছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশ। রাজপথে আওয়ামী লীগের লক্ষাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থক। ট্রাক দিয়ে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বসে আছেন। মঞ্চের সামনে রাস্তায় আইভী রহমান সহ অনেক নেতা নেত্রী বসে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ র‌্যালী যাত্রা নিয়ে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত চারপাশ। দেশব্যাপী ধারাবাহিক সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য শেষ করলেন “শেখ হাসিনা”। তাঁর বক্তব্যের পরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধীর র‌্যালী যাত্রা শুরু হবার কথা।

মঞ্চ থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সময় তখন আনুমানিক বিকাল ৫:২২ মিনিট। হঠাৎ গ্রেনেড বিস্ফোরণ শুরু হয় মঞ্চের সামনে। একে একে ১৩ থেকে ১৪টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। প্রতিহিংসার দানবীয় সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয় মানবতা। মুহূর্তেই ঝরে পড়ে বহু তাজা প্রাণ। আহতদের আর্তচিৎকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্রদেশে। দলীয় নেতারা তাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার চারো পাশে মানববর্ম তৈরি করে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের বিকট আওয়াজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর শ্রবণশক্তি। মঞ্চ থেকে নামিয়ে যখন তাঁকে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল তখন ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ১২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। হামলার ধরণ ও পরবর্তী কর্মকান্ড থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, সন্ত্রাসীদের মূল টার্গেট ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা
- শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান সাহেবের স্ত্রী আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারান।



ছবি: - গুগল
সুত্র: - 2004 Dhaka Grenade Attack
Blasts Hit Bangladesh Party Rally, 'Assassination Bid'
কৃতজ্ঞতাঃ - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এক দিগন্ত ভালোবাসা ও ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান দেওয়ার জন্য।


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আমার লেখাটিও পড়ুন।
গ্রেনেড হামলার মুল হোতা যারা

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় প্রকাশ্যে ২১ আগস্ট ঘটানো হয়। এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এার বিচার সম্পন্ন হয়েছে?

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি নতুনভাবে তদন্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এদের মধ্যে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নানসহ তিনজন অন্য মামলায় ফাঁসি হওয়ায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক শাহেদ মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের দেয়া রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃতু্যদন্ড দেয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, নেতা হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এর মধ্যে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও কায়কোবাদসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন।

এদিকে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৭ জন ৩৪টি আপিল করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৭ জন ১৪টি আপিল করেছেন। তবে এখনো উচ্চ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হয়নি।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গ্রেনেড বিস্ফোরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে উঠেছিল মৃতু্যপুরী। চারদিকে রক্ত-মাংসের স্তূপ। স্পিস্নন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। ট্রাক মঞ্চের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তাক্ত নিথর দেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর পিচঢালা পথ। রাজধানীর হাসপাতালগুলোও নিহত-আহতদের রক্তে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল। নিহত-আহতদের হাজার হাজার জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত, তখন পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। ফলে নষ্ট হয়ে যায় অনেক আলামত। একদিকে বিস্ফোরিত গ্রেনেডের আওয়াজ ও ধোঁয়া, অন্যদিকে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় প্রাণভয়ে দিগ্বিদ্বিক ছোটা মানুষ সহায়হীন হয়ে পড়ে। গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে থাকলেও ভবনের প্রধান গেটে পুলিশ তালা দেয়। টিয়ার শেল ছুঁড়ে মারে।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই হামলার মূল হোতার কেন ফাঁসি হবে না?

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি নতুনভাবে তদন্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এদের মধ্যে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নানসহ তিনজন অন্য মামলায় ফাঁসি হওয়ায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক শাহেদ মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের দেয়া রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃতু্যদন্ড দেয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, নেতা হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এর মধ্যে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও কায়কোবাদসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন।

এদিকে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৭ জন ৩৪টি আপিল করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৭ জন ১৪টি আপিল করেছেন। তবে এখনো উচ্চ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হয়নি।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনার সময় আমি এখানে ছিলাম।
কারন ওইখানে আমার চাচার দোকান আছে।
খুব মন দিয়ে নেতাদের বক্তব্য শুনছিলাম।
তখন এক মেয়ে ফোণ করে বলল, তার সাথে মোহাম্মদপুর যাওয়ার জন্য। আমি মোহামকদপুর চলে গেলাম।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নিঃসন্দেহে আপনি ভাগ্যবান মানুষ।

সেদিন গ্রেনেড বিস্ফোরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে উঠেছিল মৃতু্যপুরী। চারদিকে রক্ত-মাংসের স্তূপ। স্পিস্নন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। ট্রাক মঞ্চের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তাক্ত নিথর দেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর পিচঢালা পথ। রাজধানীর হাসপাতালগুলোও নিহত-আহতদের রক্তে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল। নিহত-আহতদের হাজার হাজার জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত, তখন পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। ফলে নষ্ট হয়ে যায় অনেক আলামত। একদিকে বিস্ফোরিত গ্রেনেডের আওয়াজ ও ধোঁয়া, অন্যদিকে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় প্রাণভয়ে দিগ্বিদ্বিক ছোটা মানুষ সহায়হীন হয়ে পড়ে। গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে থাকলেও ভবনের প্রধান গেটে পুলিশ তালা দেয়। টিয়ার শেল ছুঁড়ে মারে।

সেদিন নিহত হন ১৮ জন। পরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। হামলায় আইভি রহমান ছাড়াও নিহত হন ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, হাসিনা মমতাজ রিনা, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিলাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম। আজো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শরীরে স্পিস্নন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেনেডের স্পিস্নন্টারের সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। সাংবাদিকদের মধ্যে ফটো সাংবাদিক এসএম গোর্কি ও রিপোর্টার সৈয়দ রিয়াজ আজো শরীরে স্পিস্নন্টার বহন করে বেড়াচ্ছেন। হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আজো শরীরে স্পিস্নন্টার বহন করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কথায় বলে রাখে আল্লা মারে কে ।
তবে এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা জীবনদিলেন ও পঙ্গুত্ব বরন করলেন
তাদের প্রতি রইল সহানুভুতি । এঘটনায় জাতি দেখল একজন নেতা তার
দলের সকলের আছে কতটুকু প্রিয় হলে তাকে জীবন দিয়ে হলেও
কিভাবে রক্ষা করতে হয় ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেদিন গ্রেনেড বিস্ফোরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে উঠেছিল মৃতু্যপুরী। চারদিকে রক্ত-মাংসের স্তূপ। স্পিস্নন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। ট্রাক মঞ্চের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তাক্ত নিথর দেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর পিচঢালা পথ। রাজধানীর হাসপাতালগুলোও নিহত-আহতদের রক্তে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল। নিহত-আহতদের হাজার হাজার জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত, তখন পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। ফলে নষ্ট হয়ে যায় অনেক আলামত। একদিকে বিস্ফোরিত গ্রেনেডের আওয়াজ ও ধোঁয়া, অন্যদিকে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় প্রাণভয়ে দিগ্বিদ্বিক ছোটা মানুষ সহায়হীন হয়ে পড়ে। গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে থাকলেও ভবনের প্রধান গেটে পুলিশ তালা দেয়। টিয়ার শেল ছুঁড়ে মারে।

সেদিন নিহত হন ১৮ জন। পরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। হামলায় আইভি রহমান ছাড়াও নিহত হন ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, হাসিনা মমতাজ রিনা, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিলাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম। আজো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শরীরে স্পিস্নন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেনেডের স্পিস্নন্টারের সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। সাংবাদিকদের মধ্যে ফটো সাংবাদিক এসএম গোর্কি ও রিপোর্টার সৈয়দ রিয়াজ আজো শরীরে স্পিস্নন্টার বহন করে বেড়াচ্ছেন। হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আজো শরীরে স্পিস্নন্টার বহন করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি-বিরোধী লোকজনকে নিয়ে জে: জিয়া দল গঠন করেছিলেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জিয়াউর রহমান সাহেবের আগমন হয়েছে ক্যু করে, তার প্রস্থানও হয়েছে ক্যু করে। - সাবাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.